আওয়ামীলীগ নেতারা মূর্খ

কামরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে
আওয়ামী মূর্খতার আসলে কোন সীমা কিংবা পরিসীমা নাই। এদের যা ইচ্ছে এরা তা বলে। এদের যা ইচ্ছে এরা তা করে। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা এদের মূর্খতা ঢাকার সামান্যতম চেষ্টাও আবার করে না।
আপনি যদি আওয়ামী লীগার হয়ে থাকেন, আপনার তিনটা পিএইচডি থাকলেও আপনি একজন মূর্খ- এই সত্যটা বারবার প্রমাণ করাটা আওয়ামী লীগ নেতাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ দুইটা একতরফা এবং জোরজবরদস্তির নির্বাচন করে মানুষকে বুঝ দেয়ার চেষ্টা করতেছে যে ১৯৯৬ সালে বিএনপিও একতরফা নির্বাচন করছিল, তাই তাদের সব নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধগুলা হালাল।
এই ব্যাপারে তারা The New York Times-এর একটা খবর ব্যবহার করতেছে Bangladesh Facing an Election Crisis শিরোণামের। এখন দেখি সেই খবরে কী কী বলা হইছে-
‘Mrs. Zia and (…) Sheik Hasina Wazed, have failed to settle a dispute that has been marked by streets protests, general strikes, bombings and perhaps a score of deaths since an opposition walkout from Parliament in March 1994.’
অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগ, তাদের সেই সময়ের মিত্র জামাতে ইসলামী আর জাতীয় পার্টির ১৪০ জনের বেশি এমপি নিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে হরতাল-বোমাবাজি করে যে সংকট শুরু করছিল তা সমাধান করা যায় নাই।
আপনারা জানেন, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিব যে সংবিধান বানায়ে গেছে, সেই সংবিধানে আছে যে সংবিধান পরিবর্তন করতে হইলে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগে। শেখ হাসিনা তখন জামাত আর জাতীয় পার্টিকে নিয়ে সংসদ থেকে বের হয়ে যাওয়ায় তখন দুই-তৃতীয়াংশ এমপিই সংসদে ছিল না, তাই হাসিনার মন মত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ করাতে একটা নতুন নির্বাচন করে সংসদের দুইশো এমপির সমর্থন দরকার ছিল।
বেগম জিয়া তখন উদারতার সাথে হাসিনা এবং তার মিত্রদের তৈরি সমস্যা সমাধানের জন্য সেই নির্বাচন করতে বাধ্য হইছিলেন। নাহলে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলই পাশ করানো যেত না।
বেগম জিয়া কতটা উদার ছিলেন তার প্রমাণ আছে এই রিপোর্টেই-
‘Mrs. Zia has offered to step down before the polls, but has insisted that executive power in the election period rest with the figurehead President, Abdur Rahman Biswas.’
অর্থাৎ একটা ভালো নির্বাচনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতেও চাইছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার দাবী ছিল, ‘elections be held under a neutral “caretaker” government’, আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডার সেই পেপার কাটিং-এ এইটা স্পষ্ট লেখা আছে।
বেগম জিয়ার উদারতার জবাবে আওয়ামী লীগের অক্সফোর্ড পাশ এক নেতা কী বলছে দেখেন সেই প্রতিবেদন থেকে- “What you will see will not be a whimper — it will be a series of bangs,” said Abu Hassan Chowdhury, an Oxford-educated lawyer who is a close aide to Sheik Hasina.
অর্থাৎ আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে না, তারা একের পর এক বোমাবাজি করবে।
আওয়ামী লীগের চামচাদের বলবো, আপনারা একটা কিছু শেয়ার করার আগে ভিতরে কী আছে একটু পড়ে নিলে ভালো হয়। দেশের সব মানুষ তো আপনাদের মত দশটাকায় কমেন্ট করা মূর্খ না।
পুরো প্রতিবেদন পাবেন এখানে- https://www.nytimes.com/…/bangladesh-facing-an-election…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *