বিয়ে করলেন নাসির

বিয়ে করেছেন জাতীয় দলের আলোচিত ক্রিকেটার নাসির হোসেন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠান হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাসিরের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র। অনুষ্ঠানে, পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, কনে তামিমা তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। কাজ করেন বিদেশি একটি এয়ারলাইন্সে।

দুজনের চেনাজানা অনেক আগে থেকেই। গেলো বছর সেপ্টেম্বরে ইন্সট্রাগ্রামে একটি মেয়েকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন নাসির। যদিও মিনিট দশেক পর পোস্টটা ডিলিটও করে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

জাতীয় দলে নাসির হোসেন অনিয়মিত হয়েছেন অনেক আগেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেললেও অতটা সুবিধা করতে পারছেন না।

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-২০ লিগেও দল পাননি এ অলরাউন্ডা। যদিও সেই নাসিরের কাঁধেই নেতৃত্বভার তুলে দিয়েছিলো আবুধাবি টি-টেন লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি পুনে ডেভিলস।

পাকিস্তানের মাঠে আফ্রিকার দাপট

পাকিস্তানের মাঠে দাপুটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে (১-১) ফিরল অতিথিরা।

১৪৫ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের জয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন রেজা হেনরিক্স, পাইট ভ্যান বিলজোন ও ডেভিড মিলাররা। ৪২ রান করে করেন বিলজোন ও হেনরিক্স।  ১৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত মিলার। ৯ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন অধিনায়ক হেনরিক্স ক্লেসেন।

মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটি আর ফাহিম আশরাফের ব্যাটিং তাণ্ডবে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪৪ রান। ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে শেষদিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। মাত্র ১২ বল মোকাবেলায় ৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি।

শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটি আর ফাহিম আশরাফের ব্যাটিং তাণ্ডবের পরও ১৪৪/৭ রানে ইনিংস গুটায় পাকিস্তান।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি (১০৪) করা মোহাম্মদ রিজওয়ান শনিবার করেন ৫১ রান।

এদিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়াই করে যান রিজওয়ান। তার একার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন রিজওয়ান। তার ইনিংসটি ৪১ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় সাজানো।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৪/৭ (মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫১, ফাহিম আশরাফ ৩০*, ইফতেখার ২০; ৫/১৭ ডোয়েন প্রিটোরিয়াস)।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬.২ ওভারে ১৪৫/৪ (হেনরিক্স ৪৩, বিলজোন ৪২, মিলার ২৫*, ক্লেসেন ১৭*)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী।

‘পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলা খুবই জরুরি’

ফুটবলের গৌরব ফিরে পেতে পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলা খুবই জরুরি বলে মনে করেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম। মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে আয়োজিত ফুটবল খেলায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

আসলাম বলেন, ছোট ছোট এসব খেলা থেকে যুব সমাজের অবক্ষয় রোধ হবে, সুন্দর জীবন ও গতি ফিরে পাবে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা উপভোগ করেন তিনি। এতে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। গাছা একাদশকে শূন্য এক গোলে হারিয়ে পূবাইল জয়ী হন। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ার বিপুলসংখ্যক ফুটবলপ্রেমী খেলায় উল্লাস করতে দেখা যায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন ৩৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.আব্দুল্লা আল মামুন মণ্ডল। এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো.ফয়সাল আহসান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি, প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই নূরুল ইসলাম পাঠান, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আকরাম হোসেন সরকার প্রমুখ।

৭ দিনের এই টুর্নামেন্টে গাজীপুর মহানগরের গাছা, পূবাইল, টঙ্গী, কাশিমপুর, কাউলতিয়া, বাসন, জয়দেবপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার ৮টি দল অংশ নেবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করার কথা রয়েছে।

মঁপিলিয়েরকে গুঁড়িয়ে পিএসজি’র দুর্দান্ত জয়

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) বড় জয় পেয়েছে। শুক্রবার রাতে তারা দশজনের মঁপিলিয়েরকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে।

শুক্রবার পিএসজির মাঠে ১৯ মিনিটেই দশজনের দলে পরিণত হয় মঁপিলিয়ের। এ সময় এমবাপ্পেকে ফাউল করে কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অমলিন। দশজনের দলের সুযোগ নিয়ে ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। এ সময় অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার বাড়িয়ে দেওয়া বল চিপে জালে জড়িয়ে এমবাপ্পে এগিয়ে নেন দলকে। ৬০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। তাকে গোলে সহায়তা করেন এমবাপ্পে।

৬১ মিনিটের মাথায় ইকার্দি গোল করে ব্যবধান করেন ৩-০। আর ৬৩ মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণে ইকার্দির বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। তার জোড়া গোলে পিএসজি এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পচেত্তিনোর শিষ্যরা।

 

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে লিলের চেয়ে ৩ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পিএসজি। ২১ ম্যাচ থেকে পিএসজির সংগ্রহ ৪৫ পয়েন্ট। তারা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। এক ম্যাচ কম খেলা লিলের সংগ্রহ ৪২। তারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ২১ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে মঁপিলিয়ের রয়েছে একাদশতম স্থানে।

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ক্রিকেটারদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন

সরকারিভাবে যে ৫০ লাখ করোনাভাইরাসের টিকা আনা হচ্ছে, সেখানে ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশা করছে বিসিবি। যদি সেখান থেকে ক্রিকেটাররা ভ্যাকসিন না পান, তাহলে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের জন্য টিকা কিনবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। সেই প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শেষে বুধবার (২০ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি টিকা নিয়ে বিসিবির ভাবনা জানান। যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করাসহ দেশের ক্রিকেট কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে চান তারা।

এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি জানান, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যে ৫০ লক্ষ আছে সেটি তো থাকবেই। এছাড়া প্রাইভেট আরও কিছু ভ্যাকসিন আনবো। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আসবে। সেটা আসলে খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার থাকবে বলে শুনেছি। যদি সেটি হয় তাহলে খুবই ভালো হবে।’

চলে গেলেন রাইসউদ্দিন আহমেদ

করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট ছিলেন। আজ বুধবার চলে গেলেন প্রবীণ ক্রিকেট সংগঠক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাইসউদ্দিন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সকাল সাগে ৯টায় তিনি মারা যান। রাইসউদ্দিন আহমেদের ছেলে আশফাক আহমেদ প্রথম আলোকে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে এ প্রবীণ ক্রিকেট সংগঠকের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

৪৪ বছর আগে এই জানুয়ারি মাসেই যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ১৯৭৭ সালের ৭ জানুয়ারি মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বিপক্ষে যে তিন দিনের ম্যাচটি দিয়ে জাতীয় দলের যাত্রা শুরু, রাইসউদ্দিন আহমেদ সেটি আয়োজনে নেপথ্যে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্থানের পর্বে ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে ছিল তাঁর নাম।

করোনা পজিটিভ হলে গত ২৫ ডিসেম্বর রাইসউদ্দিন আহমেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে তিনি রূপচাঁদা-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন।

২০১৭ সালে রূপচাঁদা–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন রাইসউদ্দিন আহমেদ। মঞ্চে এই প্রজন্মের ক্রীড়া তারকাদের সঙ্গে সেদিন গল্পে মেতেছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে রূপচাঁদা–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন রাইসউদ্দিন আহমেদ। মঞ্চে এই প্রজন্মের ক্রীড়া তারকাদের সঙ্গে সেদিন গল্পে মেতেছিলেন তিনি।

ব্রিসবেন টেস্ট: ভারতের সামনে ৩২৮ রানের টার্গেট

ব্রিসবেনের গ্যাবায় বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ ও শেষ টেস্টে সফরকারী ভারতকে ৩২৮ রানের টার্গেট দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৪ রানে অলআউট হয়েছে টিম পেইনের দল। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানের লিড থাকায় ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩২৮ রান।

বিনা উইকেটে ২১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। দলকে শুভ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ডেভিড ওয়ার্নার। হ্যারিস ৩৮ ও ওয়ার্নার ৪৮ রান করেন। সর্বোচ্চ ৫৫ রান আসে স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন ৩৭ ও টিম পেইন ২৭ রান করেন। প্যাট কামিন্স অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।

ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ সিরাজ ৫ উইকেট লাভ করেন। এছাড়া শার্দুল ঠাকুর নেন ৪টি উইকেট।

অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রান করে আর ভারত করে ৩৩৬ রান। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ এ সমতায় আছে। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ও মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে ভারত জয় লাভ করে। সিডনিতে সিরিজে তৃতীয় টেস্টটি ড্র হয়। ব্রিসবেন টেস্টটি তাই সিরিজ নির্ধারণী হিসেবে পরিণত হয়েছে।

চাটি মেরে লাল কার্ড দেখলেন মেসি

এমন দৃশ্য দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। এমনকি লিওনেল মেসিও ভাবতে পারেননি কী কাণ্ড করতে চলেছেন তিনি! ম্যাচের একদম অন্তিম সময়, দল ৩-২ গোলে পিছিয়ে, এ অবস্থায় কার মাথা ঠিক থাকে!

