দৈনিক নবযুগ নামের একটি পত্রিকার নিজস্ব ম্যাগাজিনের কিছু লেখাকে কেন্দ্র করে গতকাল ২৩শে মার্চ নড়াইল আদালতে একটি মানহানির মামলা করা হয়। এ নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবি মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকেই বলছেন এটি কত প্রকাশের স্বাধীনতাতে অব্যাহত হামলার আরেকটি প্রতিরূপ। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার সূত্রে যানা যায় যে,‘নবযুগ’ নামক এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত কিছু লেখাকে কেন্দ্র করে -গতকাল ২৩ শে মার্চ বায়েজিদ শেখ নামক এক ছাত্রলীগ নেতাট বাদী হয়ে এই ম্যাগাজিনটির বিরূদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৯ ) ৫০০ ধারার অধীনে নড়াইল জেলা কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৫৪/২০২৩। আদালত অনুসন্ধানে আমাদের প্রতিনিধিরা জানতে পারেন এই ম্যাগাজিনের বিরূদ্ধে সরকার ও প্রশাসন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ এসেছে। আরও জানা যায় যে, এই মামলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তভার নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আমাদের নিজস্ব রিপোর্টার নবযুগ ম্যাগাজিনের সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক, আমরা একটি গণতান্ত্রিক বিশ্বে বসবাস করেও মানের ভাব প্রকাশ করতে পারছি না। এই মামলাকে আমরা একপ্রকারের হয়রানী বলেই ধরে নেব।”
মামলার বাদীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে এমন কুলাঙ্গারদের ঠাই নাই। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে কেউ পাড় পাবে না। এই ধরণের কটূক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এবং যদি আইন-প্রশাসন এর দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরাই নিজস্বভাবে এর বিহিত করবো”। “নিজস্বভাবে বিহিত” বলতে কী বোজাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
বাদি জনাব বায়েজীদ নবযুগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক এম ডি রাসেল মিয়া ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন জনাব বিপ্লব পাল, সামিউজ্জামান সিদ্দিকী, এম ডি কামরুল হাসান, এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, জনি চন্দ্র সাহা, এম ডি আশরাফ হোসাইন, এম ডি ওবায়দুর রহমান খান, আসাদ উজ্জামান খান, রেদোয়ানুর রহমান, এম ডি নিজাম উদ্দিন দোদুন, আল আমিন, নুরুল হুদা প্রমুখ। আদালত এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের উপর দিয়েছেন এবং আগামী ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবার নির্দেশ দিয়েছেন।
পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা জনাব জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় এবং তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই তদন্তের অধীনে আছে এবং পিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। অতিশীঘ্রই তদন্ত শেষ করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে”