প্রেমিক সালমান এফ রহমানের দূর্নীতি

লেখকঃ সামিউজ্জামান সিদ্দিকী

অনেকে বলে সে হাসিনার প্রেমিক কিংবা রেহানার প্রেমিক।কালো রঙের গাড়ি সামনে-পেছনে অস্ত্রধারী লোক। গাড়িতে অস্ত্রসহ বাডি গার্ড কালো পোশাক পরা। গাড়িতে বসে আছে সাদা পোশাক পরা এক লোক। যার মুখ ভর্তী সাদা দাড়ি। অনেকে মজা করে তাকে ডাকে দরবেশ। আবার অনেকে বলে ডাকাত। কিন্তু তার হালচাল আর ভাব দেখে আমার মনে হয় তিনি একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। সিনেমায় যেমন সন্ত্রাসীদের দেখতে হয়, তিনিও দেখতে ঠিক এমনই। শুধু দেখতেই না, তার জীবনে সন্ত্রাসে ভরপুর। লুট করেছে বাংলাদেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা।

এই সালমান এফ রহমান এমন একজন মানুষ যে কিনা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়েই সরকারের উচ্চ পদে অবস্থান করছেন। তিনি এমন একজন মানুষ যে কিনা দুর্নীতি ও অপরাধের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হস্তগত করে এবং শেয়ারবাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা মেরে বাংলাদেশে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন একটি মিডিয়া হাউজ।।বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১০ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই সালমান এফ রহমান। আর এই সব অপকর্মে তাকে সহায়তা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা। কারন তার অর্থের বড় ভাগিদার তিনি। শেখ রেহানার মাধ্যমে বিদেশে এসব টাকা পাচার করে গড়ে তুলেছেন বড় সম্রাজ্য।

একটু খোজ নিলেই দেখা যাবে, সালমান এফ রহমান ও শেখ রেহানা এক হয়ে দেশের শেয়ার বাজার, ব্যাংকখাতে দূর্নীতি করছে। একজন দেশের প্রধানমন্ত্রীর বোন আর একজন উপদেষ্ট। আর এ করনেই কোন কিছু বলার সাহস নেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।

১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মূল হোতা হিসেবেই সবার কাছে পরিচিতি পান সালমান এফ রহমান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকোর মালিক হলেও ব্যবসা বাণিজ্য নয়, বরং সরকারি ও ব্যাংকের অর্থ লোপাটের মাধ্যমেই বিলিয়নিয়ার হয়েছেন সালমান। বিগত নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী হলফনামায় নিজের কোনো বাড়ি, গাড়ি, আসবাব বা ঋণ না থাকার তথ্য দেন তিনি। অথচ গবেষণা সংস্থা হুরুন গ্লোবালের ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ দুই হাজার ধনী ব্যক্তির মধ্যে তার অবস্থান ১৬৮৫তম এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীও তিনি। কেবল দুই দফায় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি থেকেই অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে চলমান ব্যাংক খাতের লুটপাটেও তিনি জড়িত বলে মনে করা হয়। এক অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমানকে ইঙ্গিত করে শেয়ারবাজারের অপরাধ তদন্তকারী দলের প্রধান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, তিনি ব্যাংকের সম্রাট। এই সম্রাটকে ধরতে পারলে সবকিছু ঠিক হবে। শেয়ারবাজার তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম সবার ওপরে রেখেছিলাম। তিনি সব জায়গায় লুট করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে আগে থাকা সব মামলা এই সরকারের আমলে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।

দেশের অনেক ক্ষমতাসীল ব্যাক্তিরা সালমান এফ রহমানের অগচরে বলেন, তিনি টাকা দিয়ে দেশের অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী পুষেন। যা প্রধানমন্ত্রী সয়ং জানেন। তাছাড়া নির্বাচনে একটি বড় অংকের টাকা তিনি দলকে দেয় যে কারনে তার এই পদ ও পজিশন। তাই তার এই দূর্নীতির কথা সবাই জানলেও চুপ থাকে। কারন তার বিরুদ্ধে এর আগে যদ্ওি কেউ কথা বলেছে, তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। কিংবা প্রকাশ্রে দু:খ প্রকাশ করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ

আসাদুজ্জামান সাফি, লন্ডন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরের প্রতিবাদে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বিরোধীদলের সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গত ০৪ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার লন্ডনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি, এর অঙ্গ সংগঠন ও ইউকে ভিত্তিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আব্দুস সালাম যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, লেখক ও ব্লগার রেদোয়ানুর রহমান, ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি মো : রায়হান উদ্দিন, সেক্রেটারি বুরহান উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক নবযুগ ডট কম পত্রিকার সিনিয়র সহ-সম্পাদক নুরুল হুদা, ফাইট ফর রাইটস এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ খান সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি কাজী নুরুজ্জামান, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুকুল, স্ট্যান্ড ফর বাংলাদেশের সেক্রেটারি মোঃ তরিকুল ইসলাম, মৌলিবাজার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক , ফাইট ফর রাইটস এর সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, সহকারী সেক্ররেটারী কামরুল হাসান রাকীব, সহকারী সেক্রেটারী আমিনুল ইসলাম সফর, সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি কাজী নুরুজ্জামান, সহ সাংগটনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, মোঃ নুরুল ইসলাম মাসুদ, অনলাইন একটিভিস্ট ফোরামের সেক্রেটারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ফয়েজ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আলামীন, লন্ডন যুবদলের সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ইমরান আহমেদ, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা জুবায়ের আহমদ সিদ্দিকী সুইট প্রমুখ।

মিছিলটি লন্ডনের হাইড পার্ক থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকারী হোটেলের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘ডিক্টেটর হাসিনা, গো ব্যাক গো ব্যাক’, ইললিগাল প্রাইমমিনিস্টার, স্টেপ ডাউন স্টেপ ডাউন’, ‘জেল-জুলুম-হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া’, ‘এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার’, ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে ব্রিটেনের আকাশ-বাতাস।অনুষ্ঠানে বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী ও বাংলাদেশী কমুউনিটির বিপুল সংখক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী বাকশালী নিশিরাতের অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য আগমন মেনে নেয়া যায় না।এই সরকার গুম, খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।তারা বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল বিরোধীদলের নেতাকর্মীর উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সবাইকে মুক্তি দেয়ার আহবান জানান।

ইউক্রেনের সাত গোয়েন্দা এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া: তাস

ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মে) রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে এফএসবি বলেছে, রুশ-সমর্থিত ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

সিকিউরিটি সার্ভিসটি বলছে, ক্রিমিয়াতে বড় ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনাকারী ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের একটি এজেন্ট নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ভেঙে দিয়েছে এফএসবি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ক্রিমিয়া বারবার আক্রমণের মুখে পড়েছে। কিয়েভ বারবার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ পুনরুদ্ধারে তার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে।

জাহাঙ্গীরের বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আ.লীগ: মায়া

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির নির্বাচনের আগে এ নির্বাচন দেশবাসীর জন্য আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হওয়ার জন্য আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুরের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি, ৯টি থানা, ৪৮০ টি কেন্দ্র, ৫৭ ওয়ার্ড। একটা বিশাল এলাকা। নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে গেলে বিশাল কর্মীবাহিনী দরকার। তাই আমরা গাজীপুরে সর্বস্তরের জনগণ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার পক্ষের সব মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করে এই নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই। ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা জয়লাভ করতে চাই৷ সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে কেউ যেন নির্বাচনে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেখানে আমাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকবে। সেখান থেকে আমরা এটা নির্বাচন পরিচালনা করব৷ নির্বাচন পরিচালনার জন্য থানা ভিত্তিক আমাদের কমিটি হবে। সেন্টার ভিত্তিকও কমিটি হবে। এবার স্তরে স্তরে আমরা কমিটিগুলো সাজাবো। ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগ কমিটি হয়ে গেছে। আগামী ৯ তারিখের আগে নির্বাচনের সব কাজ আমরা শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করতে চাই। আশা করি আমাদের নৌকার বিজয় হবে।

