ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় আইনকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ফৌজদারী আইনে মামলা

ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় আইনকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ফৌজদারী আইনে মামলা

গত ২০ নভেম্বর ২০২২ এ রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে “এথিস্ট এরা” নামক ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যাকে কেন্দ্র করে ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোঃ আরমান হোসাইন সহ আরো ১৯ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে ফৌজদারী আইনের ২৯৫ ধারার অধীনে। মামলার বাদী মো ইয়াসিন আলম ভূঁইয়া। জানা গেছে এই ম্যাগাজিন দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন সহ অফলাইনে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশের যে আইনসমূহ ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয় সে-সমস্ত আইন ও বাংলাদেশ সরকারের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কুৎসা রটিয়ে আসছিলো। চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ১৬ নং আদালতে বিচারক জনাব আহমেদ হুমায়ূন কবীর এই মামলাটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে সঙ্গায়িত করে পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপারের বরাবরে তদন্তের জন্যে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেবার তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২। এদিকে এই মামলাকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে কিছু এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। মামলার নম্বর – সি.আর – ২৩৪/২০২২।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, কমল চন্দ্র দাস, জিশান তারভীর মোস্তফা, জোবায়ের হোসেন, এম ডি আসাদুজ্জামান খান রণি, জনি চন্দ্র সাহা, এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, ইমরুল কায়েস,  মোঃ জাকির হোসাইন,  এমডি জহিরুল ইসলাম, রেদোয়ানুর রহমান, এম ডি রাসেল মিয়া, মোহাইমিনুল বিশ্বাস পারভেজ, আসিফ ইসলাম, কে এম মাহফুজুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, জনি জোসেফ কস্তা, মোহাম্মদ মইন উদ্দীন চৌধুরী, মোঃ আল আমিন কায়সার, এবং এম ডি আব্দুল রাজ্জাক।

এই ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ ইয়াসিন আলম ভূঁইয়ার সাথে কথা বলা হলে তিনি তাঁর আক্রোশ প্রকাশ করেন মামলার বিবাদীদের বিপক্ষে। তিনি বলেন, “আমরা দেশের আইন মেনে মামলায় এসেছি। এরা শুধু যে ইসলামের বিপক্ষে বলে ক্ষান্ত হচ্ছে তা কিন্তু না, এরা একই সাথে বাংলাদেশ সরকার ও আমাদের প্রাণপ্রিয় আওয়ামী সরকারের আইন ও সংবিধান নিয়ে আক্রমণ করছে বিশেষ করে নাস্তিক ও সমকামীদের বিরূদ্ধে বাংলাদেশে যে প্রচলিত সুন্দর আইন-ব্যবস্থা আছে সেটাকে নষ্ট করবার পায়তাঁরা এই কাফিরদের। আওয়ামী সরকারের একজন সমর্থক ও কর্মী হিসেবেই বলছি যে এদের বিরূদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নিলে খুব বিপদে পড়ে যাবেন  আমাদের নেত্রী ভবিষ্যতে।” তিনি আরো ইঙ্গিত দেন যে পুলিশ ও আদালত এই ব্যাপারগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তৌহিদী জনতা নিজেরাই এই কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। “যথাযথ ব্যবস্থা” বলতে কী বোঝানো হচ্ছে জানতে চাইলে জনাব কাজী এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

এইদিকে আদালত সূত্রে জানা যায় এই মামলাকে ঘিরে আদালত পাড়ায় ছিলো নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও উপচে পড়া ভীড়। আদালত পাড়ায় বাদীর সাথে যুক্ত হওয়া অনেকেই “নারায়ে তাকবীর আল্লাহ হু আকবর” ধ্বনিতে আদালত প্রাঙ্গন মুখরিত করে রাখেন।

পুলিশ সূত্র বর্তমানে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। আসামী পক্ষের এইথিস্ট এরা ম্যাগাজিনের সাথে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *