বিশ্বখ্যাত আরবি ক্যালিগ্রাফারের ইন্তেকাল

বিশ্বখ্যাত আরবি ক্যালিগ্রাফার আব্বাস শাকির জুদি আল-বাগদাদি (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন। মঙ্গলবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

ইরাকভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-সুমারিয়া নিউজ চ্যানেল সূত্রে জানা যায়, আব্বাস আল-বাগদাদি ইরাকের মুদ্রা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সনদ ও নথিপত্রের নকশা করেছেন। মুসলিম বিশ্বে তিনি আরবি অক্ষরের প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ক্যালিগ্রাফার আব্বাস আল-বাগদাদি ১৯৪৯ সালে ইরাকের বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামী অলঙ্করণ ও আরবি ক্যালিগ্রাফিতে তার দীর্ঘ পদচারণ রয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি আরবি লিপিশিল্পীদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তাকে ‘মাসহাফে সাদ্দাম’খ্যাত পবিত্র কোরআনের অনুলিপি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন তিনি নিজ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় পুরো কোরআনের অনুলিপি তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে ইরাক সরকার কর্তৃক তা প্রকাশিত হয়।

মানুষ এ বছরই জানবে মান্না কিভাবে মারা গেছে : শেলী

বাংলাদেশের শূন্য দশক-পরবর্তী চলচ্চিত্রের সময়টা এককভাবে নিজের আয়ত্তে রেখেছিলেন চিত্রনায়ক মান্না। সেই মান্না আকস্মিকভাবে ‘নাই’ হয়ে গেলেন। মান্নার মৃত্যু এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি লক্ষকোটি ভক্ত। এখনো মান্নার জন্য চোখের জল আসে অজস্র অনুরাগীর। আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি, চিত্রনায়ক মান্নার প্রয়াণের আজ ১৩ বছর।

২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার ওরফে মান্না। কিন্তু মান্নার ওই মৃত্যুকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক মানতে রাজি নন মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না। তার দাবি মান্নাকে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। কোনো প্রস্তুতি না রেখেই মান্নাকে হার্টের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, যেটা উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাশাস্ত্রে ঘটে না। শেলি জানান, এ বছরই মান্নার শুনানি হবে, আর মানুষ জানবে মান্নার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে।

সম্প্রতি মান্নার স্ত্রী শেলী, মান্নার মৃত্যুর ওই সময়টা পুরোপুরি কথাপ্রবাহে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির উঠোনে বসে শেলী বলেন, ‘আমি একজন ডাক্তারের মেয়ে। আমার বাবা একজন ডাক্তার। বাংলাদেশে এমবিবিএস তখনো চালু হয়নি। আমার বাবা কলকাতা থেকে পাস করেছেন। সেই আমলের ডাক্তার। আমার বাবা যেহেতু আক্তার, সেহেতু আমি ডাক্তারদের খাটো করে কিছু বলছি না। বলতে গেলে আমাদের দেশের সিস্টেম, প্রক্রিয়ার কথা বলতে হয়। আমার বাবা ডাক্তার, সেহেতু আমি কিছুটা জানি। আমি যেখানে চাকরি করি, সেখানে সব ব্যাপারে প্রশিক্ষণ নেই। উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে  হয়।’

মান্নার মৃত্যুর পূর্বের সময়টা উল্লেখ করে শেলী বলেন, ‘মান্না মাঝরাতে যখন বাসায় ফিরেছে তখন বুকে একটু ব্যথা করছিল। রাতে খাওয়াদাওয়া করেছে, কিন্তু ব্যথা তো যায়নি। মান্না হলো অতি সতর্ক একজন মানুষ। আমরা হলে হয়তো এতটা হতাম না। মান্না ইগনোর করে না। একটা অ্যালার্জি হলেও ডাক্তারের কাছে যায়। ওর অসুখবিসুখ বলতে কিছু ছিল না, শুধু এসিডিটি ছিল। যেহেতু ব্যথা কমছে না, মান্না ভাবল ইউনাইটেড হাসপাতালে যাই। কেন ইউনাইটেডে যাবে, কারণ পিতা-মাতার শুটিং ইউনাইটেড হাসপাতালে করা হয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল, ইউনাইটেড হাসপাতাল মনে হয় বেস্ট। ওয়েল অর্গানাইজড।

