ইউক্রেনকে রকেট দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে আরও তিন হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই চালানে অত্যাধুনিক রকেট, হাউইটজার কামান ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেন।

পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে এবার হাইড্রা ৭০ আনগাইডেড রকেট দেওয়া হবে। এই অস্ত্র যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায়।

এছাড়া হিমরাস রকেট সিস্টেম থেকে ছোড়া যায় এমন রকেটও দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের কাজে তা ব্যবহার করা হবে।

মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই জরুরি ভিত্তিতে এই অস্ত্রগুলো দেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের আছে। তাই ইউক্রেনের হাতে তাড়াতাড়ি এসব অস্ত্র পৌঁছে যাবে।

এছাড়া ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা ১০৯ কোটি ডলারের গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দেবে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ জানিয়েছেন, তারা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এজন্য অস্ত্র, গুলি, গোলা পাওয়াটা খুবই জরুরি।

রাশিয়ার সিদ্ধান্ত

এদিকে রাশিয়াও ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেন প্রত্যাঘাত করতে পারে ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেনা কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, এখন খুব কম সময়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে, এমন অস্ত্র বানানোটা খুবই জরুরি।

সূত্র- ডয়চে ভেলে

জাহাঙ্গীরের বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আ.লীগ: মায়া

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির নির্বাচনের আগে এ নির্বাচন দেশবাসীর জন্য আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হওয়ার জন্য আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুরের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি, ৯টি থানা, ৪৮০ টি কেন্দ্র, ৫৭ ওয়ার্ড। একটা বিশাল এলাকা। নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে গেলে বিশাল কর্মীবাহিনী দরকার। তাই আমরা গাজীপুরে সর্বস্তরের জনগণ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার পক্ষের সব মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করে এই নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই। ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা জয়লাভ করতে চাই৷ সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে কেউ যেন নির্বাচনে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য আমাদের কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেখানে আমাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকবে। সেখান থেকে আমরা এটা নির্বাচন পরিচালনা করব৷ নির্বাচন পরিচালনার জন্য থানা ভিত্তিক আমাদের কমিটি হবে। সেন্টার ভিত্তিকও কমিটি হবে। এবার স্তরে স্তরে আমরা কমিটিগুলো সাজাবো। ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে বেশিরভাগ কমিটি হয়ে গেছে। আগামী ৯ তারিখের আগে নির্বাচনের সব কাজ আমরা শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করতে চাই। আশা করি আমাদের নৌকার বিজয় হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। একইসঙ্গে আইনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয়, বরং সাইবার অপরাধ দমনের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৩ মে) দুপুরে রাজধারীর ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) হলরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজিত হয়।

মঙ্গলবার (২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সম্পাদক পরিষদের দাবির প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না। এখন এই আইনে কেউ অভিযোগ করলেই মামলা নেওয়া হয় না। এটি প্রথমে পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের নির্ধারিত সেলে পাঠানো হয়। সেখানে বিষয়টি যুক্তিযুক্ত মনে হলে পরে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় বা আদালতে পাঠানো হয়। মামলা হতে পারে এমন কিছু প্রতিষ্ঠিত না হলে গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ভবিষ্যতে প্রণয়ন করা প্রত্যেক আইনে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে। যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাইবার অপরাধ দমনে আইন রয়েছে। বাংলদেশেও এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয় তখন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এখন আইনটির অপব্যবহার কমেছে। এটিকে আরও পরিশুদ্ধ করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি, যাতে আইনটির সমস্যাগুলো সমাধান করে সকলের গ্রহণযোগ্য একটা আইন করা যায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয় দাবি করে আনিসুল হক বলেন, এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী কখনো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না, তিনিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান। এখন ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্বাধীনতা না থাকলে এগুলো নিয়ে আলোচনায় যেতাম না। আইন হচ্ছে ডাটা প্রোটেক্ট করার জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়। মুক্তগণমাধ্যম নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময় মতামত নেওয়া হয়নি, সম্পাদক পরিষদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আইনটি যখন করা হয় তখন তারা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আসে। যে পর্যায়ে আলোচনা করতে আসে তখন আইনটি সংসদে চলে যায়। কিন্তু স্ট্যান্ডিং কমিটিতে তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছেন, তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সবাই আইনটির ব্যপারে ঐক্যমত ছিলেন। তাদের মতামত অনুযায়ী ২১ ধারায় শাস্তি কমানোর বিষয়টি গ্রহণ করা হয়, জামিনযোগ্য এবং অজামিনযোগ্যের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যাব। প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট নিয়েও আলোচনা হবে। আমরা সবসময় আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখতে চাই, আলোচনা না করে কিছু হবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের চেষ্টা করা হবে। এ আইনে কারো অভিযোগ পর্যবেক্ষণের জন্য যে সেল করা হয়েছে সেটি আইসিটি মন্ত্রণালয় বা আইন মন্ত্রণালয়ে পাবেন না, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাবেন।

স্বাধীন সাংবাদিকতা করার অধিকার সবার আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সত্য তুলে ধরার দায়িত্ব আপনাদের। প্রত্যেকটা জিনিসেরই দুইটা দিক থাকে, আপনারা দুটোই তুলে ধরবেন যাতে জনগণ বুঝে নিতে পারে।

মুক্তগণমাধ্যমের সূচকে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের নিচে অবস্থান করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নীর্ণায়কে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের নিচে থাকে, আমার বিষয়ে সেই নির্ণায়কের বিষয়েই সকলের প্রশ্ন থাকা উচিৎ।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন বাংলাদেশের রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর জিউন লিউইস, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইন চার্জ সুজান ভিজ।

সূপ্রীম কোর্ট নির্বাচনেব্যাপক কারচুপি,আওয়ামী পুলিশের তান্ডব

লিখেছেন এম ডি কামরুল হাসান

আজ বুধবার সূপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে শুরু হয়েছে। সূপ্রীম কোর্ট অডেটোরিয়ামের সমস্ত প্রবেশ পথ বন্ধ করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা এরপর নিজেদের ইচ্ছেমত ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি দলের সমর্থকেরা এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর শুরু করে এবং পুলিশের মাধ্যমে উপস্থিত সাংবাদিক ও আইনজীবিদের উপর হামলে পড়ে। এই ঘটনায় বি এন পি নেতা জনাব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন মারাত্নক আহত হন এবং একইসাথে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা গুরুতর আহত হন। এডভোকেট আল ফয়সাল সিদ্দিকী তাঁর ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেন যে,

২০-২৫ জন পুলিশ দিয়ে একজন আইনজীবীকে রাইফেলের বাট দিয়ে গরুর মতো পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে আপনারা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে কি প্রতিষ্ঠা করলেন? ২০০-৩০০ জন সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীকে কয়েকশ পুলিশ দিয়ে বের করে ভোট কেন্দ্র দখল করে কি প্রতিষ্ঠা করলেন? আমি আল্লাহর কাছেও বিচার দিবো না। নিজের কষ্ট নিজের মধ্যে জমা রাখলাম।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অবিলম্বে বন্ধ করে নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। বুধবার বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেলের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ‘নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বারের একটি ঐতিহ্য আছে। অবৈধভাবে কেউ নির্বাচনের নামে সুপ্রিম কোর্ট বারকে কলঙ্কিত করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট বারে যেটা হচ্ছে সেটা কোনো নির্বাচন নয়। আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে চার বার গিয়েছি। তিনি দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট বারে নির্বাচনের নামে এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করুন। আর যারা আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে। এটা কোনো নির্বাচন নয়, নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

’জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সারাদেশে যে নির্বাচন নেই তারই ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনকে অবৈধভাবে কলঙ্কিত করছে সরকার সমর্থকরা। তারা নিজেরা ব্যালট ছাপিয়ে এনেছে। এতে আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের ইতিহাসে এই প্রথম পুলিশ প্রবেশ করে আমাদের, আমাদের