নবযুগ ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মামলা

দৈনিক নবযুগ নামের একটি পত্রিকার নিজস্ব ম্যাগাজিনের কিছু লেখাকে কেন্দ্র করে গতকাল ২৩শে মার্চ নড়াইল আদালতে একটি মানহানির মামলা করা হয়। এ নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবি মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকেই বলছেন এটি কত প্রকাশের স্বাধীনতাতে অব্যাহত হামলার আরেকটি প্রতিরূপ। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার সূত্রে যানা যায় যে,‘নবযুগ’ নামক এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত কিছু লেখাকে কেন্দ্র করে -গতকাল ২৩ শে মার্চ বায়েজিদ শেখ নামক এক ছাত্রলীগ নেতাট বাদী হয়ে এই ম্যাগাজিনটির বিরূদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৯ ) ৫০০ ধারার অধীনে নড়াইল জেলা কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৫৪/২০২৩। আদালত অনুসন্ধানে আমাদের প্রতিনিধিরা জানতে পারেন এই ম্যাগাজিনের বিরূদ্ধে সরকার ও প্রশাসন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ এসেছে। আরও জানা যায় যে, এই মামলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তভার নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আমাদের নিজস্ব রিপোর্টার নবযুগ ম্যাগাজিনের সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক, আমরা একটি গণতান্ত্রিক বিশ্বে বসবাস করেও মানের ভাব প্রকাশ করতে পারছি না। এই মামলাকে আমরা একপ্রকারের হয়রানী বলেই ধরে নেব।”

মামলার বাদীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে এমন কুলাঙ্গারদের ঠাই নাই। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে কেউ পাড় পাবে না। এই ধরণের কটূক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এবং যদি আইন-প্রশাসন এর দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরাই নিজস্বভাবে এর বিহিত করবো”। “নিজস্বভাবে বিহিত” বলতে কী বোজাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

বাদি জনাব বায়েজীদ নবযুগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক এম ডি রাসেল মিয়া ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন জনাব বিপ্লব পাল, সামিউজ্জামান সিদ্দিকী, এম ডি কামরুল হাসান, এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, জনি চন্দ্র সাহা, এম ডি আশরাফ হোসাইন, এম ডি ওবায়দুর রহমান খান, আসাদ উজ্জামান খান, রেদোয়ানুর রহমান, এম ডি নিজাম উদ্দিন দোদুন,  আল আমিন, নুরুল হুদা প্রমুখ। আদালত এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের উপর দিয়েছেন এবং আগামী ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবার নির্দেশ দিয়েছেন।

পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা জনাব জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় এবং তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই তদন্তের অধীনে আছে এবং পিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। অতিশীঘ্রই তদন্ত শেষ করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে”

ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় আইনকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ফৌজদারী আইনে মামলা

গত ২০ নভেম্বর ২০২২ এ রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে “এথিস্ট এরা” নামক ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যাকে কেন্দ্র করে ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোঃ আরমান হোসাইন সহ আরো ১৯ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে ফৌজদারী আইনের ২৯৫ ধারার অধীনে। মামলার বাদী মো ইয়াসিন আলম ভূঁইয়া। জানা গেছে এই ম্যাগাজিন দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন সহ অফলাইনে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশের যে আইনসমূহ ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয় সে-সমস্ত আইন ও বাংলাদেশ সরকারের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কুৎসা রটিয়ে আসছিলো। চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ১৬ নং আদালতে বিচারক জনাব আহমেদ হুমায়ূন কবীর এই মামলাটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সঙ্গায়িত করে পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপারের বরাবরে তদন্তের জন্যে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেবার তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২। এদিকে এই মামলাকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে কিছু এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। মামলার নম্বর – সি.আর – ২৩৪/২০২২।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, কমল চন্দ্র দাস, জিশান তারভীর মোস্তফা, জোবায়ের হোসেন, এম ডি আসাদুজ্জামান খান রণি, জনি চন্দ্র সাহা, এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, ইমরুল কায়েস,  মোঃ জাকির হোসাইন,  এমডি জহিরুল ইসলাম, রেদোয়ানুর রহমান, এম ডি রাসেল মিয়া, মোহাইমিনুল বিশ্বাস পারভেজ, আসিফ ইসলাম, কে এম মাহফুজুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, জনি জোসেফ কস্তা, মোহাম্মদ মইন উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ আল আমিন কায়সার, এবং এম ডি আব্দুল রাজ্জাক।

