কামরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে
শেখ হাসিনার ক্রমাগত মিথাচার আমাদের হতবাক করে। এই মহিলা আসলে জানেইনা সত্য কোনটা। এবার সে একজন খালাশ পাওয়া ব্যক্তিকে ধরে এনে অপরাধী বানিয়ে দিয়েছে। অবশ্য খালাশ পাওয়া অপরাধী তো অনেক কিছু, যেখানে অপরাধ করেনি এমন ব্যাক্তিদেরই ফাঁসী হয়।
শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে প্রমাণ দিয়েছেন তার ইতিহাসের দৌড় কত দূর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরের কমান্ডার কে ছিলেন, এইটুকু ব্যাসিক ধারণায় যে হাসিনার নাই, এমন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব, যারা মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ভারতে পালায়ে ছিল তাদেরও যে কারও নাই, এইটা প্রমাণিত সত্য।
তবে মুক্তিযুদ্ধের পরের ইতিহাসও যে এরা ঠিকমত জানে না এইটাও এখন বোঝা যাচ্ছে। জাতির নাতি কয়দিন আগে বলছে বেগম জিয়া নাকি জেল থেকে হত্যা মামলার আসামীকে বের করে রাষ্ট্রদূত বানাইছে। এরপর থেকে আওয়ামী ছাগলের পালও সেই কথা এমনভাবে বারবার বলতেছে যেন সেইটা সত্য হয়ে যায়।
এদিকে সত্য কথা হচ্ছে যে মেজর (অব:) খায়রুজ্জামানের কথা বলা হচ্ছে তাকে বহু আগেই জেল হত্যা মামলার দায় থেকে খালাস দেয়া হইছিল এবং তার কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় নাই সেই হত্যার সাথে। এই ব্যাপারে জেল হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়েই বলা আছে। এমনকি ২০১৫ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের আজ্ঞাবহ সুপ্রিম কোর্ট থেকে যে জেল হত্যা মামলার রায় দেয়া হইছিল, সেইখানেও তো তাকে দায়ী করা হয় নাই। সরকারপক্ষ, মানে আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্রীয় আইনজীবীরা হাজার চেষ্টা করেও নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া মেজর (অব:) খায়রুজ্জামানকে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট থেকে অপরাধী প্রমাণ করতে পারে নাই।
এখন আওয়ামী লীগ এবং জাতির নাতি কী চায়? খালাস পাওয়া মানুষকে বিদেশ থেকে ধরে এনে ফাঁসিতে লটকায়ে দিতে হবে?
আমি বুঝতেছি আওয়ামী বিচারব্যবস্থা এইভাবেই কাজ করে, কিন্তু অন্য সরকারের বিচারব্যবস্থা তো আওয়ামী লীগের কথামত কাজ করবে না, তাঁদের নিজেদের স্বাধীনতা অনুসারেই কাজ করবে।
তাই মিথ্যা মামলায় খালাস পাওয়া খায়রুজ্জামানকে রাষ্ট্রদূত করাকে কোনভাবেই জেল থেকে বের করে রাষ্ট্রদূত বানানো বলা যায় না। এখন এই যুক্তি দিলে তো বলতে হয়, মইন ইউ আহমেদ শেখ হাসিনাকে জেল থেকে বের করে প্রধানমন্ত্রী বানাইছে, কারণ হাসিনার বিরুদ্ধেও পল্টন হত্যা মামলা হইছিল। খায়রুজ্জামান তো আদালত থেকে খালাস পেয়ে তারপর চাকরিতে পুনর্বহাল হয়েছিলেন, কিন্তু শেখ হাসিনা তো হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছিলেন।
এইটুকু ব্যাসিক যেই পার্টির নেতা-কর্মী, এমনকি মন্ত্রীরাও বোঝে না, তাদের হাতে পড়লে এই দেশের বিচারব্যবস্থার কী হাল হওয়ার কথা, সেইটা সহজেই বোঝা যায়।
মামলার রায় দেখতে চাইলে- https://bdnews24.com/…/supreme-court-publishes-full…
See translation

830
15 comments
53 shares
Like
Comment
Share