শেলী বলেন,  মান্না কিন্তু গাড়ি চালিয়ে গেছে। ডাক্তারের ভাষায় অ্যাকুইট হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। যদি কারো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় সে কোনোভাবেই গাড়ি চালিয়ে যেতে পারবে না। একটা স্টেপও নিতে পারবে না। ইউনাইটেড হাসপাতাল আমাদেরকে যেসব ফুটেজ দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে মান্না হেঁটে গিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন টেস্ট করিয়েছে। তারপর ভর্তি হয়েছে। তাকে কিন্তু কেউ ধরেও নেয়নি, কিছু না। সে একজন স্বাভাবিক মানুষ গিয়েছে। গ্যাসের পেইন, হার্টের পেইন সেইম। ডাক্তাররাও একইভাবে ট্রিটমেন্ট করেন।

হাসপাতালে ভর্তির নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে শেলী বলেন, মান্না যখন হাসপাতালে ভর্তি হলো তখন ভোর পৌনে পাঁচটা। আমি যদি বাংলাদেশে থাকতাম তাহলে কী করতাম? যে হার্টের স্পেশালিস্ট তাকে দেখাতাম। এই কারণে…। আমার যখন হাত ভেঙে গিয়েছিল তখন আমি অর্থোপেডিকস ডাক্তারের কাছেই গিয়েছিলাম। সাধারণ ডাক্তাররা কিন্তু আমার হাত জোড়া লাগাতে পারবে না। মান্নার চিকিৎসা কিন্তু সাধারণ ডাক্তাররা করেছে। ট্রিটমেন্ট করে যখন কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেছে। ৭টা ৪০-এর দিকে তারা হার্টের একটা ইনজেকশন দেয়। ইনজেকশনের নাম এসকে। অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াই এসব করা হয়েছে। আমরা কেস করেছি, এগুলো পয়েন্ট আছে।’

উন্নত দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা সামনে টেনে এনে প্রয়াত চিত্রনায়কের স্ত্রী বলেন সিঙ্গাপুর বলেন, ‘ব্যাংকক বলেন, উন্নত দেশে অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত রেখে, কার্ডিওলজিস্ট সঙ্গে রেখে তারপর ওই এসকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। মান্নার বেলায় এসব করা হয়নি। ওই ইনজেকশন দেওয়ার পর মান্না গোঙরাইছে। গোঙরানিতে মান্না তখন বমি করে দিয়েছে। তাদের ডাক্তার রুটিন অনুযায়ী ৯টায় এসেছে। ডাক্তার ফাতেমার আন্ডারে ট্রিটমেন্ট। ওই হাসপাতালে কি প্রোসিডিউর ছিল না বলেন? ওই সময় ইমার্জেন্সিতে নিয়ে অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাইট টাইমে রাইট চিকিৎসাটা করত, দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিটের হিসাব; কিন্তু দিতে পারেনি। আমাদের সিক্সথ সেন্স কাজ করেছে, এই হতে পারত, ওই হতে পারত।’

দুই ঘণ্টার হিসাব কি পাননি? শেলী বলেন, ‘ওরা তো আমাদের ফেস টু ফেস আসেইনি। মামলা ওরা দীর্ঘায়িত করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। মামলাটাকে ম্যানুপুলেট করে ফেলছে। মান্নার মতো একজন মানুষের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে একজন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? এই বছরই একটা শুনানি হবে। এই শুনানি হলে হয়তো আমরা এক যুগ পরে হলেও ন্যায়বিচার পাব। মানুষ জানবে যে মান্না কিভাবে মারা গেছে। ভুল চিকিৎসা, দেরিতে চিকিৎসা– এসবই মান্নার জীবনে ঘটেছে।’

বিয়ে করলেন নাসির

বিয়ে করেছেন জাতীয় দলের আলোচিত ক্রিকেটার নাসির হোসেন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠান হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাসিরের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র। অনুষ্ঠানে, পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, কনে তামিমা তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। কাজ করেন বিদেশি একটি এয়ারলাইন্সে।