এই ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ ইয়াসিন আলম ভূঁইয়ার সাথে কথা বলা হলে তিনি তাঁর আক্রোশ প্রকাশ করেন মামলার বিবাদীদের বিপক্ষে। তিনি বলেন, “আমরা দেশের আইন মেনে মামলায় এসেছি। এরা শুধু যে ইসলামের বিপক্ষে বলে ক্ষান্ত হচ্ছে তা কিন্তু না, এরা একই সাথে বাংলাদেশ সরকার ও আমাদের প্রাণপ্রিয় আওয়ামী সরকারের আইন ও সংবিধান নিয়ে আক্রমণ করছে বিশেষ করে নাস্তিক ও সমকামীদের বিরূদ্ধে বাংলাদেশে যে প্রচলিত সুন্দর আইন-ব্যবস্থা আছে সেটাকে নষ্ট করবার পায়তাঁরা এই কাফিরদের। আওয়ামী সরকারের একজন সমর্থক ও কর্মী হিসেবেই বলছি যে এদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নিলে খুব বিপদে পড়ে যাবেন  আমাদের নেত্রী ভবিষ্যতে।” তিনি আরো ইঙ্গিত দেন যে পুলিশ ও আদালত এই ব্যাপারগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তৌহিদী জনতা নিজেরাই এই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। “যথাযথ ব্যবস্থা” বলতে কী বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে জনাব কাজী এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

এইদিকে আদালত সূত্রে জানা যায় এই মামলাকে ঘিরে আদালত পাড়ায় ছিলো নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও উপচে পড়া ভীড়। আদালত পাড়ায় বাদীর সাথে যুক্ত হওয়া অনেকেই “নারায়ে তাকবীর আল্লাহ হু আকবর” ধ্বনিতে আদালত প্রাঙ্গন মুখরিত করে রাখেন।

পুলিশ সূত্র বর্তমানে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। আসামী পক্ষের এইথিস্ট এরা ম্যাগাজিনের সাথে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দূর্নীতি সরকারের

লেখকঃ সামিউজ্জামান সিদ্দিকী

বিনা ভোটে হাসিনা যদি দেশের প্রধাণমন্ত্রী হইতে পারে তাহলে অষ্টম-শ্রেণী-পাশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভারের প্লট-ফ্ল্যাট ও শতকোটি টাকার মালিক হওয়াতে সমস্যা কোথায়? একজন দুর্নীতি করে রাষ্ট্রের মালিকানা পাইছে আরেকজন দুর্নীতি করে শতকোটি টাকার মালিকানা পাইছে। কোনটা নিয়া আপনার চিল্লানোর উচিৎ বলেন?

আপনি দুর্নীতিবাজ ড্রাইভাররে নিয়া চিল্লান কারণ আপনার হাসিনার হোলসেল দুর্নীতি নিয়া চিল্লানোর মতো মাজার জোর নাই। সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে গাড়িচালক আবদুল মালেকের নাম বেরিয়ে আসে। গত বছরের মার্চে তাঁর ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু হয়। মালেক ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদের পুরো তথ্য জানা যায়নি। তবে এখন পর্যÍ সাতটি প্লট ও দুটি সাততলা বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে আফজাল নামে স্বাস্থ্য বিভাগের আরেক কর্মচারীও গ্রেপ্তার হন দুর্নীতির কারণে। কিন্তু একজন গাড়ি চালক কিংবা একজন কর্মচারী যদি এমন দূর্নীতি করতে পারে তাহলে এই খাতের হামড়া-দামলাদের কি অবস্থা হতে পারে।

করোনা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের আসল চেহারা খুলে এসেছে৷ দেখিয়ে দিয়েছে এই খাতটি কতটা দুর্বল৷ সাধারণ চোখে মনে হবে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে কম বাজেটই এর কারণ৷ আর প্রশ্ন করলে এই খাত নিয়ে যারা ভাবেন তারা আরো অনেক কারণ দেখান৷ কিন্তু সবার কাছ থেকেই একটি কথা ‘কমন’ শোনা যায়, আর তা হলো দুর্নীতি৷ যদি একটু খোজ নেওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে ,স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগই দুর্নীতির পেটে চলে যায়৷

বাংলাদেশে সরকারি চিকিৎসক আছেন ৩০ হাজার৷ আর সবমিলিয়ে নিবন্ধিত চিকিৎসক আছেন এক লাখের মতো৷ এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীর হিসেব ধরলে সব মিলিয়ে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি নয়৷

বাংলাদেশে এখন সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট হাসপাতালের সংখ্যা সাত হাজার ৩১২টি৷ এরমধ্যে সরকারি হাসপাতাল দুই হাজার ২৫৮টি, যার মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকও ধরা হয়৷ পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ২৫৪টি৷ বাংলাদেশে এখন এক হাজার ৫৮১ জনের জন্য একজন নিবন্ধিত চিকিৎসক আছেন৷সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮০৭টি৷ আর বেসরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৮৭টি৷ বাংলাদেশের এখন মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটির বেশি৷

দেশে যত মানুষ সে তুলনায় স্বাস্থ্যখাতকে কোন ধরনের সাজানোর ব্যবস্থা করছে না সরকার। গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে৷ তার মধ্যে বেশি দুর্নীতি হয়: কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহ খাতে৷ সাদা চোখে দেখা দুর্নীতির বাইরে একটি অভিনব দুর্নীতির কথাও তখন বলে দুদক৷ আর তা হলো, দুর্নীতি করার জন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা৷ এমন যন্ত্রপাতি কেনা হয় যা পরিচালনার লোক নেই৷ ওইসব যন্ত্রপাতি কখনোই ব্যবহার করা হয়না৷

২০১৭-১৮ অর্থবছরে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে স্বাস্থ্যখাতের যন্ত্রপাতি কেনায়৷ ২৭টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেনাকাটার তথ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যম দুর্নীতির এই চিত্র প্রকাশ করে৷

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ১৮৬ গুণ বেশি দাম দেখানো হয়েছে৷ এক সেট পর্দার দাম দেখানো হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা৷ ১৭৫ কোটি টাকার নিম্নমানের যন্ত্রপাতি কেনা হয় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য৷ রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও চার কোটি টাকার সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি কেনা হয়, যা কখনোই ব্যবহার করা হয়নি৷ ২০১৭ সালে টিআইবির খানা জরিপে স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷ জরিপে অংশ নেয়া ৪২.৫ ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে ঘুস দুর্নীতির শিকার হয়েছেন৷

সর্বশেষ এই করোনার মধ্যে চিকিৎসকদের জন্য পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির কথা সবার জানা৷

এই বিষয়য়গুলো ভালো ভাবে দেখলে বিষয়টি অনেক সহজ যে এই খাত দূর্নীতিতে আষ্টে পিষ্টে আছে। একটি দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন এই খাতে দূর্ণীতি কেন। সহজ উত্তর। যখন দেশের সব খাতে দূর্নীতে ভরা সেখানে এমন গুরুত্বপূর্ন খাত কেন বাদ যাবে। অবৈধ সরকার, দেশের সব কিছু লুট করতেই এমন দূর্নীতি প্রতিটি খাতে দিয়ে রেখেছে। তাই হাসিনা সরকার সব দেখেও চুপ করে আছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে চমকে দেওয়া ফল

