হিন্দুদের উপর আওয়ামীলীগের হামলা

সামিউজ্জামান সিদ্দিকি, যুক্তরাজ্য
কুমিল্লায় যেই মণ্ডপে পবিত্র কোরান শরিফ পাওয়া নিয়ে সারাদেশে দুর্গা পূজার সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে সেই মণ্ডপটি গড়ে ওঠে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও প্রয়াত নেতা আকবর হোসেনের বাড়ির সামনে তাঁর উৎসাহে। (১)
প্রথম আলো লিখেছে, “স্থানীয় লোকজন জানান, ২০০১ সালে তৎকালীন মন্ত্রী আকবর হোসেন তাঁর বাড়ির সামনে নানুয়া দীঘির পাড়ে প্রথম পূজামণ্ডপ স্থাপনের বিষয়ে উৎসাহ দেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সুধীর চন্দ্র রায় কর্মকার পূজার আয়োজনের দায়িত্ব পান। এরপর থেকে প্রতিবছরই সেখানে দুর্গাপূজার সময় মণ্ডপ স্থাপিত হতো।”
এই মণ্ডপের সামনে থেকে সেদিন লাইভে গিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে মো. ফয়েজ আহমেদ। (২) এই ফয়েজ আহমেদ হচ্ছে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ একেএম বাহারউদ্দীনের অনুসারী। কুমিল্লাতে এই সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে একেএম বাহারউদ্দীনের মদদ থাকার বিষয়টা স্পষ্ট করতে ফয়েজের সাথে একেএম বাহারউদ্দীনের একটি ছবি যুক্ত করা হলো।
কুমিল্লা থেকে লাইভ করার পর চাঁদপুরে যে হামলার চেষ্টা চালানো হয় সেটাও হয় স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীদের নেতৃত্বে। (৩)
এই ব্যাপারে প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,
“কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে ১৩ অক্টোবর বিকেলে ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়া হয়, সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বিশ্বরোড থেকে ‘আন্দোলন’ হবে (…) খোঁজ নিয়ে স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা হৃদয় হাসান ওরফে জাহিদ (২০) ওই স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তিনি হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁর মা শাহিদা বেগম ২০১৪–২০১৯ মেয়াদে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ছিলেন। আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি নির্বাচনে জিতেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া কিশোর ও তরুণেরা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের অনুসারী। জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খোকন বলির অনুসারী ও পরিবারের সদস্যরা হামলায় অংশ নিয়েছেন, সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, খোকন বলির পরিবারের একাধিক সদস্য ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ আছে। তাঁরা বর্তমানে পলাতক।”
অর্থাৎ, দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে ছিল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। রানা দাশ গুপ্তের মত কট্টর আওয়ামী লীগারও দি ডেইলি স্টারের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে এই বলে, “দুঃখজনক হচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা-কর্মী এই হামলায় অংশ নেয়।” (৪)
অন্যদিকে পুলিশ কোন তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। ছয় মাস ধরে কারাবন্দী ছাত্রদলের তিন নেতাকেও সাম্প্রদায়িক হামলার মামলায় আসামী করেছে পুলিশ। (৫)

হিন্দুদের উপর আওয়ামীলীগের হামলা

এস এম ইকবাল মাহমুদ,যুক্তরাজ্য

কুমিল্লায় যেই মণ্ডপে পবিত্র কোরান শরিফ পাওয়া নিয়ে সারাদেশে দুর্গা পূজার সময় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে সেই মণ্ডপটি গড়ে ওঠে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও প্রয়াত নেতা আকবর হোসেনের বাড়ির সামনে তাঁর উৎসাহে। (১)
 
প্রথম আলো লিখেছে, “স্থানীয় লোকজন জানান, ২০০১ সালে তৎকালীন মন্ত্রী আকবর হোসেন তাঁর বাড়ির সামনে নানুয়া দীঘির পাড়ে প্রথম পূজামণ্ডপ স্থাপনের বিষয়ে উৎসাহ দেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সুধীর চন্দ্র রায় কর্মকার পূজার আয়োজনের দায়িত্ব পান। এরপর থেকে প্রতিবছরই সেখানে দুর্গাপূজার সময় মণ্ডপ স্থাপিত হতো।”
 