দুজনের চেনাজানা অনেক আগে থেকেই। গেলো বছর সেপ্টেম্বরে ইন্সট্রাগ্রামে একটি মেয়েকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন নাসির। যদিও মিনিট দশেক পর পোস্টটা ডিলিটও করে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

জাতীয় দলে নাসির হোসেন অনিয়মিত হয়েছেন অনেক আগেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেললেও অতটা সুবিধা করতে পারছেন না।

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-২০ লিগেও দল পাননি এ অলরাউন্ডা। যদিও সেই নাসিরের কাঁধেই নেতৃত্বভার তুলে দিয়েছিলো আবুধাবি টি-টেন লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি পুনে ডেভিলস।

খুব উড়ছেন পরীমনি

আজকাল খুব উড়ছেন পরী! গেল বছরের শেষ আর চলে বছরের শুরুটা- বুঝি মনিময় ঢালিউড।

চয়নিকা চৌধুরীর প্রথম সিনেমা ‌‘বিশ্বসুন্দরী’ দিয়ে গেল বছর হ্যাপি এন্ডিং করে নতুন বছরের রাজকীয় শুরুটা হলো তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’ দিয়ে! এরমধ্যেই যুক্ত হলেন রাশিদ পলাশ ঐতিহাসিক ছবি ‘প্রীতিলতা’ আর ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’ ইউনিটে। তার সাম্প্রতিক ৪টি ছবিই যে কোনও অভিনেত্রীর জন্য ঈর্ষণীয়।

পরীমনিপরীমনিসম্ভবত পরী নিজেও সেটি টের পেয়েছেন মহামারি পেরিয়ে নতুন বছরে পা ফেলে! কারণ, বিরামহীন উড়ছেন- শুটিংয়ের কাজে। অথচ তার একটাই বদনাম ছিলো- কুইন অব সিডিউল মিসিং!

এসব অপবাদের দিন বুঝি ফুরালো। বদলে গেছেন পরীমনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢালিউডে পরীমনির চেয়ে ডেডিকেটেড অভিনেত্রী আপাতত আর একজনও নেই। যেমন টানা ১০ দিন সিলেট অঞ্চলে ‘মুখোশ’ ছবির শুটিং করে ক্লান্ত-শ্রান্ত পরী ঢুলুঢুলু চোখে ঢাকায় ফিরেছেন বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে।

দম ফেলার সুযোগ বৃহস্পতিবার দিনটুকুই ছিলো। কারণ, আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরেই ধরতে হবে ফের সিলেটের উড়োজাহাজ।

পরীমনিপরীমনিপরী জানান, ‌‘বিশ্বসুন্দরী’ মুক্তির পর বিরতিহীনভাবে চলেছে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। তারসঙ্গে আজ (শুক্রবার) থেকে প্রদর্শন শুরু হচ্ছে জেলা শহরগুলোর মিলনায়তনে।

এই উদ্যোগের শুরুটা হচ্ছে সিলেটের শাহী ঈদগাহে অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে। বিকাল ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টা এবং শনিবার বিকাল ৩টা, ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় দর্শনীর বিনিময়ে দেখানো হবে সিনেমাটি।

আর এমন একটি অসাধারণ উদ্যোগের সঙ্গে পরীর হাজিরা থাকবে না! কারণ, সিনেমার অনেক নামজাদা তারকার মতো- শুটিং শেষ তো সিডিউলও শেষ; এমন নীতিতে চলেন না এই অভিনেত্রী।

পরীমনিপরীমনিপরীমনির ভাষায়, ‘‘যে চলচ্চিত্রকে আমি বিশ্বাস করি, সেটার সাথে আমি শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই। সেটি হিট না ফ্লপ- আমি বিবেচনা করি না। আর ‘বিশ্বসুন্দরী’-তো মহামারির অন্ধকার বছরে আলো ছড়িয়েছে সবার মনে। টানা ৯টা সপ্তাহ এই ছবিটি মানুষ দেখছে। এটার সঙ্গে তো আমি থাকবোই। কষ্ট হলেও আমি শুক্রবার সিলেটে যাচ্ছি। প্রয়োজনে অন্য জেলাতেও যাবো।’’

সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের প্রযোজনায় ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান। এতে পরীমনির বিপরীতে অভিনয় করেছেন সিয়াম।

