ইউক্রেনকে রকেট দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে আরও তিন হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই চালানে অত্যাধুনিক রকেট, হাউইটজার কামান ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেন।

পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে এবার হাইড্রা ৭০ আনগাইডেড রকেট দেওয়া হবে। এই অস্ত্র যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যায়।

এছাড়া হিমরাস রকেট সিস্টেম থেকে ছোড়া যায় এমন রকেটও দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের কাজে তা ব্যবহার করা হবে।

মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই জরুরি ভিত্তিতে এই অস্ত্রগুলো দেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের আছে। তাই ইউক্রেনের হাতে তাড়াতাড়ি এসব অস্ত্র পৌঁছে যাবে।

এছাড়া ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা ১০৯ কোটি ডলারের গোলাবারুদ ইউক্রেনকে দেবে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ জানিয়েছেন, তারা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এজন্য অস্ত্র, গুলি, গোলা পাওয়াটা খুবই জরুরি।

রাশিয়ার সিদ্ধান্ত

এদিকে রাশিয়াও ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেন প্রত্যাঘাত করতে পারে ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেনা কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, এখন খুব কম সময়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে, এমন অস্ত্র বানানোটা খুবই জরুরি।

সূত্র- ডয়চে ভেলে

বিশ্বখ্যাত আরবি ক্যালিগ্রাফারের ইন্তেকাল

বিশ্বখ্যাত আরবি ক্যালিগ্রাফার আব্বাস শাকির জুদি আল-বাগদাদি (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন। মঙ্গলবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

ইরাকভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-সুমারিয়া নিউজ চ্যানেল সূত্রে জানা যায়, আব্বাস আল-বাগদাদি ইরাকের মুদ্রা, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সনদ ও নথিপত্রের নকশা করেছেন। মুসলিম বিশ্বে তিনি আরবি অক্ষরের প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ক্যালিগ্রাফার আব্বাস আল-বাগদাদি ১৯৪৯ সালে ইরাকের বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামী অলঙ্করণ ও আরবি ক্যালিগ্রাফিতে তার দীর্ঘ পদচারণ রয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি আরবি লিপিশিল্পীদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ সালে তাকে ‘মাসহাফে সাদ্দাম’খ্যাত পবিত্র কোরআনের অনুলিপি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন তিনি নিজ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় পুরো কোরআনের অনুলিপি তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে ইরাক সরকার কর্তৃক তা প্রকাশিত হয়।

ইউক্রেনের সাত গোয়েন্দা এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়া: তাস

ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মে) রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে এফএসবি বলেছে, রুশ-সমর্থিত ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

সিকিউরিটি সার্ভিসটি বলছে, ক্রিমিয়াতে বড় ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনাকারী ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের একটি এজেন্ট নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ভেঙে দিয়েছে এফএসবি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ক্রিমিয়া বারবার আক্রমণের মুখে পড়েছে। কিয়েভ বারবার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ পুনরুদ্ধারে তার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে চমকে দেওয়া ফল

চমকে দেওয়া ফলাফলে পিএমএল-কিউ-পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থী পারভেজ এলাহি শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনে পিএমএল-এন-এর হামজা শেহবাজের কাছে হেরে গেছেন। পাঞ্জাব প্রাদেশিক আইনসভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি পিএমএল-কিউ সদস্যদের ভোট গণনা করা হয়নি বলে রায় দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

ডেপুটি স্পিকার মাজারির মতে, হামজা ১৭৯ ও এলাহী ১৭৬ ভোট পেয়েছিলেন। তবে এলাহীর নিজের দলের ১০ ভোট গণনা করা হয়নি।

এটিই ফল হামজার পক্ষে এনে দেয়।

ডেপুটি স্পিকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরপরই, পিটিআই নেতা আসাদ উমর টুইট করেছেন যে তারা শুক্রবার রাতেই সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।

পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী সুজাত হুসেনের চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে মাজারি পিএমএল-কিউ ভোট বাদ দেন।

ফলাফল ঘোষণার সময় মাজারি উচ্চস্বরে হুসেনের চিঠি পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগের (কিউ) দলীয় প্রধান হিসাবে, আমি আমার সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা সদস্যকে মুহাম্মদ হামজা শেহবাজ শরীফের পক্ষে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছি। ’

এদিকে পিটিআই নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে এর প্রতিবাদ জানাতে বলেছেন।