এই মণ্ডপের সামনে থেকে সেদিন লাইভে গিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে মো. ফয়েজ আহমেদ। (২) এই ফয়েজ আহমেদ হচ্ছে ঐ এলাকার আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ একেএম বাহারউদ্দীনের অনুসারী। কুমিল্লাতে এই সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে একেএম বাহারউদ্দীনের মদদ থাকার বিষয়টা স্পষ্ট করতে ফয়েজের সাথে একেএম বাহারউদ্দীনের একটি ছবি যুক্ত করা হলো।
কুমিল্লা থেকে লাইভ করার পর চাঁদপুরে যে হামলার চেষ্টা চালানো হয় সেটাও হয় স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীদের নেতৃত্বে। (৩)
এই ব্যাপারে প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,
 
“কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে ১৩ অক্টোবর বিকেলে ফেসবুকে ঘোষণা দেওয়া হয়, সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বিশ্বরোড থেকে ‘আন্দোলন’ হবে (…) খোঁজ নিয়ে স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা হৃদয় হাসান ওরফে জাহিদ (২০) ওই স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তিনি হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁর মা শাহিদা বেগম ২০১৪–২০১৯ মেয়াদে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ছিলেন। আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি নির্বাচনে জিতেছেন।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া কিশোর ও তরুণেরা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের অনুসারী। জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খোকন বলির অনুসারী ও পরিবারের সদস্যরা হামলায় অংশ নিয়েছেন, সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, খোকন বলির পরিবারের একাধিক সদস্য ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ আছে। তাঁরা বর্তমানে পলাতক।”
 
অর্থাৎ, দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার পেছনে ছিল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। রানা দাশ গুপ্তের মত কট্টর আওয়ামী লীগারও দি ডেইলি স্টারের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে এই বলে, “দুঃখজনক হচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা-কর্মী এই হামলায় অংশ নেয়।” (৪)
 
অন্যদিকে পুলিশ কোন তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। ছয় মাস ধরে কারাবন্দী ছাত্রদলের তিন নেতাকেও সাম্প্রদায়িক হামলার মামলায় আসামী করেছে পুলিশ। (৫)
 

নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসীর দাবীতে ঢাকায় মিছিল

হেফাজতে ইসলামসহ আরো কয়েকটি ইসলামী সংগঠন বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারকে ব্লগার এবং নাস্তিকদের আইনের আওতায় এনে তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী দলগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে মিছিল এবং সমাবেশ করে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। তাছাড়া কোনও কোনও এলাকার অলিতে-গলিতে দেয়ালে দেয়ালে নাস্তিকদের পোষ্টার লাগিয়ে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১) হৃদয় কাজী নামের হেফাজতে ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী ‘এথিস্ট এরা’ নামের একটি ম্যাগাজিনের সকল ব্লগার/ নাস্তিকদের নামে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিয়ে জানা যায় যে, এথিস্ট এরা নামের এই ওয়েবসাইটটি ইসলাম ধর্মকে অত্যন্ত নোংরাভাবে ফুটিয়ে তুলে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত করে। মূলত যা দেখেই ইসলামী সংগঠনগুলো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এ বিষয়ে মামলার বাদি হৃদয় কাজীর সাথে কথা হলে তিনি আমাদের বলেন ‘হঠাৎ করেই অনলাইনে এই ম্যাগাজিনটি আমার চোখে পড়ে, আমি কৌতুহল বশত এটি ডাউনলোড করে দেখতে পারি সেখানে ধর্ম, মুসলিম, কোরআন এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে নানাবিদ কুরুচিপূর্ন শব্ধ ব্যবহার করে ‘বিনাশ হোক ধর্ম‘ নামে এই মাগাজিনটি প্রকাশিত করে, যা একজন মুসলিম হিসেবে মেনে নিতে পারিনি এবং আমি মনে করি এদেরকে কতল (হত্যা) করা আমার এবং আমাদের সকল মুসলিমদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে’

এদিকে মিছিল এবং সমাবেশে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা সাংবাদিকেদের জানান যে, ‘বর্তমানে নাস্তিক এবং কিছু নব্য ব্লগারদে উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে এগুলো মেনে নেওয়া কোনও মুসলমানদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের কলিজার টুকরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব’

মামলার আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের যে কয়টি নাম বলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েক জন হলেন এথিস্ট ইন বাংলাদেশ‘র সম্পাদক আরমান হোসাইন, এম ডি শাইম, উম্মা কুলসুম নারগিস বানু, সুবর্ণা রহমান, নুরুল হুদা,যোবায়ের হোসেন, এম ডি জিল্লুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান, নুরুল ফারুক শাকের সহ আরো অনেকেই।

তাদের মধ্যে আর একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব মুফতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।’’

এদিকে সমাবেশ চলাকালে মুফতি আহমদ উল্লাহ জিহাদী উপস্থিত থাকা দ্বীনদার ভাইদের উদ্দেশে বলেন যে, ‘‘যদি কোন মুসলিম মুরতাদ হয়ে যায় এবং মুরতাদের সকল শর্ত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় (সুস্থ- মস্তিস্ক, বালেগ, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া) তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং ইমাম তথা মুসলমানদের শাসক অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেমন বিচারক তাকে হত্যা করবে। তাকে গোসল করানো হবে না, তার জানাযা-নামায পড়ানো হবে না এবং তাকে মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা হবে না।‘‘

হেফাজেত ইসলামে এক কর্মীর কাছে মিছিলের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন যে, ‘‘সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ যারা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহ এবং আমাদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করবে, গালি-গালাজ করবে, কটূক্তি করবে তারা সবাই আমাদের টার্গেট। ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের হত্যা করবো।’’

উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম নাস্তিক এবং ব্লগারদের নিয়ে মিছিল যেভাবে করেছে, ২০১৬ সালে ঠিক এভাবেই ফেসবুক পেজে চার ব্লগারের ছবি প্রকাশ করে হত্যার হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। তারা হচ্ছেন আসিফ মহিউদ্দিন, সানিউর রহমান, শাম্মি হক ও অনন্য আজাদ। তারা সবাই এখন প্রবাসী। জঙ্গি হামলার ভয়ে এসব ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অনেক আগেই দেশ ছেড়েছেন।

রাজধানীতে আ.লীগ নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

নিহতের নাম উমামা বেগম কনক (৪০)। তিনি আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

শুক্রবার মধ্যরাতে পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস, ৭৪৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় কনককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ওমর ফারুককে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের বোন জামাই বাবুল জানান, ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। দেশে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। যতটুকু জেনেছি ব্যবসায় সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে জানতে পারিনি।

পল্লবীর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, পারিবারিক কলহে রাতে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন স্বামী। পরে মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান তিনি।

তিনি বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি নিহতের স্বামী জাপান থাকতেন। পাঁচ বছর আগে দেশে আসেন। বর্তমানে তার ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফ্ল্যাট নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী তাকে কোপায়।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ওমর ফারুককে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

তিতাসের চার প্রকৌশলীসহ ৮ জন রিমান্ডে

তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার প্রকৌশলীসহ প্রতিষ্ঠানটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

শনিবার ঢাকা ও নারায়ণঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটকের পর নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে সংঘটিত বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে দুই দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-তিতাস নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বি, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার, সহকারি প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, হেলপার মো. হানিফ মিয়া ওকর্মচারী মো. ইসমাইল প্রধান।

এর আগে মসজিদে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার ৩ দিন পর গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই ৮ জনকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে মসজিদের ভেতরে ৩৪ জন দগ্ধ হন। ওই ঘটনায় মসজিদের আশপাশে থাকা আরও ৩ জন দগ্ধ হন।

দদ্ধ ৩৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার পর্যন্ত ৩৩ জন মারা যান। চিকিৎসাধীন বাকি ৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

দেশে রাজার নীতি অনুসর করে ছাত্রলীগ

মশিউল হুসাইন খান/ যুক্তরাজ্য

দেশে রাজা হাসিনা। আর তার সৈন্য ছাত্রলীগ। হাসিনা তার সৈন্যদের হুকুম দেয়, আর তার সৈন্যরা পালন করে। যদি সৈন্যরা কোথাও ধরা খেয়ে যায়, তখন আবার তাদের বিচারে কথা বলে লোক চক্ষুর আড়ালও করেন। তাই আমরা যারা সাধারন মানুষ তাদের একটিই প্রশ্ন দেশে কি কার্যত রাজনীতি আছে? তবে খবরের শিরোনাম এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে প্রতিনিয়ত লেখা হচ্ছে। এই তো কয়েকদিন আগে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নমূলক কাজ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দাবি করেছেন। প্রশ্ন হলো- মেধা ও মননের সংগঠন ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের কেন এই পরিণতি? আর কোন সাহসেই এমন করছে তারা। আমরা সবাই জানি তাদের ক্ষমতা কোথা থেকে আসে। দলের বড় নেতারই যখন তাদেও ছত্রছায়া দিচেছন তখন তাদের অপরাধ করতে বা কি দোষ। কারন তারা তো ভাগ পায় তাই না।