পরীমনি এরমধ্যে শেষ করে রেখেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। আবু রায়হান জুয়েলের পরিচালনায় বিশেষ এই শিশুতোষ ছবিতেও পরীর বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ।

চুক্তিবদ্ধ হয়ে আছেন শফিক হাসানের ‘দ্য অ্যাডভাইজার’ ছবির জন্য। এরমধ্যে শেষ করেছেন প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘পাফ ড্যাডি’। বিশ্বাস করেন, এই কাজগুলো তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেকদিন। জোগাবে বাঁচার ইচ্ছাও।

পরীমনিপরীমনিপরীমনি বলেন, ‘‘মূলত ‘স্বপ্নজাল’ থেকে আমার ভেতরে এই পরিবর্তন এসেছে। আমি সারাক্ষণ ভালো গল্প আর চরিত্র খুঁজতে থাকি। যে ছবিগুলো সম্প্রতি করেছি আর করছি- প্রতিটি কাজ নিয়ে আমার অনেক ভরসা। আমি ইদানীং এটাও অনুভব করি, আমার দিকেও প্রযোজক, নির্মাতা আর দর্শকরা তাকিয়ে আছেন তৃষিত হয়ে। তাই আমার এই বিরামহীন ওড়া-উড়ি!’’

স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা তাই বিরতিতে যাচ্ছেন কপিল শর্মা

কিছুদিনের জন্য হচ্ছে না ‘কপিল শর্মা শো’। ভারতীয় জনপ্রিয় এই কমেডি শো এবার ছোট্ট বিরতিতে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার টুইটারে এই তথ্য জানিয়েছেন এই শোর প্রধান আকর্ষণ কপিল শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের ঘরে আসছে দ্বিতীয় সন্তান। স্ত্রীকে সময় দিতেই আপাতত পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন এই অভিনেতা।
এর আগে কিছু গণমাধ্যম প্রতিবেদন করেছিল, কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে ‘কপিল শর্মা শো’। তারপর কিছু পরিবর্তন করে ফিরবে আবার। টুইটারে প্রশ্ন–উত্তরের একটি পর্বে একজন ভক্ত কপিলকে শো বন্ধের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কারণ, আমার দ্বিতীয় সন্তান আসছে। এই মুহূর্তে আমার স্ত্রীর আমাকে বেশি প্রয়োজন।’

কপিল শর্মা আর শাহরুখ খান

কপিল শর্মা আর শাহরুখ খান
ইনস্টাগ্রাম

এরপরই গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায় টুইটারে কপিল শোর সাময়িক বন্ধ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। পাঞ্জাবের জলন্ধরে ২০১৮ সালে দীর্ঘদিনের বান্ধবী গিনি ছত্রাতকে বিয়ে করেন ভারতের ছোট পর্দার জনপ্রিয় উপস্থাপক ও কৌতুকশিল্পী কপিল শর্মা।

এর আগে এই কমেডিয়ান টুইটারে সবার সঙ্গে তাঁর বান্ধবীকে পরিচয় করিয়ে দেন। গিনি ছত্রাতের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি শেয়ার করে কপিল টুইট করে লিখেছেন, ‘ও আমার বেটার হাফ বলব না; বরং বলব, ও আমাকে পরিপূর্ণ করছে। গিনি, তোমাকে ভালোবাসি। সবাই ওকে স্বাগত জানান।’

স্ত্রী গিনি ছত্রাতের সঙ্গে কপিল শর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

স্ত্রী গিনি ছত্রাতের সঙ্গে কপিল শর্মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

গিনি ছত্রাত ব্যবসায়ী। পাঞ্জাবের জলন্ধরে তিনি ও কপিল একসঙ্গে কলেজে পড়াশোনা করেছেন। কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা স্ট্যান্ডআপ কমেডি করেছেন। কপিলকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। কপিল আর গিনির পরিচয় ১১ বছরের। কপিলের পরিবারও গিনিকে পছন্দ করে।
২০১৯ সালে মেয়ের বাবা হন কপিল। ‘ফুটফুটে কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছি। আপনারা আশীর্বাদ করুন।’ টুইটারে লিখেছিলেন জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পী, অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক কপিল শর্মা। এভাবেই নিজের বাবা হওয়ার খুশির খবর সবার সঙ্গে ভাগ করেছিলেন তিনি।
‘কপিল শর্মা শো’তে কপিল ছাড়াও আরও অংশগ্রহণ করেন ভারতি সিং, সুমনা চক্রবর্তী, ক্রুষ্ণা অভিষেক ও কিকু সারদা। এ বছরের প্রথম দিকে কপিল শর্মা নেটফ্লিক্সের একটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তবে এটি কি কমেডি শো, সিরিজ, নাকি সিনেমা, তা জানাননি তিনি। ২০২১ সালে মুক্তি পাবে এটি।

ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে আজকের ছবি

জাতীয় জাদুঘর (প্রধান মিলনায়তন) : সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ‘ফিশ আন্ডার দ্য আইস’ (চীন), দুপুর ১টায় ‘ডেথ অব ডেথ’ (ফিনল্যান্ড, ভারত), দুপুর ৩টায় ‘জুয়ান’ (ফ্রান্স, প্যারাগুয়ে), বিকেল ৫টায় ‘অ্যাংকর বেবি’ (চীন), সন্ধ্যা ৭টায় ‘হাফিয়া স্ট্রিট’ (ইরাক)।

জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তন : সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ‘টাক-টাক’ (ভারত), দুপুর ১টায় ‘সিনেমা শাহর-ই ঘিসেহ’ (ইরান), বিকেল ৩টায় ‘দ্য প্রোটাগনিস্ট’ (আর্জেন্টিনা), বিকেল ৫টায় স্বল্প ও মুক্ত চলচ্চিত্র বিভাগে দেখানো হবে ৯টি ছবি, সন্ধ্যা ৭টায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ (বাংলাদেশ)।

জাতীয় জাদুঘর (সুফিয়া কামাল মিলনায়তন) : সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ‘জলসাঘর’ (ভারত), দুপুর ১টায় স্পিরিচুয়াল বিভাগে দেখানো হবে চারটি ছবি, বিকেল ৩টায় নারী নির্মাতা বিভাগে দেখানো হবে ছয়টি ছবি, বিকেল ৫টায় নারী নির্মাতা বিভাগে দেখানো হবে আরো দুটি ছবি, সন্ধ্যা ৭টায় ‘৬৭ ডেজ দ্য রিপাবলিক অব ইউজিতজে’ (সার্বিয়া)।

শিল্পকলা একাডেমি : সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ‘মাস্টার মশাই’ (ভারত), দুপুর ১টায় ‘দ্য ওম্যান’ (মঙ্গোলিয়া), বিকেল ৩টায় ‘ফারওয়ে ল্যান্ড’ (তুরস্ক), বিকেল ৫টায় ‘কেয়ারলেস ক্রাইম’ (ইরান)।

শিল্পকলা একাডেমি (জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন) : সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ‘পথের পাঁচালী’ (ভারত), দুপুর ১টায় ‘সিরিয়াল ড্রিমস’ (ইরান), বিকেল ৩টায় স্বল্প ও মুক্ত চলচ্চিত্র বিভাগে দেখানো হবে আটটি ছবি, বিকেল ৫টায় ‘দ্য পারসেল’ (ভারত)।

উন্মুক্ত প্রদর্শনী : শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ‘দুনিয়া বদলে দেওয়া যুগান্তকারী নেতৃত্ব’ বিভাগে উন্মুক্ত প্রদর্শন হবে ‘মোটরসাইকেল ডায়েরিজ’।

দেবলীনাকে ধর্ষণের হুমকি, যা বললেন জয় গোস্বামী

নিজে নিরামিষাশী হলেও, তিনি গরুর মাংস রান্না করতে পারেন। সম্প্রতি একটি টক শো-তে হাজির হয়ে এমনই মন্তব্য করেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। তাঁর ওই মন্তব্যের পরই সামাজিক মাধ্যম জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। দেবলীনার এধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলে নেটিজেনদের একাংশ আক্রমণ করেন।

জিনিউজকে দেবলীনা জানান, আমার বন্ধু এক সময় বলেছিলেন, অষ্টমী বা নবমীর দিন তিনি যদি নিজের বাড়িতে বসে গরুর মাংস রান্না করেন, তাহলে কার কী!  নিজের বাড়িতে বসে তিনি যদি গরুর মাংস রান্না করেন, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’

ব্যক্তিগত বিষয়ে কারোর হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলেও পাল্টা সুর চড়ান অভিনেত্রী।

ওই শো-এর পরপরই দেবলীনার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। দেবলীনা দত্তের বিরুদ্ধ অভিযোগ-এর ঘটনায় কী বলছেন শিল্পী মহল?