এর আগে পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে বড় জয় পায় ইমরান খানের পিটিআই। রবিবার অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় পেয়েছে পিটিআই। সূত্র: দি ডন

অবশেষে রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য রপ্তানির চুক্তি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িকতাকে সমূলে বিনাশ করতে হলে এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের চিরতরে বর্জন করতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এরপর দুপুরে তথ্যমন্ত্রী মহানগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ দখলদারমুক্ত পাহাড়ি ভূমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠনের পর সমগ্র দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই তাণ্ডবের প্রেক্ষিতে সারা দেশ থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া থেকে শুরু করে বরিশালের বানারিপাড়া, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে।

তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়ি দখল করে রাতারাতি সেই বাড়ির মধ্যে পুকুর খনন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল তারা অসাম্প্রদায়িক দল আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বাঁশখালীতেও একই অপরাধে তৎকালীন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় বিএনপি নেতা আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ড ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেদিন সংসদ সদস্যের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এ দেশে থাকতে পারে না, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, তাহলে রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িকতার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজকে এগোতে পারছে না। যেখানেই সাম্প্রদায়িকতা আছে সেখানেই রাষ্ট্র এগোতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি। জামায়াতে ইসলাম বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, আদালতের মারপ্যাঁচ ও বিএনপির অনীহাসহ সবকিছু মিলিয়ে আমরা সরকার গঠনের পরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে ৪০ বছরের মতো সময় লেগেছে। বাঁশখালীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রেও এত দীর্ঘসূত্রিতা কাম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউমিনিটি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানেই মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছে সরকারে থাকেন বা না থাকেন তিনি সেখানে ছুটে গেছেন। মিয়ানমারের শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। রোহিঙ্গা রিফিউজিদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

৪৭ বছর ধরে বিনা পয়সায় রান্না করেন

বিয়েবাড়ি। বড় বড় হাঁড়ি, কড়াইয়ে রান্না চাপানো হয়েছে। বড় হাতা নিয়ে মাংস নাড়ছেন রাঁধুনি। বিয়েবাড়িতে এমন আয়োজন সবারই চোখে পড়বে। বিয়ের আসরে শত শত মানুষের জন্য ভালো রান্নার ভার যাঁর কাঁধে থাকে, তাঁকে হতে হয় চৌকস। এমনই একজন রাঁধুনি জামালপুরের মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি শখের রাঁধুনি। শিক্ষকতা করতেন। এখন অবসরে। যেকোনো অনুষ্ঠানে যান স্যুট-বুট পরে। এরপর কাপড় পাল্টে নেমে যান রান্নার কাজে। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্না শুরু করেছিলেন। এমনকি নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্নাও নিজেই করেছিলেন তিনি। এখনো বিনা পারিশ্রমিকেই করে যাচ্ছেন তাঁর এ ভালোবাসার কাজ।

মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন পরিচিত তোহা নামেও। শিক্ষক হিসেবে পরিচয়ের পাশাপাশি তাঁর রান্নার সুনামও জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৭৩ সাল থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্না করেন তিনি। রান্নার সময় হিন্দু বা মুসলমানের ভেদাভেদ করেন না তিনি। এ পর্যন্ত বিনা পারিশ্রমিকে হিন্দু পরিবারের বিয়েসহ বহু অনুষ্ঠানে রান্না করেছেন। শখে রান্না করলেও রান্নাটাকে তিনি শিল্প এবং রান্নার মধ্য দিয়েই তিনি জনসেবা করছেন বলে মনে করেন।

কোমর বেঁধে রান্নায় নেমে পড়েছেন রাঁধুনি জামালপুরের মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন

কোমর বেঁধে রান্নায় নেমে পড়েছেন রাঁধুনি জামালপুরের মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন
ছবি: মানসুরা হোসাইন

জামালপুর সদরের নরুন্দি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোয়াজ্জেম হোসেন শিক্ষকতা করেন। ১৯৮৬ সালে নিজের বিয়ে, পরে দুই ছেলেমেয়ের বিয়ের রান্নাও নিজেই করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। জামালপুরে সম্প্রতি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে রান্না করতে গিয়েছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। সেখানেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

মোয়াজ্জেম হোসেন বললেন, ‘আমার বিয়ের সময় সবাই বলল, তুই ছাড়া কে আর রান্না করবে? খাসির কোর্মা, গরুর রেজালা, মুরগির রোস্ট রান্না করলাম। দই নিজেই বানাই। বউয়ের বাপের বাড়ির লোকজন রান্না খেয়ে মহা খুশি। তাঁরা তো আর আগে জানতেন না মেয়ের জামাই রান্নাও পারে।’

১৯৭৩ সালে রান্নার শুরু সম্পর্কে মোয়াজ্জেম হোসেন জানালেন, ‘শাহ মোহাম্মদ মোদক নামে পরিচিত একজনের বিয়েতে বাবুর্চির আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাবুর্চি না আসায় সবাই বিপাকে পড়ে যান। তখন তিনি রান্না করবেন বলে নিজেই জানিয়েছিলেন। সেই শুরু। বর্তমানে ৬৬ বছর বয়সেও থেমে নেই রান্নার কাজ।’

মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে মাহবুবা আক্তার বললেন, ‘বাবাকে ১ হাজার ২০০ মানুষের রান্নার লিস্ট দেখিয়ে নিলেন। বাজারের লিস্ট করা থেকে শুরু করে সবই বাবা নিজে তদারক করেন। বাবা যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, সেই স্কুলেই আমি পড়েছি।

বাবার রান্নার প্রশংসা করতেন সবাই। বাবার রান্নার কাজ ভালো লাগে। তবে বয়স হওয়ার কারণে রান্না করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যান। কয়েক দিন আগেও সেন্সলেস হয়ে যান। তাই আমরা এখন আপত্তি করি।’

শখের বশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্না করেন মোয়াজ্জেম হোসেন

শখের বশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রান্না করেন মোয়াজ্জেম হোসেন
ছবি : সংগৃহীত

মোয়াজ্জেম হোসেনের একটি ব্যাগ তৈরিই থাকে। ব্যাগে রোস্ট ভাজার জন্য ঝাঁঝরি, পানি ও তেল মাপার জন্য একটি গ্লাস, খাবার নাড়া দেওয়ার জন্য বড় একটি হাতা নিয়ে যান। নিজেই এগুলো বানিয়ে নিয়েছেন। রান্নার জন্য গেলে সারা দিনের জন্য যেতে হয়। রান্না শেষে খাবার বেড়ে দেওয়ার দায়িত্বও পালন করতে হয়। খাবার কম পড়ল কি না, তা দেখার জন্য সবার খাওয়া শেষ হলে ছুটি পান তিনি।

স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ভালো রান্না করেন, তাই বাড়ির রান্নাঘরে তেমন একটা ঢুকতে হয় না মোয়াজ্জেম হোসেনকে। ছেলেমেয়েরা রান্নার বিষয়টিতে তেমন উৎসাহী নন। তবে ছেলের বউয়ের রান্না ভালো বলে জানালেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন এখনো একাই চার মণ, পাঁচ মণ মাংস রান্না করে ফেলেন। রান্নায় সহকারী থাকে, তবে অন্যদের চেয়ে নিজে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। জানালেন, গ্রামাঞ্চলের বিয়েতে সাধারণত গরুর মাংস, পোলাও, কোর্মা, জর্দা, মুরগির রোস্ট, মুরগির কোর্মা বেশি রান্না হয়।

রান্নার পাশাপাশি খেলাধুলা করতেন মোয়াজ্জেম হোসেন। সভা-সমিতি, মসজিদের সেবা,আচার–অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াসহ দিনের বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে ব্যস্ত থাকতে হয়। সন্ধ্যার পরে গান গাইতে পছন্দ করেন, তবে সুর-তাল-লয় নিয়ে তেমন একটা চিন্তা করেন না। এসবের পাশাপাশি বাংলা, বিহার ও ওডিশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার নাটকের ডায়ালগসহ বিভিন্ন নাটকের ডায়ালগ মুখস্থ। চাচার পরিচালিত নাটকসহ পাঁচ থেকে ছয়টি নাটকে অভিনয়ও করেছেন তিনি।

যেকোনো অনুষ্ঠানে মোয়াজ্জেম হোসেন যান স্যুট-বুট পরে। পরে তিনি রান্নার জন্য পাল্টে নেন কাপড়

যেকোনো অনুষ্ঠানে মোয়াজ্জেম হোসেন যান স্যুট-বুট পরে। পরে তিনি রান্নার জন্য পাল্টে নেন কাপড়

মোয়াজ্জেম হোসেন বললেন, ‘রান্নাটা একটা শিল্প। জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে সবারই রান্নাটা শেখা দরকার। কিন্তু সেভাবে কেউ এগিয়ে আসে না। নিজের ছেলেমেয়েদেরও এ বিষয়ে উৎসাহী করতে পারলাম না। গ্রামের বিয়েতে শহর থেকে বাবুর্চি আনতে হলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাগে। কোনো কোনো পরিবারের জন্য এ টাকা ব্যয় করা কঠিন হয়ে যায়। দরিদ্র পরিবারে কারও বিয়ের কথা শুনলে রান্নার কাজটা নিজের আগ্রহেই করি। রান্না করে টাকা নিলে জীবনে বহুত টাকা কামাইতে পারতাম। তা করি নাই। এটাকেই আমি মানবসেবা মনে করি।’

এ পর্যন্ত রান্না করতে গিয়ে একবারই রান্না নষ্ট হয়েছিল বলে জানালেন মোয়াজ্জেম হোসেন। বললেন, আগে বড় কড়াইয়ে রান্নার চল ছিল। রান্না শেষে কড়াইয়ের হাতলের মধ্যে বাঁশ ঢুকিয়ে কড়াই চুলা থেকে নামাতে হতো। রান্নার শেষ পর্যায়ে হুট করে তুমুল বৃষ্টি নামে। বাঁশ আনতে আনতে রান্নাটাই নষ্ট হয়ে যায়।

রান্না ভালো হয়েছে, এ প্রশংসাবাণী বেশি শুনেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। বললেন, ‘রান্না ভালো হলে আমিও মনে তৃপ্তি পাই। একেকটা অনুষ্ঠানে ৩০০–৫০০ জন মানুষ খায়। ব্যতিক্রম তো থাকেই। কারও কাছে হয়তো রান্নাটা ভালো লাগে না। তবে গড়ে রান্নাটা ভালো হয়েছে বলেই বেশির ভাগ মানুষ জানান।’

ট্রাম্প চাইলে রিপাবলিকান পার্টিকে ধ্বংস করে দিতে পারেন: সিনেটর গ্রাহাম

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ম্যাজিক দিয়ে রিপাবলিকান পার্টিকে শক্তিশালী করতে পারেন, আবার ধ্বংসও করে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। রাজনীতিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বর্তমান সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিনেটর গ্রাহাম এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান পার্টির জন্য ট্রাম্পের ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের নানা দিকও উপস্থাপন করেন গ্রাহাম।

গ্রাহাম সাক্ষাৎকারে বলেন, অন্য কেউ যা করতে পারবেন না, দলের জন্য ট্রাম্প তা করতে পারবেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টিকে বড় করতে পারবেন। দলকে শক্তিশালী করে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। আবার রিপাবলিকান পার্টিকে নিঃশেষও করে দিতে পারেন তিনি।

সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সিনেটর গ্রাহাম ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের কড়া সমালোচক ছিলেন। ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দেশের চরম ক্ষতি হবে বলেও তখন উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ওয়াশিংটনের রাজনীতি দ্রুত বদলায়। ট্রাম্পের সঙ্গেও লোকজনের সম্পর্কের পারদ ওঠানামা করে বেশ দ্রুততার সঙ্গে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকার সময় ট্রাম্পের বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে ওঠেন সিনেটর গ্রাহাম। তাঁরা একসঙ্গে গলফ খেলেন। নানা পরামর্শ করেন।

গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর যখন প্রায় সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন, তখনো সিনেটর গ্রাহাম ছিলেন ট্রাম্পের গলফ খেলার নিত্যসঙ্গী।

গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর উগ্র সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান। এই হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। সিনেটর গ্রাহাম কিছু সময়ের জন্য নিজেকে বন্ধু ট্রাম্পের কাছ থেকে সরিয়ে নেন। তিনি ট্রাম্পের সমর্থনে কোনো বক্তৃতা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। অবশ্য সিনেটে দ্বিতীয় দফা অভিশংসন আদালতে ট্রাম্পের দণ্ড না পাওয়ার পক্ষে যে ৪৩ জন রিপাবলিকান ভোট দিয়েছিলেন, তার মধ্যে সিনেটর গ্রাহাম একজন।

৭ মার্চ হঠাৎ ট্রাম্প ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্ক সফর করেন। তার আগে পত্রিকায় খবর বের হয়, রিপাবলিকান পার্টির তহবিল সংগ্রহ করার প্রচারে ট্রাম্প তাঁর নাম ব্যবহার না করার জন্য নোটিশ দিয়েছেন।

জাতীয় জনমত জরিপে ট্রাম্প যে অবস্থানেই থাকুন, রিপাবলিকান পার্টি এখন তাঁর কবজায়। আগামী মধ্যবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ট্রাম্পের প্রভাব থেকে দলটির বেরিয়ে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