ছাত্রলীগে এখন চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির কালো মেঘে ডাকা। তারপরও দলটির প্রধান বলছে দলটি ঐতিহ্য ধারন করছে। ছাত্রলীগে কেন এই পচন? ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রব্বানী। তাদের কর্মকান্ডের কারনে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের মতো এতো সমালোচনা বুঝিয়ে দেয় কিভাবে ছাত্রলীগ দেশটিকে গ্রাস করছে। তাদের খারাপ কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

গতকালও পত্রিকায় খবরের শিরোনাম হয়েছে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগ বর্তমানের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল পরিমাণ চাঁদা দাবি করেছেন। ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিত্বের কাছে এই অভিযোগ দেয়ার পর ‘ছাত্রলীগ কমিটির’ এই বিতর্ক শুরু। এতো খাই খাই কেন।

দেশের অবস্থা এখন এমন যে ছাত্রলীগের নেতাদের দেখলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন সাধারন মানুষ। এই বুঝি বিপদ আসলো! বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, হুমকি-ধমকি, ঘুষ, দুর্নীতি, চোরাচালান, হত্যা-সন্ত্রাস, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, এমন কোনো অপকর্ম নেই যে ছাত্রলীগের নেতাদের নাম নেই। এমনকি চুরি-ডাকাতি, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, মাদক ব্যবসা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গায়ে হাত তোলা, শিক্ষকদের মারপিট সব খবরের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাদের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে তৃর্ণমূল পর্যন্ত একই চিত্র। যেখানে ছাত্রলীগ সেখানে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি আতঙ্ক। গ্রামগঞ্জের দাদি-মা-খালারা এক সময় ‘বর্গী এলো’ ভয় দেখিয়ে ছেলেমেয়েদের ঘুম পাড়াতেন। এখন ছাত্রলীগের নাম শুনলে হয়তো মানুষের মনের এমন অবস্থা হয়। আমরা হয়তো ভুলে যাইনি, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে দর্জি বিশ্বজিৎকে ছাত্রলীগ নেতাদের কুপিয়ে হত্যার খবরটি। তাই বলি এখন দাদি-মা-খালারা ‘ছাত্রলীগ এলো’ ভয় দেখিয়ে শিশুদের খুম পাড়ান।

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টালে দেখা যায় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ ও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছে। সংগঠনটির নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ৬০ জন। ছাত্রলীগের হাতে নিহত হয়েছে প্রতিপক্ষের ১১ জন এবং সাধারণ শিশু ও মানুষ নিহত হয়েছে ৫৪ জন। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রতিপক্ষ্যের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারের জন্য সংঘর্ষ, গোলাগুলি, টেন্ডারবাজি, দখল বাণিজ্য, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, হলের সিট নিয়ন্ত্রণসহ নানা ইস্যুতে আলোচনায় আসছে সংগঠনটির নাম। পুরান ঢাকায় প্রকাশে দর্জি বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক দৃশ্যই শুধু টিভি পর্দায় দেশের মানুষ শুধু দেখেনি; বরিশালে কলেজের অধ্যক্ষকে চ্যাংদোলা করে পানিতে ফেলে দেয়া, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গায়ে এসিড নিক্ষেপ, জাহাঙ্গীর নগরে ছাত্রী ধর্ষণে সেঞ্চুরি, সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলে অগ্নিসংযোগ, সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতা নামধারীদের নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে ভিডিও প্রচার কাহিনী ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও কোনো অঘটন ঘটলে ছাত্রলীগের ওই শাখা কমিটি ভেঙে দেয়া হয়; অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এটাই যেন অপরাধের শক্তি!

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্রলীগ তার এই অপকর্ম চালাচ্ছেন। তবে এখন সেই পচন ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। সংগঠনটি কার্যত আওয়ামী লীগের কিছু নেতা লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সে সুযোগে সংগঠনটির নেতার অস্ত্রবাজি-চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিত্তবৈভবের দিকে ঝুকে পড়েছেন। যার জন্য ছাত্রলীগে মেধা ও মননের জায়গা দখল করে নিয়েছে দুর্বৃত্তায়ন ও লোলুপতা। টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব আর সন্ত্রাস যেন ছাত্রলীগের নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। মেধাশূন্য হয়ে পড়ছে সংগঠনটির নেতৃত্ব; অথচ সেখান থেকে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব বের হয়ে আসার কথা। তাই আমার প্রশ্ন ছাত্রলীগ কি রাজনীতি করছে না। আমাদের মতো মানুষদের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা গ্রহন করছে।

লন্ডন বি এন পি নেত্রীর নাগরিকত্ব বাতিল ও বিচারের দাবীতে পোস্টারিং এবং দেয়াল লিখন