চমকে দেওয়া ফলাফলে পিএমএল-কিউ-পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থী পারভেজ এলাহি শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনে পিএমএল-এন-এর হামজা শেহবাজের কাছে হেরে গেছেন। পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি পিএমএল-কিউ সদস্যদের ভোট গণনা করা হয়নি বলে রায় দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

ডেপুটি স্পিকার মাজারির মতে, হামজা ১৭৯ ও এলাহী ১৭৬ ভোট পেয়েছিলেন। তবে এলাহীর নিজের দলের ১০ ভোট গণনা করা হয়নি।

এটিই ফল হামজার পক্ষে এনে দেয়।

ডেপুটি স্পিকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরপরই, পিটিআই নেতা আসাদ উমর টুইট করেছেন যে তারা শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।

পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী সুজাত হুসেনের চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে মাজারি পিএমএল-কিউ ভোট বাদ দেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় মাজারি উচ্চস্বরে হুসেনের চিঠি পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগের (কিউ) দলীয় প্রধান হিসাবে, আমি আমার সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা সদস্যকে মুহাম্মদ হামজা শেহবাজ শরীফের পক্ষে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছি। ’

এদিকে পিটিআই নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে এর প্রতিবাদ জানাতে বলেছেন।

এর আগে পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে বড় জয় পায় ইমরান খানের পিটিআই। রবিবার অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় পেয়েছে পিটিআই। সূত্র: দি ডন

সরকারের তিন পদক্ষেপ ডলার সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার বৃদ্ধি, ঋণপ্রবাহ কমানো * ডলারের জোগান বাড়লেই অনেক সমস্যা কেটে যাবে -ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় মৌলিক তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ডলার সাশ্রয়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার বৃদ্ধি এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির আওতায় ঋণপ্রবাহ কমানো।

এছাড়া আরও কিছু সহযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে এর মধ্যে একটি উদ্যোগের কারণে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো ঠিক আছে। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমানো হচ্ছে। এতে আমদানি ব্যয় কমানোর ফলে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। লোডশেডিংয়ের কারণে জ্বালানি আমদানি কমবে। এতেও ডলার সাশ্রয় হবে। অন্যদিকে বাজারে টাকার সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

ফলে আমদানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদাও কমবে। তবে এতে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। যা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদিকে ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে ঋণের খরচ বেড়ে যাবে। ফলে ঋণপ্রবাহ কমবে।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল সমস্যা ডলার। এখন ডলারের জোগান বাড়াতে হবে। এটি বাড়ানো সম্ভব হলেই অনেক সমস্যা কেটে যাবে। কিন্তু ডলারের জোগান বাড়াতে হলে প্রথমে পাচার বন্ধ করতে হবে। তারপর রেমিট্যান্সে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। তাহলে ডলারের জোগান বাড়বে।

এর পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ, দেশের ভেতরে আমদানির বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও বাজার তদারকি বাড়াতে হবে। তাহলে পণ্যমূল্য কমবে। এতে মূল্যস্ফীতির হারও সহনীয় হবে। কিন্তু ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এতে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে কর্মসংস্থান কমবে, মানুষের আয়ও কমবে। যা মূল্যস্ফীতির আঘাতকে আরও বড় করে তুলবে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের কাছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক চাপ কমে আসবে। কেননা ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে পণ্যের দাম কমে যাবে। তখন অর্থনৈতিক চাপও কমবে।

এদিকে রিজার্ভ সাশ্রয় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু চাপ পুরোপুরি কমেনি। আমদানি ব্যয়ের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হচ্ছে জ্বালানি খাতে। এ খাতে ব্যয় কমাতে লোডশেডিং করা হচ্ছে। জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ফলে জ্বালানি খাতে ডলার সাশ্রয় হবে।

সূত্র জানায়, করোনার পরে হঠাৎ পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। একই সঙ্গে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা আরও বাধাগ্রস্ত হয়। এতে পণ্যের দামও বাড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যায় লাগামহীনভাবে। আমদানি ব্যয় যেভাবে বেড়েছে সেভাবে রপ্তানি আয় বাড়েনি।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এসব মিলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এতে বাজারে ডলারের দাম হু-হু করে বাড়ছে। গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সায় উঠেছে। ওই সময়ে টাকার মান কমেছে ৯ টাকা ৬৫ পয়সা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাবে টাকার মান আরও বেশি কমেছে।