সেভিয়ায় কাল রাতে স্প্যানিশ সুপার কোপার ফাইনালে একেবারে শেষ মুহূর্তে মেসিরও মাথা ঠিক থাকেনি। ম্যাচের ১২১তম মিনিটে (অতিরিক্ত সময়) লাল কার্ড দেখেন মেসি। বার্সেলোনা ক্যারিয়ারে এটাই তাঁর প্রথম লাল কার্ড। মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁর মাঠ ছাড়ার দৃশ্যটা মনে থাকবে বার্সা–সমর্থকদের।

অ্যাথলেটিক বিলবাও বক্সের বাইরে বল পেয়েছিলেন মেসি। বাঁ প্রান্তে সতীর্থকে বল ঠেলে বিলবাওয়ের বক্সে ঢুকতে দৌড় শুরু করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। তাঁকে বাধা দিতে পাশ থেকে সামনে গিয়ে পড়েন বিলবাওয়ের স্ট্রাইকার আসিয়ের ভিয়ালিব্রে। ম্যাচে যেকোনো মুহূর্তে শেষ বাঁশি বাজবে, এর মধ্যে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সামনে পড়ে দৌড়ে বাধা দেওয়ায় সম্ভবত মেজাজ হারান বার্সা তারকা। ভিয়ালিব্রের মাথায় চাটি মেরে বসেন!

বার্সা ক্যারিয়ারের প্রথম লালকার্ড দেখলেন মেসি

মেসির এই অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) চোখ এড়ায়নি। মেসি যখন ভিয়ালিব্রেকে চাটি মারেন, তখন পায়ে বলও ছিল না। ‘অফ দ্য বল’ মুহূর্তে এমন মারাত্মক অপরাধের জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসিকে। বার্সাও ম্যাচটা হেরেছে ৩-২ ব্যবধানে। বার্সার মূল দলে ৭৫৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম লাল কার্ড মেসির। গোটা ক্যারিয়ারে এ নিয়ে চতুর্থবার লাল কার্ড দেখলেন তিনি। ২০০৫ সালে বার্সা ‘বি’ দলের হয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। এ ছাড়া আর্জেন্টিনার জার্সিতে লাল কার্ড দেখেছেন দুবার, এর মধ্যে রয়েছে তাঁর অভিষেক ম্যাচও।

চোটের কারণে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে পারেননি মেসি। ফাইনালে প্রথমার্ধে বার্সার প্রায় প্রতিটি আক্রমণের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ৪০ মিনিটে তাঁর গোল করার চেষ্টা প্রতিহত হলে বল পেয়ে যান আঁতোয়ান গ্রিজমান। বল জালে পাঠিয়ে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন বার্সার এই ফরাসি তারকা। সমতায় ফিরতে মাত্র ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছে বিলবাও। ইনাকি উইলিয়ামসের দুর্দান্ত পাস থেকে বিলবাওয়ের সমতাসূচক গোলটি করেন ডি মার্কোস।

বিরতির পর রাউল গার্সিয়ার হেডে করা গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এ অর্ধে বার্সাকে বেশ চাপে রেখেছিল মার্সেলিনো গার্সিয়ার দল। তবে নির্ধারিত সময় থেকে ১৪ মিনিট আগে খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে বার্সাকে শিরোপার সুবাস পাইয়ে দেন গ্রিজমান। কিন্তু নাটকের তখনো বাকি ছিল। ৯০ মিনিটে ভিয়াব্রের কল্যাণে আবারও সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় বিলবাও। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত বাঁকানো শটে বিলবাওকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন উইলিয়ামস। এরপর তো মেসির লাল কার্ড দেখার মধ্য দিয়ে রাতটা পুরোপুরি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় বার্সার জন্য।

বিলবাওয়ের কাছে ৩–২ গোলে হেরে সুপারকোপা হারাল বার্সেলোনা।

সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসা বিলবাওয়ের গত ছয় বছরের মধ্যে এটাই প্রথম শিরোপা। ২০১৫ সালে এই বার্সাকে হারিয়েই সুপার কোপার শিরোপা জিতেছিল বাস্ক প্রদেশের ক্লাবটি। অন্যদিকে, কোচ রোনাল্ড কোমানের অধীনে প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে খালি হাতে ফিরতে হলো বার্সাকে। তবে লা লিগায় ১৩ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে এমন হার নিশ্চিতভাবেই কষ্ট দেবে বার্সা সমর্থকদের।

লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া মেসির প্রতি সমব্যথী বার্সা কোচ কোমান, ‘মেসি যা করেছে, তার মর্ম আমি বুঝি। তাকে যে কতবার ফাউল করা হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। বল ড্রিবল করা কাউকে বারবার ফাউল করা হলে এমন প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক। তবে আমাকে এই দৃশ্যটা আবারও দেখতে হবে।’

তবে জোড়া গোল করা গ্রিজমান বার্সার হার মেনে নিতে পারছেন না, ‘ফাইনাল হারের পর যতটা খারাপ লাগা উচিত, ততটাই লাগছে। ভীষণ রাগ লাগছে। কারণ, সেট পিসে আমরা ভুল করেছি, ডিফেন্ডিং ভালো ছিল না। এমনকি সেট পিসে আমরা কথাও বলিনি, যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

ইঁদুর-বানরদের সুবাদে লাভ তুলছেন রোনালদোরা

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো বটেই, তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থরাও ভীষণ বিস্মিত হতে পারেন। মাঠে তাঁদের খেলা, দৌড়াদৌড়ি সর্বোপরি ‘মুভমেন্ট’-এর ভিডিও থেকে নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে থাকেন কোচ। ধরুন, পর্তুগাল জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা জানতে পারলেন, এভাবে ভিডিও থেকে মাঠে তাঁরা কেমন খেলছেন, সে বিশ্লেষণ করার কাজটা করা হচ্ছে অন্য সব প্রাণী ও অঙ্গের আচরণ ধরতে ব্যবহার করা প্রযুক্তি দিয়ে। এই যেমন ধরুন—ইঁদুর, বানর ও মানুষের চোখের নড়াচড়া।

বার্তা সংস্থা এএফপির এই খবর এতক্ষণে রোনালদো এবং তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থদের কানে পৌঁছানোর কথা। সংবাদ সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণের প্রতিষ্ঠান ‘মেট্রিকা স্পোর্টস’-এর স্প্যানিশ প্রধান নির্বাহী রুবেন সাভেদ্রা জানিয়েছেন, ইঁদুরের নড়াচড়া ও আচরণ বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্যকে রূপান্তর করে ‘মাঠে খেলোয়াড়দের চলাফেরা’ ধরতে ব্যবহার করা এমন কঠিন কোনো কাজ না।

বিজ্ঞাপন

সাভেদ্রা মেট্রিক স্পোর্টসের সহপ্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানের অন্য সহপ্রতিষ্ঠাতা আর্জেন্টাইন ব্রুনো দাগনিনো। দুজনে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন পিএইচডি করতে। দাগনিনো তখন বানর ও মানুষের চোখের নড়াচড়া নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। নিজেদের মধ্যে বিজ্ঞান ছাড়াও অন্য এক বিষয়ে মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাভেদ্রা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দুটি মিল ছিল। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার ভক্ত হিসেবে লিওনেল মেসি তো ছিলই। আর আমাদের বিভাগে শুধু আমরা দুজনই ছিলাম, যারা ফুটবল ভালোবাসতাম। ওখানে বিজ্ঞান নিয়ে ব্যস্ত অনেকেরই শখ বলতে কিছু ছিল না না। ভাগ্যিস, ফুটবল নিয়ে কথা বলতে পারতাম আমরা দুজন।’

সাভেদ্রা ও দাগনিনোর সঙ্গে আরেক আর্জেন্টাইন এনজো আনজিয়েত্তা যোগ দেওয়ার পর পরিপূর্ণ হয় তাঁদের দল। আনজিয়েত্তার ভিডিও প্রযোজনার প্রতিষ্ঠান ছিল। তিনজন মিলে এমন একটি প্রকল্প উদ্ভাবন করেন, যা ভিডিও বিশ্লেষণের সঙ্গে অন্য তথ্যগুলোও উপস্থাপন করতে পারে। এর আগে এসব তথ্য দিতে হলে ভিন্ন কোথাও বানিয়ে তার পর যোগ করতে হতো। কিন্তু এই তিনজন মিলে তথ্য ও ভিডিওর সন্নিবেশ ঘটিয়ে এমন এক সফটওয়্যার বানালেন, যেখানে ফুটবল বিশ্লেষণ ধারাবাহিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে।

সাভেদ্রার ভাষায়, ‘শুধু গ্রাফ ও একগাদা তথ্য ক্লাবগুলোর তেমন কাজে আসছিল না।’

বাঁ থেকে দাগনিনো, সাভেদ্রা ও আনজিয়েত্তা।

বাঁ থেকে দাগনিনো, সাভেদ্রা ও আনজিয়েত্তা।
ছবি: টুইটার

সাভেদ্রাদের এই ‘সিস্টেম’ মাঠে ফুটবলাররা কতটা জায়গা নিয়ে খেললেন, শুধু এসব তথ্যই দেয় না। খেলার দক্ষতা ও ম্যাচের নানা সময় তাঁদের অবস্থা নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ ও তথ্য দেয়। পর্তুগাল ও প্যারাগুয়ে জাতীয় দল ছাড়াও সান্তোস ও মেলবোর্ন ভিক্টরির মতো ক্লাব এই সিস্টেম ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। এ জন্য বছরে দলগুলোকে ব্যয় করতে হচ্ছে এক লাখ ইউরো। বিভিন্ন ক্লাব ও দল এত সহজে খেলোয়াড়দের তথ্য বিশ্লেষণ করার সুযোগটা লুফে নিয়েছে। আর এই প্রকল্পে লাভবান হওয়ার পর মুফতে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে। অর্থ ব্যয় করে নেওয়া সফটওয়্যারের সব সুবিধা না পেলেও ছোট ছোট ক্লাব বা আর্থিকভাবে দুর্বল একাডেমিগুলোর জন্য এটা দারুণ এক সুযোগ। এটি ডাউনলোড করে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের সাধারণ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে পারবেন যে কেউ। এরই মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন একাডেমি এই বিনা মূল্যে পাওয়া সুবিধা কাজে লাগাচ্ছে। শুধু ফুটবলই নয়, রাগবি, ক্রিকেট ও আইস হকির ক্ষেত্রেও তথ্য দিতে পারে এই ওয়েবসাইট।

বড় ক্লাবগুলো অনেক টাকা দিয়ে মেট্রিকের সেবা পেলেও এতে তাঁদের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিচার করতে সময় অনেক কম লাগছে। সাভেদ্রার ভাষায়, ‘আগে এসব হাতে হাতে করতে হতো। কিন্তু এখন প্রচুর সময় বেঁচে যাচ্ছে। আগে একজন ভিডিও বিশ্লেষক বসে ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত দেখতে বারবার থামাতেন, বিশ্লেষণ করতেন। একটা ম্যাচের জন্য চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগত। মেট্রিকা স্পোর্টসে মাত্র কয়েকটি ক্লিকে দুই-তিন মিনিটের মধ্যে হয়ে যাচ্ছে সব।’

এই পেলে সেই পেলে, নেই পেলে…

‘এই পেলে, সেই পেলে, নেই পেলে আগেরই মতো’?

প্রশ্নটি একসময়ে খ্যাতি কুড়োনো গায়ক মনি কিশোরের এক গানের চরণ ধরে—‘আকাশের রং বদলায়/ বদলায় মানুষের মন/ এই তুমি, সেই তুমি, নেই তুমি আগের–ই মতো’।

ফুটবলে পেলের প্রতিভা ও সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন চলে না। তিনবার বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে এভাবে চিনে এসেছেন সবাই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পেলেকে এভাবে কতটা চেনা যাচ্ছে? ৮০ বছর বয়স, জগৎজোড়া খ্যাতি ও সম্মান ছাপিয়ে পেলের হীনম্মন্যতা কি চোখে বিঁধছে?

এই প্রশ্নটা উঠছে আবার পেলের কারণেই। মেসি–রোনালদো ফুটবল–আকাশের রং বদলে দেওয়ার পর পেলের মনও কি বদলে গেছে?

বিজ্ঞাপন

কিছু পরিসংখ্যান ও হিসাবমতে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্লাকারের প্রকাশিত সংখ্যায় পেলের গোলসংখ্যা ৭৫৭ বলা হয়।

সান্তোসের হয়ে ৬৪৩, ব্রাজিলের হয়ে ৭৭ ও কসমসের হয়ে ৩৭ গোল। সে হিসাবে ৭৫৮ গোল করে পেলেকে টপকেছেন রোনালদো। এ ছাড়া কিছুদিন আগে এক ক্লাবের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোল করায় পেলেকে টপকে যান লিওনেল মেসি। কিন্তু পেলে তা মেনে নেবেন কেন?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পেলের অ্যাকাউন্ট ঘুরে দেখা গেছে, নিজের ‘বায়ো’তে (সংক্ষিপ্ত পরিচিতি) লিখেছেন, ‘সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১২৮৩)।’ ইঙ্গিতটা স্পষ্ট, মেসি-রোনালদোর কাছে হেরে যেতে রাজি নন পেলে।

তাঁর এই অ্যাকাউন্টে শ্যেন দৃষ্টি রাখা ভক্ত ও সংবাদমাধ্যমের দাবি উদিনেসের বিপক্ষে রোনালদো অফিশিয়াল ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতার ইতিহাস গড়ার পরই ইনস্টাগ্রামে নিজের ‘বায়ো’ পাল্টেছেন পেলে।

কিন্তু এই দাবির বিরুদ্ধে কাল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি যেন জিনেদিন জিদানের ‘মার্শেই টার্ন’ করলেন! পেলের দাবি, ইনস্টাগ্রামে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি কখনো ‘বায়ো’ (সংক্ষিপ্ত পরিচিতি) পাল্টাননি!

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে কাল এ নিয়ে লেখেন পেলে, ‘যে দুজন বড় তারকা আমার রেকর্ড ভেঙেছে, তাদের খাটো করতে আমি ইনস্টাগ্রামে বায়ো পাল্টেছি বলে সংবাদমাধ্যম অভিযোগ তুলেছে। আমি এই অঙ্গনে (ইনস্টাগ্রাম) যোগ দেওয়ার পর থেকে বায়োর লেখা একই রকম ছিল। তোমাদের (মেসি–রোনালদো) অবিশ্বাস্য অর্জন আমাদের মনোযোগ সরাতে পারবে না এসব বিষয়।’

পেলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ‘বায়ো’ (সংক্ষিপ্ত পরিচিতি)

পেলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ‘বায়ো’ (সংক্ষিপ্ত পরিচিতি)
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পেলে তাঁর ক্যারিয়ারে যে পরিমাণ খ্যাতি ও সম্মান কুড়িয়েছেন, তা আর কোনো ফুটবলার কখনো পাবেন কি না সন্দেহ। তবে পেলের হাজার গোলের (১২৮৩) দাবির বৈধতা নিয়ে প্রশ্নটা আজকের না।

কিন্তু পেলের সময়ে স্বীকৃত ও প্রীতি ম্যাচ ফুটবলের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখা হতো না। সান্তোসের দাবি, প্রীতি ম্যাচে করা পেলের ৪৪৮ গোলকেও হিসাবে আনতে হবে, কেননা গোলগুলো সে সময়ের সেরা দল ও ক্লাবের বিপক্ষে।

 

এদিকে প্রীতি ম্যাচে করা গোলগুলোকে হিসাবে নেওয়া হয় না, পেলের ক্ষেত্রেও করা হয়নি।

ফুটবল পরিসংখ্যানে ‘রেফারেন্স’ হিসেবে বিবেচিত ‘ফুতদাদোস’ ওয়েবসাইট ও আরএসএসএসএফের মতে, অফিশিয়াল ম্যাচে পেলের গোলসংখ্যা ৭৬৭। লাতিন সংবাদকর্মী রদলফো রদ্রিগেজের মতে, অফিশিয়াল ম্যাচে পেলের গোলসংখ্যা ৭৬২।

কিন্তু ২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রাজিলের বিখ্যাত সাময়িকী ‘প্লাকার’–এ প্রকাশিত সংখ্যায় পেলের গোলসংখ্যা ৭৫৭ বলা হয়েছিল। সান্তোসের হয়ে ৬৪৩, ব্রাজিলের হয়ে ৭৭ ও কসমসের হয়ে ৩৭ গোল।

প্লাকারের এ হিসাব ধরেই সম্প্রতি রেকর্ডগুলো ভেঙেছেন লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

জুভেন্টাস তারকার রেকর্ড ভাঙার পক্ষে টুইটও করেন গ্যারি লিনেকারের মতো তারকা, ‘৭৫৮তম গোল করে পেলের সর্বোচ্চ ক্যারিয়ার গোলের রেকর্ড ভাঙলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অর্থাৎ ১৮ বছর ধরে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৪২ গোল, মাথা ঘুরিয়ে দেয়!’