বি এন পির সন্ত্রাসী ইশরাত রশিদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে

সেন্ট্রাল লন্ডন যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক ইসরাত রশিদের বিরুদ্ধে গতকাল যাত্রাবাড়ীর আশে পাশের অঞ্চলে ছাত্রলীগের কর্মীরা দেয়াল লিখন করে ও পোস্টারিং করে। এই সময় কিছু উৎসাহী কর্মী ইসরাত রশিদের ছবির উপর জুতো দিয়েও আঘাত করতে দেখা যায়।

পোস্টারে যা লেখা রয়েছে- এন পির সন্ত্রাসী ইশরাত রশিদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে

উল্লেখ্য যে গত ২শরা অক্টোবর জামালপুরের আদালতে ইসরাত সহ লন্ডনের বি এন পি প্রধান আব্দুল মালেক, কয়সর আহমেদ গংদের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাতে আসামী হিসেবে আরো রয়েছেন বি এন পি’র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালাম এবং প্রখ্যাত ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য্য। আমাদের আদালত সূত্রে জানা যায়যে এই মামলার নাম্বার ২৮৮(১) ২০১৯। মামলার বাদী মোহাম্মদ আলাল নামের এক ব্যাক্তি।

আমাদের সংবাদদাতার সুত্রে জানা যায় যে, পোর্টাল বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় ইসরাত রশিদ সহ বাকী আসামীরা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে, তার ক্যানসার হয়েছে বলে গুজব ছড়ায় এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ আলাল মামলা দেয় বলে জানা যায়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী ছাত্রলীগের উদ্যোগে এই দেয়াল লিখন ও পোস্টারিং-এর ফলে সেখানে জনমনে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। একটি সূত্রে জানায় সেখানে ছাত্রলীগ কর্মীদের তান্ডবে অনেক দোকান পাট বন্ধও হয়ে পড়ে।

এই ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী ছাত্রলীগের নেতা ফয়স্ল আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসরাত যাত্রাবাড়ীর মেয়ে। তার মাও বি এন অই নেত্রী এবং এদের প্রধান কাজ হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রচনা করা। আমরা ইসরাতের বিরুদ্ধে মামলার কথা জানতে পেরেছি তাই তার নাগরিকত্ব বাতিলের আহবান জানিয়েছি।

নাগরিকত্ব বাতিলের আহবান জানিয়ে তার বিচার চাইছেন কিভাবে, এই প্রশ্নের উত্তরে ফয়সাল বলে, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে এবং তারপর তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।

এই ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি লিখন ভট্টাচার্য্যের সাথে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা কেব্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে মির্যা ফকরুলের জামাতা ও পিনাকা ভট্টচার্য্যের ব্যাপারেও তাদের নিজ নিজ শহরে ছাত্রলীগ প্রচারণা চালাবে। একই সাথে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এই ইসরাত রশিদ, লন্ডনের বি এন পি’র সন্ত্রাসী আবদুল মালেকের সাথে একাত্ন হয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। এত বড় স্পর্ধা দেখাবার জন্য শাতি তাকে পেতেই হবে।

এই পোস্টারিং ও দেয়াল লিখনের ব্যাপারে স্থানীয় কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে আমাদের প্রতিবেদপককে জানান। কি কাজ করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে থানায় কর্তব্যরত কনস্টেবল ফিরোজ মিয়া মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

 

লন্ডন বি এন পি নেতার নাগরিকত্ব বাতিল ও বিচারের দাবীতে পোস্টারিং এবং দেয়াল লিখন

ইস্ট লন্ডন যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর সানীর বিরুদ্ধে গতকাল কুষ্টিয়ার মিনাপাড়ায় এলাকার আশে পাশের অঞ্চলে ছাত্রলীগের কর্মীরা দেয়াল লিখন করে ও পোস্টারিং করে। এই সময় কিছু উৎসাহী কর্মী জনাম সানীর ছবির উপর জুতো দিয়েও আঘাত করতে দেখা যায়।

‘বি এন পি সন্ত্রাসী এম ডি ওমর সানীর নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে’ বলে দেয়াল লিখন

সানির নাগরিকত্ব বাতিল চেয়ে পোস্টারিং

উল্লেখ্য যে গত ২শরা অক্টোবর জামালপুরের আদালতে মোহাম্মদ ওমর সানী সহ লন্ডনের বি এন পি প্রধান আব্দুল মালেক, কয়সর আহমেদ গংদের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাতে আসামী হিসেবে আরো রয়েছেন বি এন পি’র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালাম এবং প্রখ্যাত ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য্য। আমাদের আদালত সূত্রে জানা যায়যে এই মামলার নাম্বার ২৮৮(১) ২০১৯। মামলার বাদী মোহাম্মদ আলাল নামের এক ব্যাক্তি।

আমাদের সংবাদদাতার সুত্রে জানা যায় যে, পোর্টাল বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় ওমর সানী সহ বাকী আসামীরা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে, তার ক্যানসার হয়েছে বলে গুজব ছড়ায় এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ আলাল মামলা দেয় বলে জানা যায়।

এদিকে মিনাপাড়া ছাত্রলীগের উদ্যোগে এই দেয়াল লিখন ও পোস্টারিং-এর ফলে সেখানে জনমনে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। একটি সূত্রে জানায় সেখানে ছাত্রলীগ কর্মীদের তান্ডবে অনেক দোকান পাট বন্ধও হয়ে পড়ে।

এই ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সানী মিনাপাড়ার ছেলে। তার বাবাও এক সময় বি এন পি করতো এবং এদের প্রধান কাজ হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রচনা করা। আমরা সানীর বিরুদ্ধে মামলার কথা জানতে পেরেছি তাই তার নাগরিকত্ব বাতিলের আহবান জানিয়েছি।

নাগরিকত্ব বাতিলের আহবান জানিয়ে তার বিচার চাইছেন কিভাবে, এই প্রশ্নের উত্তরে ফয়সাল বলে, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে এবং তারপর তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।

এই ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি লেখক ভট্টাচার্য্যের সাথে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা কেব্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে মির্যা ফকরুলের জামাতা ও পিনাকী ভট্টচার্য্যের ব্যাপারেও তাদের নিজ নিজ শহরে ছাত্রলীগ প্রচারণা চালাবে। একই সাথে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এই সানী, লন্ডনের বি এন পি’র সন্ত্রাসী আবদুল মালেকের সাথে একাত্ন হয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। এত বড় স্পর্ধা দেখাবার জন্য শাতি তাকে পেতেই হবে।

এই পোস্টারিং ও দেয়াল লিখনের ব্যাপারে স্থানীয় কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান। কি কাজ করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে থানায় কর্তব্যরত কনস্টেবল মামুন আলী মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

তবে কি সরকারী চাকুরী কেবল হাসিনার গুন্ডা ছাত্রলীগের একমাত্র সম্পত্তি?

মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে

একটি দেশের সরকারী চাকুরীতে শতকরা ৫৬ শতাংশ কোটাময়। এটা রীতিমত ভয়ংকর একটা তথ্য। এই নিয়ম রিভিউ করে এটিকে খুবই সহনশীল পর্যায়ে আনাটা কতটা জরুরী সেটি বলার অপেক্ষা রাখেনা। আওয়ামী বাকশালী একনায়ক সরকার অসভ্য ইতরের মত এটিকে আরো নোংরা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। দিনে দিনে হাসিনার পালিত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের জন্যই যেন হয়ে উঠছে এই বাংলাদেশ। তার স্তুতি গাইবার জন্য সরকারী চাকুরীতে শুধু ছাত্রলীগের পান্ডারা চাকুরী পাচ্ছে।

মহান মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি ও পুতিদের জন্য ৩০% কোটা বরাদ্দের নিয়ম থাকলেও আমি পালটা প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারি যে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লক্ষ কিংবা তারও বেশী শহীদ পরিবার,৪ লক্ষ কিংবা তারও বেশী নির্যাতিত নারীদের পরিবার, মুক্তিযুদ্ধে যান নি কিন্তু সে সময় পাকিস্তানী মিলিটারী ও তাদের সহযোগীদের হাতে পঙ্গু হয়েছেন এমন ব্যাক্তিদের পরিবারের জন্যও কি কোটা বরাদ্দ করা হয়েছিলো? আমি যতদূর জানি যে, না, এমন কোনো কোটা বরাদ্দ নেই। ভুল হলে আমাকে ধরিয়ে দেবেন।

আমি কোটা ক্যাটাগোরিতে জেলা কোটা ও নারী কোটা দেখেছি। এই দুইটি কোটা আমাকে বিষ্মিত করেছে। নারীদের কেন কোটার মধ্যে এনে রাখা হয়েছে? আমার অবজার্ভেশনে এটি নারীদের প্রতি অপমানের সামিল। আমাদের সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা রয়েছে দেশের সকল নাগরিক সমান অধিকার পাবেন। সকল নারী ও পুরুষ তাঁদের মেধার ভিত্তিতে চাকুরী পাবেন। ইনফ্যাক্ট আমার অবজার্ভেশনে নারীরা পুরুষদের থেকে অনেক বেশী মেধাবী হয়ে থাকেন।

জেলা কোটা কেন থাকবে? এটির ব্যখ্যা কি? পিছিয়ে পড়া জেলা আবার কি? কোন জেলা পিছিয়ে পড়বার জন্য দায় সেক্ষেত্রে কার? এই দায় মেটাতে সরকারী চাকুরীতে ভর্তুকি দিতে হবে কেন?