দেশে এখন সবচেয়ে বড় সংকট বৈদেশিক মুদ্রার জোগানে। চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার জোগান মিলছে না। ফলে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডলার ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার দিয়ে। এতে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল। এখন তা কমে ৩ হাজার ৯৬০ কোটি ডলারে নেমে গেছে।

এদিকে আগামীতে আমদানির দেনা পরিশোধের চাপ আরও বাড়ছে। কেননা করোনার সময়ে যেসব এলসির বা বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ স্থগিত হয়েছিল সেগুলো এখন দিতে হচ্ছে। এতে চাপ আরও বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলসির ঊর্ধ্বগতি কমানো সম্ভব হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এতে আগামীতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে রপ্তানি আয় বড় চ্যালেঞ্জে পড়তে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। প্রায় সব দেশই সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। ঋণের সুদের হার বাড়াচ্ছে। ইউরোর দাম কমে গেছে। এতে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে তারা আমদানি কমানোর দিকে এগোচ্ছে। দেশে রপ্তানি আয়ের ৫৪ শতাংশ ইউরোপ থেকে আসে। ফলে এ খাতে বড় ধাক্কা আসতে পারে।

বেশি দামে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করায় দেশে এসে ওইসব পণ্য মূল্যস্ফীতির হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি কমাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমানোর নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নীতি সুদের হার দুই দফায় কমানো হয়েছে। রপ্তানি ঋণের সুদের হার ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

তবে এখনও ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানো হয়নি। তবে এ খাতেও ঋণের সুদের হার বাড়ানোর জন্য প্রচণ্ড চাপ আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর। কেননা ব্যাংকে এখন আমানত কমে যাচ্ছে। আমানত বাড়াতে হলে সুদের হার বাড়াতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ ও আমানতের ক্ষেত্রে ৯-৬ নীতি (ঋণের সুদ ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদ ৬ শতাংশ) গ্রহণ করায় এখন ব্যাংকগুলো আমানতের সুদের হার বাড়াতে পারছে না। আমানতের সুদের হার বাড়লে ঋণের সুদের হারও বাড়াতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে ঋণের সুদের হার কমিয়ে বা বাড়িয়ে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো বা কমানো সম্ভব হয় না। কেননা গত দুই বছর ধরে ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারপরও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়েনি। করোনার সময় কিছু খাতে প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতেও ঋণপ্রবাহ বাড়েনি।

অবশেষে রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য রপ্তানির চুক্তি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এরপর দুপুরে তথ্যমন্ত্রী মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ দখলদারমুক্ত পাহাড়ি ভূমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠনের পর সমগ্র দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে সারা দেশ থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া থেকে শুরু করে বরিশালের বানারিপাড়া, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে।

তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়ি দখল করে রাতারাতি সেই বাড়ির মধ্যে পুকুর খনন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল তারা অসাম্প্রদায়িক দল আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বাঁশখালীতেও একই অপরাধে তৎকালীন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় বিএনপি নেতা আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ড ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেদিন সংসদ সদস্যের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এ দেশে থাকতে পারে না, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, তাহলে রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িকতার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজকে এগোতে পারছে না। যেখানেই সাম্প্রদায়িকতা আছে সেখানেই রাষ্ট্র এগোতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি। জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, আদালতের মারপ্যাঁচ ও বিএনপির অনীহাসহ সবকিছু মিলিয়ে আমরা সরকার গঠনের পরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে ৪০ বছরের মতো সময় লেগেছে। বাঁশখালীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রেও এত দীর্ঘসূত্রিতা কাম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউমিনিটি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানেই মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছে সরকারে থাকেন বা না থাকেন তিনি সেখানে ছুটে গেছেন। মিয়ানমারের শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। রোহিঙ্গা রিফিউজিদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।