জয় গোস্বামী বলেন,  দেবলীনা দত্ত যা বলেছেন, আমি তাতে ১০০ ভাগ সমর্থন করি। খাদ্যাভাস ব্যক্তিগত বিষয়। খাদ্যাভাস ব্যক্তির নূনতম অধিকারের মধ্যে পড়ে। উনি তো কোনও অপরাধ করেননি। উনি তো খাদ্যাভাসের কথা বলেছেন। ওঁর বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ হবে? ব্যক্তিগত খাদ্যাভাসের উপর রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে। রাষ্ট্র বলছি, কারণ যে নেতা অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলই রাষ্ট্র শাসন করছে।

ভারতবর্ষ কোনওদিনই ধর্মকেন্দ্রীয় রাষ্ট্র নয়। দেবলীনা দত্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের বিরোধিতা করছি। আমি অত্যন্ত লজ্জিত। কেন্দ্রীয় সরকার ব্য়ক্তি স্বাধীনতার উপর ধর্মকে চাপিয়ে দিতে চাইছেন। তাঁর স্বীকার দেবলীনা দত্ত। তিনি সহজভাবে খোলামেলা একটা কথা বলেছেন। অর্থাৎ বাকস্বাধীনতার উপরও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সেটাও ধর্মের দোহাই দিয়ে। আমি এর ধিক্কার জানাচ্ছি।

অভিনেত্রী আশার মৃত্যু: আড়াই ঘণ্টার হিসাব দিয়েছেন বাইক চালক

৩ জানুয়ারি রাতে অভিনেত্রী আশা চৌধুরী নিহত হওয়ায় ঘটনা নিয়ে তিন রকম তথ্য দিয়েছেন মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদ। তিনি প্রথমে বলেছিলেন পথ ভুলে রাস্তায় ঘুরছেন। পরে জানান, রাস্তা পার হতে গিয়ে আশা ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেছেন। শেষে জানান, রাস্তার মোড় ঘোরার জন্য তাঁরা দুজনই মোটরসাইকেলে বসে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর এসব কথায় সন্দেহ হয় আশার পরিবারের। যে কারণে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন আশার বাবা। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে আড়াই ঘণ্টার হিসাব দিয়েছেন চালক।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অভিনেত্রী আশা চৌধুরী

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অভিনেত্রী আশা চৌধুরী 
ছবি: সংগৃহীত

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহান আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারে হওয়ার পরে বাইকচালক শামীম আহমদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তিনি জানান, আড়াই ঘণ্টা তিনি অভিনেত্রী আশাকে নিয়ে মিরপুর, টেকনিক্যাল মোড় এলাকাসহ বেশ কিছু স্থানে ঘোরাঘুরি করেছেন। কিন্তু তাঁরা বনানী থেকে আড়াই ঘণ্টা কোথায় গিয়েছিলেন, কী করেছিলেন সেসব ঘটনা ও তার পেছনের ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন তদন্ত দল।

তিনি বলেন, ‘আশার পরিবারের দাবি, তাঁকে মাদক বা নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়ে থাকতে পারে, সেটা আমরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলেই জানতে পারব। তবে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এটা ঠিক। কিন্তু তার আগে আড়াই ঘণ্টায় অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, সেটা আমরা তদন্ত করব। তদন্তের স্বার্থে চালককে আমরা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারি।’

আশা চৌধুরী মারা যাওয়ার ঘটনায় দারুস সালাম থানায় মামলা হয়েছে

আশা চৌধুরী মারা যাওয়ার ঘটনায় দারুস সালাম থানায় মামলা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। যে কারণে একেকবার একেক কথা বলেছেন। একবার বলেছিল পথ ভুলে গেছেন; কখনো বলছেন, আশা রাস্তা পার হচ্ছিলেন। শামীমের দাবি, মূলত তাঁরা রাস্তার মোড় ঘোরার জন্য মোটরবাইকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে একটি ট্রাক তার বাইকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আশাকে ২০ ফিট দূরে ফেলে দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনার সেই ভিডিওটি থানা কর্তৃপক্ষের কাছে আছে। তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন ঘাতক ট্রাক ও চালককে ধরতে।