সরকারী চাকুরী করবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবী ব্যাক্তিরা। তাঁদের পরীক্ষাও হবে ঠিক তেমনই স্ট্যান্ডার্ডে।

উপজাতি কোটাই বা থাকবে কেন? এটির যৌক্তিকতা কি? সরকারী চাকুরী করতে এলে যে মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট সেটি সম্পূর্ন ফুলফিল করেই তবে একজন ব্যাক্তি সেই লাইনে এসে দাঁড়াবেন। উপজাতিরা যদি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হয়ে থাকে তবে সেই দায় নেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র। এর ক্ষতিপূরণও দেবে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রকেই জবাব দিতে হবে যে কেন একটি জাতি পিছিয়ে থাকবে, কেন একটি অংশ পিছিয়ে থাকবে। কিন্তু সেটির কাফফারা দেবার জন্য সরকারী চাকুরীর সিটকে আপনি জিম্মি করতে পারেন না।

কোটা পদ্ধতির অনেকগুলো পাল্টা মানে বের করা যায়। এটিকে বলা যায় করুনা, অনুকম্পা, সুবিধা ইত্যাদি। একজন ব্যাক্তি, যিনি মনে করেন তিনি সরকারী চাকুরীর জন্য উপযুক্ত ও সে মেধা তাঁর রয়েছে তিনি কেন অনুকম্পা নেবেন? কেন তিনি অন্যদের থেকে বেশী সুবিধা নেবেন? এটি বরংচ সেই যোগ্য মনে করা ব্যাক্তির জন্য এক ধরনের অপমান।

মহান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এখন যেই সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেটি এই চাকুরীর ক্ষেত্রে না বাড়িয়ে অন্য ভাবে দেয়া হোক। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে যেমন এখন পেনশন দেয়া হচ্ছে দরকার হলে পেনশন বাড়িয়ে দেয়া হোক, তাঁর থাকবার জন্য ভালো আবাসন তৈরী করা হোক, তাঁর চিকিৎসার জন্য আরো বেশী সুযোগ ও সুবিধা দেয়া হোক কিন্তু তাঁদের নাতি-পুতিরা যুগের পর যুগ কোটা সুবিধা পাবে এটা আমার বিবেচনায় অন্যায় আবদার।

দেশের জন্য যিনি যুদ্ধ করেছেন তাঁকে এই বাংলাদেশ মাথায় তুলে রাখবে। তাঁকে রাষ্ট্র ব্যাক্তিগতভাবে সকল সুবিধা দিবে। দরকার হলে তাঁর পরিবারের কর্মক্ষম ব্যাক্তির জন্য সহজ শর্তে কিংবা একেবারে মিনিমাম লেভেলের রি-পেইমেন্ট শর্তে ব্যবসার জন্য লোন দিতে পারে সরকার কিন্তু সরকারী চাকুরীতে আসবার জন্য হতে হবে চূড়ান্ত রকমের স্মার্ট, মেধাবী, শিক্ষিত, রুচিসম্পন্ন তথা একেবারে সকল ধরনের যোগ্যতায় পরিপূর্ণ হয়ে।

এই যে আমি এই পদ্ধতির কথা বলছি সেটিও কিন্তু এই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের-ই স্বপ্ন। এই দেশটিকে তাঁরা সকলের জন্য করে দিতেই ৯ টি মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। যে দেশটিকে গড়বার জন্য তাঁরা যুদ্ধে গেলেন, আহত হলেন, নিহত হলেন, সেই দেশে যদি শুধু ৫৬ পার্সেন্ট কোটা-ই থাকে তবে সেই দেশটি কি করে আগাবে?

