ইস্ট লন্ডন যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর সানীর বিরুদ্ধে গতকাল কুষ্টিয়ার মিনাপাড়ায় এলাকার আশে পাশের অঞ্চলে ছাত্রলীগের কর্মীরা দেয়াল লিখন করে ও পোস্টারিং করে। এই সময় কিছু উৎসাহী কর্মী জনাম সানীর ছবির উপর জুতো দিয়েও আঘাত করতে দেখা যায়।


উল্লেখ্য যে গত ২শরা অক্টোবর জামালপুরের আদালতে মোহাম্মদ ওমর সানী সহ লন্ডনের বি এন পি প্রধান আব্দুল মালেক, কয়সর আহমেদ গংদের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাতে আসামী হিসেবে আরো রয়েছেন বি এন পি’র মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালাম এবং প্রখ্যাত ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য্য। আমাদের আদালত সূত্রে জানা যায়যে এই মামলার নাম্বার ২৮৮(১) ২০১৯। মামলার বাদী মোহাম্মদ আলাল নামের এক ব্যাক্তি।
আমাদের সংবাদদাতার সুত্রে জানা যায় যে, পোর্টাল বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় ওমর সানী সহ বাকী আসামীরা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে, তার ক্যানসার হয়েছে বলে গুজব ছড়ায় এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ আলাল মামলা দেয় বলে জানা যায়।
এদিকে মিনাপাড়া ছাত্রলীগের উদ্যোগে এই দেয়াল লিখন ও পোস্টারিং-এর ফলে সেখানে জনমনে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। একটি সূত্রে জানায় সেখানে ছাত্রলীগ কর্মীদের তান্ডবে অনেক দোকান পাট বন্ধও হয়ে পড়ে।
এই ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সানী মিনাপাড়ার ছেলে। তার বাবাও এক সময় বি এন পি করতো এবং এদের প্রধান কাজ হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রচনা করা। আমরা সানীর বিরুদ্ধে মামলার কথা জানতে পেরেছি তাই তার নাগরিকত্ব বাতিলের আহবান জানিয়েছি।
নাগরিকত্ব বাতিলের আহবান জানিয়ে তার বিচার চাইছেন কিভাবে, এই প্রশ্নের উত্তরে ফয়সাল বলে, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে এবং তারপর তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।
এই ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি লেখক ভট্টাচার্য্যের সাথে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা কেব্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে মির্যা ফকরুলের জামাতা ও পিনাকী ভট্টচার্য্যের ব্যাপারেও তাদের নিজ নিজ শহরে ছাত্রলীগ প্রচারণা চালাবে। একই সাথে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি এই সানী, লন্ডনের বি এন পি’র সন্ত্রাসী আবদুল মালেকের সাথে একাত্ন হয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে। এত বড় স্পর্ধা দেখাবার জন্য শাতি তাকে পেতেই হবে।
এই পোস্টারিং ও দেয়াল লিখনের ব্যাপারে স্থানীয় কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান। কি কাজ করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে থানায় কর্তব্যরত কনস্টেবল মামুন আলী মন্তব্য করতে রাজি হন নি।