মোটরবাইকচালক শামীম আহমেদ বিভিন্ন রকম কথা বলায় আশার পরিবারে সন্দেহকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আশার বাবা আবু কালাম জানান, দুর্ঘটনার রাতেই শামীমের কথায় তাদের সন্দেহ হয়। সেই রাত থেকেই তারা চোখে চোখে রাখে। পরের দিন লাশ পোস্টমর্টেমের সময় শামীমকে সন্দেহ করে তারা পুলিশের হাতে দেয়।

তিনি বলেন, ‘বারবার সে কেন কথা বদলাচ্ছে, সেটা আমরা জানি না। ঘটনার সঙ্গে শামীম জড়িত সন্দেহ মামলা করেছি। পুলিশ আমাদের সন্দেহ দূর করে ট্রাকচালকসহ জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনুক।’

অভিনেতা জাহিদ হাসানের সঙ্গে

অভিনেতা জাহিদ হাসানের সঙ্গে
ছবি: ফেসবুক থেকে

 শুরুতে গাজীপুরের বোর্ড বাজার থেকে ফেরার কথা বলা হলেও আশার পরিবার থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে বনানী এলাকা থেকে রওনা হয়েছিলেন আশা। ৩ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে আশা তাঁর মাকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি বনানীতে আছেন। ২০ মিনিটের আশাদের মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসায় ফেরার কথা ছিল। আশার মা-বাবা ধরে নিয়েছিলেন মেয়ে বাসায় ফিরতে বড়জোর সাড়ে ১১টা বাজতে পারে। রাত প্রায় দুইটার দিকে আশাকে বহন করা মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদ অভিনেত্রী আশার পরিবারকে ফোন দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনান কথা জানান।
চার বোনের মধ্যে আশা চৌধুরী বড়। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারে পড়াশোনা করতেন তিনি। প্রায় চার বছর আগে তিনি অভিনয় জগতে আসেন। নাটকে অভিনয়, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছাড়াও তিনি বিজ্ঞাপন ও গানের মডেল হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন।

লিঙ্গ রুপান্তর করে নারী থেকে পুরুষ হলেন অভিনেত্রী

এলেন পেজ মানেই পরিচিত তিনি। লিঙ্গ রুপান্তর করে নারী থেকে পুরুষ হওয়া এলেন এখন ‘ইলিয়ট পেজ’। ১ ডিসেম্বর নিজের জীবনের অন্যতম এই তথ্যটি প্রকাশ্যে আনলেন এলেন নিজেই।

সোশাল মিডিয়ার এক পোস্টে ৩৩ বছর বয়সী অভিনেতা লিখেছেন, ‘বন্ধুগণ, আমি জানাতে চাই যে আমি নিজেকে রুপান্তর করেছি। এখন থেকে আমাকে ‘হি/দে’ বলুন এবং আমার নাম এলিয়ট। এটা একটা অদ্ভুত ভালোলাগা। এই অনুভূতিটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কী দুর্দান্ত একটা ভালোলাগা, এখন আমি যা সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরতে পারব। আমার আসল সত্ত্বা এটা।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির বহু মানুষ দ্বারা ভীষণরকমভাবে অনুপ্রাণিত। তোমাদের সকলকে সাহসের জোগানোর জন্য ধন্যবাদ। তোমাদের প্রয়াস আমাকে অনুপ্রাণিত করে তোলে।’

এলিয়টের এই সিদ্ধান্ত ও রুপান্তরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হলিউডের অনেক তারকাই। তারা সোশাল মিডিয়ায় এলিয়টকে ট্যাগ করে সাহসী এই পদক্ষেপের জন্য শুভকামনা জানান।

মিস্টার বিন হয়ে ওঠা তাঁর জন্য বিরক্তিকর একঘেয়ে ছিল

মিস্টার বিন। নামটি বলার পরে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনো দরকার পড়ে না। টেলিভিশনের পর্দায় কৌতুক অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন ভক্তদের হৃদয়। মি. বিন মানেই এক পশলা হাসির ঝলক। কিন্তু এই চরিত্রের অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন বেজায় বিরক্ত। মি. বিন চরিত্র দিয়ে দর্শককে আনন্দ দিলেও নিজের কাছে এটি ছিল চরম বিরক্তিকর ও একঘেয়ে একটি বিষয়।
ব্রিটিশ এই অভিনেতা যখন মিস্টার বিন হয়ে ওঠেন, তখন তিনি স্নাতকোত্তরে পড়ছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় রোয়ান অ্যাটকিনসন অভিনীত জেমস বন্ড সিরিজের ছবি ‘নেভার সে নেভার এগিন’ চলচ্চিত্র। এতে রোয়ান অ্যাটকিনসন গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিই রোয়ান অ্যাটকিনসন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। এরপরের বছর রোয়ান অ্যাটকিনসন অভিনয় করেন ‘ডেড অন টাইম’মুভিটিতে। ১৯৯০ সালে প্রথম তিনি মিস্টার বিন হিসেবে আসেন ছোট পর্দায়। এই শো প্রথম প্রচারিত হয় ১৯৯০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৫টি পর্বে প্রচারিত হয়েছিল এটি। সিরিজটি সারা বিশ্বের ২৪৫টি এলাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি সিরিজটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অ্যানিমেটেড সিরিজও বানানো হয়েছে। বানানো হয়েছে দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

৬৫ বছর বয়স্ক এই অভিনেতা এখন অ্যানিমেশন ছবি ‘মি. বিন’–এর কাজে ব্যস্ত। তিনি জানান, মি. বিন চরিত্রটি করতে তিনি কখনোই আনন্দ পাননি। তা ছাড়া চরিত্রটি করতে প্রচুর দায়িত্বশীল আচরণও করতে হয়েছে তাঁকে।

রোয়ান অ্যাটকিনসন

রোয়ান অ্যাটকিনসন

রোয়ান অ্যাটকিনসন বলেন, ‘আমি চরিত্রটি (মিস্টার বিন) তৈরি করতে খুব একটা আনন্দ পাইনি। আমার কাছে খুবই চাপ ও একঘেয়ে মনে হয়েছে। আমি চাইছিলাম কবে এটি শেষ হয়ে যাবে।’ বেশ কয়েক বছর আগে ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিন চরিত্রে আর হাজির না হওয়ার ঘোষণা দেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এই চরিত্রটি দিনে দিনে তাকে শিশুতে রূপান্তর করে দিচ্ছে। এই চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য যে শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয়, সেটিও আজকাল আর তিনি পাচ্ছেন না। এ ছাড়া তাঁর মতে, ‘একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিকে শিশুসুলভ অভিনয় করাটা একেবারেই বেমানান। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমি সিরিয়াসধর্মী চরিত্রগুলোতেই শুধু অভিনয় করব।’

তবে মিস্টার বিনের এমন জনপ্রিয়তায় এতটুকুও বিস্মিত হননি রোয়ান অ্যাটকিনসন। তাঁর মতে, একজন বয়স্ক মানুষকে দিয়ে শিশুদের মতো আচরণ করে কৌতুক তৈরি করা আগাগোড়াই একটা মজার বিষয়। এ কারণেই এখানে কথার চেয়ে ভিজ্যুয়াল অভিনয় গুরুত্ব পেয়েছে। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে সফল হয়েছে। ২০০৫ সালের রম্য দর্শকদের ভোটে ব্রিটিশ কমেডি ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ৫০ কমেডিয়ানের তালিকায় নাম ওঠে রোয়ানের। ইংল্যান্ডের রাজনীতি এবং রাজপরিবারে রোয়ানের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। রাজপরিবারের বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ডারহামের ক্যাথেড্রাল স্কুলে রোয়ানের সঙ্গী ছিলেন টনি ব্লেয়ার (যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী)।

‘জনি ইংলিশ স্ট্রাইকস অ্যাগেইন’ ছবিতে রোয়ান অ্যাটকিনসন

‘জনি ইংলিশ স্ট্রাইকস অ্যাগেইন’ ছবিতে রোয়ান অ্যাটকিনসন