বোনদের ও সাংবাদিকদের আহত করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, বাংলাদেশ ল‘ইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন সরকার, ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ শতাধিক আইনজীবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (এসসিবিএ) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ক্ষমতাসীন দলকে “অস্বাভাবিক চোর” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “তাদের (আওয়ামী লীগের) লক্ষ্য একটাই, চুরি করা। আমরা সাধারণত তাদের ভোট চোর বলি। তারা জাতীয় নির্বাচনে এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কারচুপি করে। এখন তারা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারে ভোট কারচুপি করেছে। আসলে, তারা অস্বাভাবিক চোর”। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ চুরি ছাড়া কিছুই করে না। “তারা চুরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে এবং এটি তাদের পেশা এবং নেশা… তারা চুরির মাধ্যমে দেশের সম্পদও নষ্ট করেছে”।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ব্যাপক চুরি করে দেশের বিদ্যুৎ খাত ধ্বংস করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে (মঙ্গলবার রাতে) ভূয়া ও স্ট্যাম্পযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে তোলপাড় শুরু হয়। “তারা (আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা) আমাদের সাতবারের নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্ট বারের সেক্রেটারিকে (মাহবুবউদ্দিন খোকন) লাঞ্ছিত করে আহত করেছে”।

এ ঘটনায় মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থী ১ হাজার আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেথ্য, বুধবার সকাল ১০টার দিকে এসসিবিএ নির্বাচনে দুই দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় কিছু বিএনপিপন্থী আইনজীবী একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

 

ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় আইনকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ফৌজদারী আইনে মামলা

গত ২০ নভেম্বর ২০২২ এ রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে “এথিস্ট এরা” নামক ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যাকে কেন্দ্র করে ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোঃ আরমান হোসাইন সহ আরো ১৯ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে ফৌজদারী আইনের ২৯৫ ধারার অধীনে। মামলার বাদী মো ইয়াসিন আলম ভূঁইয়া। জানা গেছে এই ম্যাগাজিন দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন সহ অফলাইনে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশের যে আইনসমূহ ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয় সে-সমস্ত আইন ও বাংলাদেশ সরকারের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কুৎসা রটিয়ে আসছিলো। চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ১৬ নং আদালতে বিচারক জনাব আহমেদ হুমায়ূন কবীর এই মামলাটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সঙ্গায়িত করে পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপারের বরাবরে তদন্তের জন্যে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেবার তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২। এদিকে এই মামলাকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে কিছু এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। মামলার নম্বর – সি.আর – ২৩৪/২০২২।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, কমল চন্দ্র দাস, জিশান তারভীর মোস্তফা, জোবায়ের হোসেন, এম ডি আসাদুজ্জামান খান রণি, জনি চন্দ্র সাহা, এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, ইমরুল কায়েস,  মোঃ জাকির হোসাইন,  এমডি জহিরুল ইসলাম, রেদোয়ানুর রহমান, এম ডি রাসেল মিয়া, মোহাইমিনুল বিশ্বাস পারভেজ, আসিফ ইসলাম, কে এম মাহফুজুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, জনি জোসেফ কস্তা, মোহাম্মদ মইন উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ আল আমিন কায়সার, এবং এম ডি আব্দুল রাজ্জাক।

এই ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ ইয়াসিন আলম ভূঁইয়ার সাথে কথা বলা হলে তিনি তাঁর আক্রোশ প্রকাশ করেন মামলার বিবাদীদের বিপক্ষে। তিনি বলেন, “আমরা দেশের আইন মেনে মামলায় এসেছি। এরা শুধু যে ইসলামের বিপক্ষে বলে ক্ষান্ত হচ্ছে তা কিন্তু না, এরা একই সাথে বাংলাদেশ সরকার ও আমাদের প্রাণপ্রিয় আওয়ামী সরকারের আইন ও সংবিধান নিয়ে আক্রমণ করছে বিশেষ করে নাস্তিক ও সমকামীদের বিরূদ্ধে বাংলাদেশে যে প্রচলিত সুন্দর আইন-ব্যবস্থা আছে সেটাকে নষ্ট করবার পায়তাঁরা এই কাফিরদের। আওয়ামী সরকারের একজন সমর্থক ও কর্মী হিসেবেই বলছি যে এদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নিলে খুব বিপদে পড়ে যাবেন  আমাদের নেত্রী ভবিষ্যতে।” তিনি আরো ইঙ্গিত দেন যে পুলিশ ও আদালত এই ব্যাপারগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তৌহিদী জনতা নিজেরাই এই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। “যথাযথ ব্যবস্থা” বলতে কী বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে জনাব কাজী এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