অভিশংসন আদালতে দণ্ড না পাওয়ায় ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার প্রার্থী হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়নি। ট্রাম্প নিজেও তাঁর বক্তৃতা-সাক্ষাৎকারে আবার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে রাখছেন।

সিনেটর গ্রাহাম বলেছেন, ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনার আগে ট্রাম্প তাঁর বন্ধু ছিলেন। দাঙ্গার পর বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন গ্রাহাম। নিজেকে ট্রাম্পের বন্ধু হিসেবে এখনো বিবেচনা করেন তিনি।

গ্রাহাম বলেছেন, ৬ জানুয়ারি আমেরিকার ইতিহাসে একটি কালো দিন। তবে আমেরিকা কালো এই অধ্যায়কে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

সিনেটর গ্রাহাম সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রিপাবলিকান পার্টি ট্রাম্পের সঙ্গেই ভালো থাকবে, ট্রাম্প ছাড়া নয়।

এক্সিওসের সাংবাদিক জনাথন সওয়ান ট্রাম্পের নির্বাচন নিয়ে ভুয়া দাবির কথা জিজ্ঞেস করেন সিনেটর গ্রাহামকে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কারচুপির ভুয়া দাবি এখনো কেন করছেন ট্রাম্প—এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রাহাম বলেছেন, ট্রাম্প যা শুনতে চান, তা তিনি প্রতিদিনই বলে থাকেন।

প্রয়াত সিনেটর জন ম্যাককেইনকে লক্ষ্য করে ট্রাম্পের আক্রমণ অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে তাঁর পরাজয়ের কারণ বলে মনে করেন সিনেটর গ্রাহাম। ভিয়েতনাম যুদ্ধে শত্রুর হাতে ম্যাকেইনের ধরা পড়া নিয়েও বিদ্রূপ করেছিলেন ট্রাম্প।

২০২৬ সালের আগে নির্বাচন করতে হচ্ছে না সিনেটর গ্রাহামকে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারবেন কি না? উত্তরে গ্রাহাম বলেন, বিষয়টি একদম সহজ। কালই বলতে পারবেন, যথেষ্ট হয়েছে!

সিনেটর গ্রাহাম বলেছেন, দেশের ভালোর জন্য একটা আন্দোলন ত্যাগ করতে তিনি ইচ্ছুক নন। এই আন্দোলনের নেতা ট্রাম্প। তাঁর মাধ্যমে ভালো কিছু দেশের জন্য করা যায় কি না, এ নিয়ে চেষ্টা করছেন বলে গ্রাহাম তাঁর সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন।

রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের মধ্যে মিট রমনি বা প্রয়াত সিনেটর জন ম্যাককেইন যা পারেননি, ট্রাম্প তা করতে পারছেন বলে গ্রাহাম মনে করেন। সাম্প্রতিক আমেরিকার ইতিহাসে রিপাবলিকান পার্টির জনপ্রিয় নেতা রোনাল্ড রিগ্যানের কাছাকাছি ট্রাম্পের অবস্থান বলে মনে করেন গ্রাহাম।

আমেরিকার রাজনীতিতে এখন ভিন্ন ঢেউ। রিপাবলিকান পার্টিতে মধ্যপন্থীরা কোণঠাসা হয়ে আছেন। একইভাবে মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের অবস্থাও ভালো নেই। অতি রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকে পড়া রিপাবলিকান পার্টির অঘোষিত নেতা ট্রাম্প। তাঁর মাধ্যমেই এই দলকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রিপাবলিকান পার্টির রক্ষণশীল ঘরানার নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। সিনেটর গ্রাহামের মাধ্যমে তাঁদের আকাঙ্ক্ষার কথাই উঠে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন সৌরভ গাঙ্গুলী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজনীতির মাঠ। তৃণমূল ও বিজেপিতে টালিউড ও ক্রীড়া জগতের তারকাদের যোগদান করানোর পালা চলছে। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার যুবরাজ খ্যাত সৌরভ গাঙ্গুলীর রাজনীতির মাঠে নামার বিষয়টি ফের আলোচনার শিরোনামে।

আগামী ৭ মার্চ ব্রিগেডে সেরা সমাবেশ করতে যাচ্ছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। জল্পনা শুরু হয়েছে, ভারত দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী এই বিগ্রেডেই বিজেপিতে যোগদান করবেন।