একটি দেশের সিভিল প্রশাসন হচ্ছে সেই দেশের মেরুদন্ড। এই লেভেলে যত মেধাবী ব্যাক্তিরা থাকবেন বাংলাদেশ ঠিক ততটা আগাবে। এটা কোনো আবেগের কথা নয়, এটা যুক্তির কথা।

এই যে বর্তমানে যে আন্দোলন চলছে এই আন্দোলনটিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের ছেলে মেয়েদের আন্দোলন, এটিকে জামাত-বি এন পির আন্দোলন, এটিকে সরকার পতনের আন্দোলন বলে ক্ষমতাশীন দলের অনেক সমর্থক অভিহিত করছেন। এই টেন্ডেন্সি খুবই ভয়াবহ।

১৯৯৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে আওয়ামীলীগ, জামায়াত আলাদা আলাদা ভাবে রাজপথে নেমেছিলো। কিন্তু সেদিন যদি সেই আন্দোলনকে বলা হোতো স্বাধীনতাবিরোধীদের আন্দোলন, তাহলে কেমন লাগতো শুনতে? একবার কি সেই প্রোপাগান্ডিস্টরা ভেবে দেখেছেন?

যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হলে কিংবা ১০ বারো জন লোক এক সাথে হয়ে প্রতিবাদ করলে এই খুনী সরকারের কেন হাঁটু কাপাকাপি শুরু হয় আমি বুঝতে পারিনা। এই তারুণ্যের এই যৌক্তিক দাবী দাওয়াকে অন্যায় ভাবে ঠেকিয়ে এদের দিকে টিয়ার শেল ছুঁড়ে মারা, এদেরকে গুলি করা কিংবা ছাত্রলীগের মাস্তান দিয়ে এদেরকে ঠেঙ্গানো রীতিমত ইতরামি পর্যায়ের কাজ।

আজকের রাজপথের ছেলেটি সামনের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। এই দেশের জন্য সামনের সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। তাঁরা কথা বলবেন বাংলাদেশের হয়ে।

আমি এই আন্দোলনরত সকল প্রতিবাদকারীদের পাশে আছি। তাঁদের দাবী দাওয়ার প্রতি আমি সম্পূর্ণ সহমত ব্যাক্ত করছি।

যাদেরকে ইতিমধ্যে গুম করা হয়েছে তাদেরকে অন্তরীন করে রাখা হয়েছে ভূগর্ভস্থ ‘ব্ল্যাক হোলে’

মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে

গণ মানুষের প্রাণের নেতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান জনাব হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মুক্তির পর আসুন এখন সবাই বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তুলি- এই জালিম, খুনী শেখ হাসিনার গোপন কারাগারের সকল রাজনৈতিক বন্দীদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী, আজমি, কাসেমি সহ ব্ল্যাক হোলের সমস্ত বন্দীকে অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।আগেও বলেছিলাম- দেশের শত শত নিখোঁজ মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে র‌্যাব ও ডিজিএফআইর কয়েক’শ সেলে। উত্তরা, কচুক্ষেত সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাটির নীচে রয়েছে এসব ব্লাকহোল। এমনকি জেলায় জেলায় পুলিশ ও গোয়েন্দরা গোপন সেলে আটক রেখেছে বহু নিরিহ মানুষকে। অবৈধভাবে আটকে রাখা এসব ব্যক্তিদের অবলম্বে মুক্তি দাবী করছি। এখনি ছেড়ে দাও। গোপন সেলের গেটগুলা খুলে দাও। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ডেকে এনে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক।

কি জঘন্য!! কি বর্বর কান্ড!! র‍্যাব,ডিজিএফআই কর্তৃক অপহরণ,গুম হওয়া মানুষগুলো এখনো হয়ত প্রাণে বেঁচে আছে নির্মম কোন অন্ধকার মাটির নিচের গর্তে।যেখানে সূর্যের আলো কখনো পৌছায় না।শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ছাড়া পাবার পর থেকে এই গুম রহস্য জনগণের সামনে একটু একটু করে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।
দেশের পরতিটি মানুষের কাছে এখন জিজ্ঞাসা ইলিয়াড আলী,চৌধুরী আলম,ব্রেগেডিয়া আযমী,ব্যারিস্টার কাশেমী এরা তাহলে নিজ মাতৃভূমিতে মাটির নিচের কোন অন্ধকার গুহায় আটকে আছে,না আটকে রাখা হয়েছে!!

তাই আমার দেশপ্রেমিক, মুক্তিকামী দেশবাসীকে বলছি, আসুন আমরা একসাথে রাজপথে নামি সরকারী বাহিনী দ্বারা গুম হওয়া প্রতিটি মানুষের অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে। অন্যথায়, এই বাংলার ১৭ কোটি মানুষ মাটি খুঁড়ে হলেও বাংলাদেশের ৫৫ হাজার বর্গ মাইলের যেকোনো জায়গা থেকে গুমের শিকার বন্দীদেরকে উদ্ধার করতে পিছপা হবে না।