এইদিকে আদালত সূত্রে জানা যায় এই মামলাকে ঘিরে আদালত পাড়ায় ছিলো নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও উপচে পড়া ভীড়। আদালত পাড়ায় বাদীর সাথে যুক্ত হওয়া অনেকেই “নারায়ে তাকবীর আল্লাহ হু আকবর” ধ্বনিতে আদালত প্রাঙ্গন মুখরিত করে রাখেন।

পুলিশ সূত্র বর্তমানে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। আসামী পক্ষের এইথিস্ট এরা ম্যাগাজিনের সাথে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ব্লগার এবং নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে মিছিল

নাস্তিকদের শাস্তির দাবীতে মিছিল

নুরুজ্জামান আলি

হেফাজতে ইসলামসহ আরো কয়েকটি ইসলামী সংগঠন বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারকে ব্লগার এবং নাস্তিকদের আইনের আওতায় এনে তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী দলগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে মিছিল এবং সমাবেশ করে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। তাছাড়া কোনও কোনও এলাকার অলিতে-গলিতে দেয়ালে দেয়ালে নাস্তিকদের পোষ্টার লাগিয়ে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে  গত রবিবার (২০/১১/২০২২) ইয়াসিন আলম ভুইয়া নামের হেফাজতে ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী ‘এথিস্ট এরা’ নামের একটি ম্যাগাজিনের সকল ব্লগার/ নাস্তিকদের নামে মামলা দায়ের করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিয়ে জানা যায় যে, এথিস্ট এরা নামের এই ওয়েবসাইটটি ইসলাম ধর্মকে অত্যন্ত নোংরাভাবে ফুটিয়ে তুলে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত করে। মূলত যা দেখেই ইসলামী সংগঠনগুলো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এ বিষয়ে মামলার বাদি ইয়াসিনের সাথে কথা হলে তিনি আমাদের বলেন ’’হঠাৎ করেই ফেসবুকের মাধ্যমে এই ম্যাগাজিনটি আমার চোখে পড়ে, আমি কৌতুহল বশত এটি ডাউনলোড করে দেখতে পারি সেখানে ধর্ম, মুসলিম, কোরআন এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে নানাবিদ কুরুচিপূর্ন  শব্ধ ব্যবহার করে ‘বিনাশ হোক ধর্ম‘ নামে এই মাগাজিনটি প্রকাশিত করে, যা একজন মুসলিম হিসেবে মেনে নিতে পারিনি এবং আমি মনে করি এদেরকে কতল (হত্যা) করা আমার এবং আমাদের সকল মুসলিমদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে।

মামলার আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের যে কয়টি নাম বলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েক জন হলেন এথিস্ট  এরা’র সম্পাদক এম ডি আরমান হোসাইন সহ এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, আশরাফ হোসাইন, তানভীর আহমেদ, যোবায়ের আহমেদ, জনি সাহা সহ আরো অনেকেই।

এদিকে মিছিল এবং সমাবেশে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা সাংবাদিকেদের জানান যে, ‘‘বর্তমানে নাস্তিক এবং কিছু নব্য ব্লগারদে উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে এগুলো মেনে নেওয়া কোনও মুসলমানদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের কলিজার টুকরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।‘‘

তাদের মধ্যে আর একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব মুফতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।’’

এদিকে সমাবেশ চলাকালে মুফতি আহমদ উল্লাহ জিহাদী উপস্থিত থাকা দ্বীনদার ভাইদের উদ্দেশে বলেন যে, ‘‘যদি কোন মুসলিম মুরতাদ হয়ে যায় এবং মুরতাদের সকল শর্ত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় (সুস্থ- মস্তিস্ক, বালেগ, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া) তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং ইমাম তথা মুসলমানদের শাসক অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেমন বিচারক তাকে হত্যা করবে। তাকে গোসল করানো হবে না, তার জানাযা-নামায পড়ানো হবে না এবং তাকে মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা হবে না।‘‘

হেফাজেত ইসলামে এক কর্মীর কাছে দেয়ালে পোস্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন যে, ‘‘সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ যারা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহ এবং আমাদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করবে, গালি-গালাজ করবে, কটূক্তি করবে তারা সবাই আমাদের টার্গেট। ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের হত্যা করবো।’’

উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম নাস্তিক এবং ব্লগারদের ছবি যেভাবে দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়েছে, ২০১৬ সালে ঠিক এভাবেই ফেসবুক পেজে চার ব্লগারের ছবি প্রকাশ করে হত্যার হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। তারা হচ্ছেন আসিফ মহিউদ্দিন, সানিউর রহমান, শাম্মি হক ও অনন্য আজাদ। তারা সবাই এখন প্রবাসী। জঙ্গি হামলার ভয়ে এসব ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অনেক আগেই দেশ ছেড়েছেন।

অবশেষে রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য রপ্তানির চুক্তি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এরপর দুপুরে তথ্যমন্ত্রী মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ দখলদারমুক্ত পাহাড়ি ভূমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠনের পর সমগ্র দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে সারা দেশ থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া থেকে শুরু করে বরিশালের বানারিপাড়া, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে।

তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়ি দখল করে রাতারাতি সেই বাড়ির মধ্যে পুকুর খনন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল তারা অসাম্প্রদায়িক দল আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বাঁশখালীতেও একই অপরাধে তৎকালীন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় বিএনপি নেতা আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ড ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেদিন সংসদ সদস্যের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এ দেশে থাকতে পারে না, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, তাহলে রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িকতার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজকে এগোতে পারছে না। যেখানেই সাম্প্রদায়িকতা আছে সেখানেই রাষ্ট্র এগোতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি। জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, আদালতের মারপ্যাঁচ ও বিএনপির অনীহাসহ সবকিছু মিলিয়ে আমরা সরকার গঠনের পরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে ৪০ বছরের মতো সময় লেগেছে। বাঁশখালীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রেও এত দীর্ঘসূত্রিতা কাম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউমিনিটি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানেই মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছে সরকারে থাকেন বা না থাকেন তিনি সেখানে ছুটে গেছেন। মিয়ানমারের শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। রোহিঙ্গা রিফিউজিদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এরপর দুপুরে তথ্যমন্ত্রী মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ দখলদারমুক্ত পাহাড়ি ভূমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠনের পর সমগ্র দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে সারা দেশ থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া থেকে শুরু করে বরিশালের বানারিপাড়া, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে।

তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়ি দখল করে রাতারাতি সেই বাড়ির মধ্যে পুকুর খনন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল তারা অসাম্প্রদায়িক দল আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বাঁশখালীতেও একই অপরাধে তৎকালীন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় বিএনপি নেতা আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ড ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেদিন সংসদ সদস্যের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এ দেশে থাকতে পারে না, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, তাহলে রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িকতার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজকে এগোতে পারছে না। যেখানেই সাম্প্রদায়িকতা আছে সেখানেই রাষ্ট্র এগোতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি। জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, আদালতের মারপ্যাঁচ ও বিএনপির অনীহাসহ সবকিছু মিলিয়ে আমরা সরকার গঠনের পরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে ৪০ বছরের মতো সময় লেগেছে। বাঁশখালীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রেও এত দীর্ঘসূত্রিতা কাম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউমিনিটি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানেই মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছে সরকারে থাকেন বা না থাকেন তিনি সেখানে ছুটে গেছেন। মিয়ানমারের শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। রোহিঙ্গা রিফিউজিদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামীলীগ নেতারা মূর্খ

কামরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে
আওয়ামী মূর্খতার আসলে কোন সীমা কিংবা পরিসীমা নাই। এদের যা ইচ্ছে এরা তা বলে। এদের যা ইচ্ছে এরা তা করে। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা এদের মূর্খতা ঢাকার সামান্যতম চেষ্টাও আবার করে না।
আপনি যদি আওয়ামী লীগার হয়ে থাকেন, আপনার তিনটা পিএইচডি থাকলেও আপনি একজন মূর্খ- এই সত্যটা বারবার প্রমাণ করাটা আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ দুইটা একতরফা এবং জোরজবরদস্তির নির্বাচন করে মানুষকে বুঝ দেয়ার চেষ্টা করতেছে যে ১৯৯৬ সালে বিএনপিও একতরফা নির্বাচন করছিল, তাই তাদের সব নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধগুলা হালাল।
এই ব্যাপারে তারা The New York Times-এর একটা খবর ব্যবহার করতেছে Bangladesh Facing an Election Crisis শিরোণামের। এখন দেখি সেই খবরে কী কী বলা হইছে-
‘Mrs. Zia and (…) Sheik Hasina Wazed, have failed to settle a dispute that has been marked by streets protests, general strikes, bombings and perhaps a score of deaths since an opposition walkout from Parliament in March 1994.’
অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগ, তাদের সেই সময়ের মিত্র জামাতে ইসলামী আর জাতীয় পার্টির ১৪০ জনের বেশি এমপি নিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে হরতাল-বোমাবাজি করে যে সংকট শুরু করছিল তা সমাধান করা যায় নাই।
আপনারা জানেন, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিব যে সংবিধান বানায়ে গেছে, সেই সংবিধানে আছে যে সংবিধান পরিবর্তন করতে হইলে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগে। শেখ হাসিনা তখন জামাত আর জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সংসদ থেকে বের হয়ে যাওয়ায় তখন দুই-তৃতীয়াংশ এমপিই সংসদে ছিল না, তাই হাসিনার মন মত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ করাতে একটা নতুন নির্বাচন করে সংসদের দুইশো এমপির সমর্থন দরকার ছিল।
বেগম জিয়া তখন উদারতার সাথে হাসিনা এবং তার মিত্রদের তৈরি সমস্যা সমাধানের জন্য সেই নির্বাচন করতে বাধ্য হইছিলেন। নাহলে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলই পাশ করানো যেত না।
বেগম জিয়া কতটা উদার ছিলেন তার প্রমাণ আছে এই রিপোর্টেই-
‘Mrs. Zia has offered to step down before the polls, but has insisted that executive power in the election period rest with the figurehead President, Abdur Rahman Biswas.’
অর্থাৎ একটা ভালো নির্বাচনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতেও চাইছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার দাবী ছিল, ‘elections be held under a neutral “caretaker” government’, আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডার সেই পেপার কাটিং-এ এইটা স্পষ্ট লেখা আছে।
বেগম জিয়ার উদারতার জবাবে আওয়ামী লীগের অক্সফোর্ড পাশ এক নেতা কী বলছে দেখেন সেই প্রতিবেদন থেকে- “What you will see will not be a whimper — it will be a series of bangs,” said Abu Hassan Chowdhury, an Oxford-educated lawyer who is a close aide to Sheik Hasina.
অর্থাৎ আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে না, তারা একের পর এক বোমাবাজি করবে।
আওয়ামী লীগের চামচাদের বলবো, আপনারা একটা কিছু শেয়ার করার আগে ভিতরে কী আছে একটু পড়ে নিলে ভালো হয়। দেশের সব মানুষ তো আপনাদের মত দশটাকায় কমেন্ট করা মূর্খ না।
পুরো প্রতিবেদন পাবেন এখানে- https://www.nytimes.com/…/bangladesh-facing-an-election…