জল্পনার মাত্রা বাড়িয়ে দেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

ক্রিকেটীয় ভাষায় তিনি বলেন, ‘সৌরভ গাঙ্গুলী এতোদিন বিশ্রামে ছিলেন। শরীর ভালো হলে এই রোদে যদি নেট প্র্যাকটিসে আসেন, মানে ওয়ার্মআপে। মানুষ তাই-ই চাইছেন। তার যদি মনে হয়, আবহাওয়া ভালো মাঠে নামবেন।’

গুঞ্জন ওঠে, এবারের বিধানসভায় বিজেপির হয়ে বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ে নামবেন সৌরভ গাঙ্গুলী।

এমন গুঞ্জনের মধ্যেই মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গুলী নিজেই।

তিনি জানালেন, গুঞ্জনটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। এই রকম কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনে নামার খবরে নাকি উল্টো তার স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী বিচলিত হয়ে পড়েছেন।

ভারতে সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়াকে সৌরভ বলেন, যা শুনেছেন সবটাই ভুল। রাজনীতিতে নামছি না। ব্রিগেডে যাচ্ছি না।

সৌরভের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত না সিদ্ধান্ত আসলেও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি চাতক পাখির মতোই তাকিয়ে। কারণ মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সৌরভ ছাড়া আর কাউকে মনে হচ্ছে না বিজেপির। জনপ্রিয়তার নিরিখে কলকাতায় সৌরভের ধারে কাছেও আর কেউ নেই। তাই আসছে বিগ্রেডে সৌরভ পদ্মশিবিরে পা রাখছেন, সেই আশায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, অতীতেও সৌরভের কাছে নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে প্রস্তাব এসেছিল। তবে বরাবরই সৌরভ সেই প্রস্তাব নাকচ করে এসেছেন। অন্যান্যবারের মতো এবারও একই পথে হাঁটলেন। মঙ্গলবার সৌরভ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি ব্রিগেডে যাচ্ছেন না। আপাতত বাড়িতে বিশ্রামে আছেন। সম্প্রতি হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর চিকিৎসকরা যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই চলছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধনে যোগ দেননি তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক আজ

বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হোটেল ইন্টারকনটিনেন্টালে আজ (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) মাহবুবুল আলম মজুমদার বলেন, নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গত বছরের ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ-ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ায় বৈঠকটি স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার বিষয় প্রাধান্য পাবে। দুই দেশের সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে বৈঠকে আলোচনা হবে।

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন চোরাচালান, মানব পাচারসহ অন্য সব বিষয় কীভাবে রোধ করা যায় সে বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন। সন্ত্রাসবাদ, জাল অর্থ, বিছিন্নতাবাদ, ভিসাসহ আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচ্য সূচিতে রয়েছে।

দীর্ঘদিন শান্ত থাকার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং তাদের একটি অংশ ভারতে আশ্রয় নেওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়ে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা করা হতে পারে।

আমাজনে পাওয়া করোনার ধরন তিনগুণ বেশি সংক্রামক

ব্রাজিলের আমাজনে পাওয়া করোনাভাইরাসের একটি ধরন তিনগুণ বেশি সংক্রামক হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে– এ ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এডুয়ের্ডো পাজুয়েল্লো এ কথা বলেছেন। তবে নিজের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে জঙ্গলের শহর ম্যানুসে করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ছে।

এতে চাপের মধ্যে থাকা এডুয়ের্ডো পার্লামেন্টকে আশ্বস্ত করতে চাচ্ছেন যে, সাম্প্রতিক কয়েক মাসে সংক্রমণ বৃদ্ধি অপ্রত্যাশিত হলেও তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সিনেটের শুনানিতে তিনি বলেন, আগামী জুন নাগাদ জনসংখ্যার মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের অর্ধেককে টিকা দেওয়া হবে। আর বছর শেষ হওয়ার আগে বাকিদেরও প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

কিন্তু অর্ধেক জনসংখ্যার জন্য করোনার টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা না থাকলেও তিনি এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

সপ্তাহ তিনেক আগে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক ও ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। কিন্তু ম্যানুসে পাওয়া নতুন ধরনের প্রতিরোধে টিকা কতটা কার্যকর; তা ব্যাখ্যা করতে পারেননি এডুয়ের্ডো পাজুয়েল্লো।

তিনি বলেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। বিশ্লেষণ থেকে আমরা পরিষ্কার বার্তা পেয়েছি, করোনার ম্যানুসের ধরনের বিরুদ্ধেও টিকা কার্যকর।