প্রধানমন্ত্রীকে ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অশালীন, অভব্য এবং প্রাণঘাতী হুমকিস্বরূপ লেখা ও মন্তব্য ছাঁপানোর জের ধরে ডিজিটাল আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে নিয়ে দৈনিক নবযুগ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় কটূক্তি ও হত্যার হুমকি প্রদানের দায়ে গত ৩রা অক্টোবর লক্ষীপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বেলায়েত হোসেন (ক্ষমতাপ্রাপ্ত)  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর অধীনে মামলা গ্রহণ করে আমলে নিয়ে আদেশ জারী করা হয়। আওয়ামী লীগ এর তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক মোঃ হৃদয় কাজী বাদী হয়ে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১ এ মামলাটি দায়ের করেন (মামলার নংঃ সি.আর. ৪৭৭/২০২১) যার শুনানী হয় ৩রা অক্টোবরে। উক্ত মামলাতে লেখক, প্রকাশক ও সকল বক্তব্য প্রদানকারীকে আসামী করে মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন – ইসরাত রশিদ (৩৬, সম্পাদক, দৈনিক নবযুগ), জনি জোসেফ ডি কস্তা(৩২, সহ-সম্পাদক, দৈনিক নবযুগ), নুরুল হুদা(২৯, সিনিয়র সহ-সম্পাদক, দৈনিক নবযুগ),  নূর মুহাম্মাদ (সিনিয়র উপদেষ্টা, দৈনিক নবযুগ), আলী আমিন (৩৯, প্রকাশক, দৈনিক নবযুগ), পীরজাদা তানভীর আহমেদ (২৪),  মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম জায়গীরদার(৩৬), মোঃ আব্দুল রাজ্জাক (২৭), মোঃ মাসুম সাজ্জাদ (৩২), আরিফুল হক আরিফ (২৬), মোঃ জাকির হোসাইন (২৯),  মোঃ রাজিম হোসাইন (৩০), শিপলু কুমার বর্মন (৪২),  মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, আবু সাঈদ (২৫), মোঃ আল-আমিন কায়সার (৩১),  এম.ডি মারাজ মিয়া (২৭), এম.ডি শাইম (২০),  আহসানুল কবির (৩৫), এমডি তোফায়েল হোসাইন, মোঃ শহীদুল ইসলাম (৩৮), সামিউজ্জামান সিদ্দীক (৪০), এম.ডি সাব্বির হোসাইন (৪০, সম্পাদক, পোর্টাল বাংলাদেশ), এম.ডি জহিরুল ইসলাম (৩৩), আল মাহফুজ (২৪), এম.ডি ওবায়দুর রহমান খান, মোঃ আরাথ হোসেন রনি (২৯), উম্মা কুলসুম নার্গিস বানু (৩৯), নুরুল ফারুক শাকের (৩৫), মোহাম্মাদ নিজামুল হক (৪৬), মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মোঃ মিজানুর রাহামান, এমডি কানজিদ হাসান সহ আরো অনেকে।

এ মামলার বিষয়ে বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান, “এই মামলার আসামীরা প্রত্যেকে দীর্ঘদিন যাবত অনলাইনে সরকার তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা দৈনিক নবযুগ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাঁপায় মার্চ ২০২১-এ। সেখানে তারা যাবতীয় কুৎসিত বানোয়াট এবং অসত্য কথা লিখেছিল কিছু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে যে ব্যাপারে আমি কথা বলতে চাইনা এবং যার প্রেক্ষিতে বোধহয় তাদের বিরূদ্ধে যথোপযুক্ত একটা মামলাও হয়েছিল। সে মামলার ব্যাপারে সঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে এই পত্রিকা আরো একটি লেখা ছাঁপে বেশ কিছু মন্তব্যসহকারে মে-মাসে যেখানে সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা রোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় আগের মামলার জের ধরে। মামলা কোর্টে মোকাবিলা না করে গণমাধ্যমে বিচারালয় বসিয়ে দিয়েছে। আর সে লিখাগুলোতে এবং মন্তব্যে সরাসরি আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে এবং আমাদের জাতির ঋণ যে পরিবারের কাছে – সে শেখ পরিবারকে নিয়ে যাচ্ছেতাই কথাবার্তা লিখা হয়েছে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয়, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কটূক্তি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “তারা শুধু কটূক্তিই করেনি, বরং দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর সমগ্র পরিবারকে উচ্ছেদ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। যা খুবই ভয়ঙ্কর, আমাদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ ও এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এসকল লেখকেরা দেশের বিরুদ্ধে নিরন্তর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এবং এটি এক ধরনের মহামারি আকার ধারণ করার আগেই বন্ধ করে দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত। এজন্যই বিষয়টিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই মামলাটি করেছি।”

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটি দায়ের হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত কমলনগর থানার ওসিকে ৩০ দিন সময় দিয়েছেন মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্যে।  আগামী ২০শে ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানীর তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

কমলনগর থানার সাথে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিবেদককে জানান, “অভিযোগ আসার পর থেকেই আমরা দ্রুততার সাথে কাজ করছি। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই আমরা একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ তদন্ত সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের কাছে বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট আসলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাইকে এ বিষয়ে অবহিত করতে পারবো।”

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে আমাদের এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করলে তাদের কারো সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।