শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মর্ধ্যে পার্থক্য

কামরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য থেকে
অনেকেই আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মধ্যে নাকি পার্থক্য খুঁজে পান না। সবাইকেই নাকি একই লাগে। এই কথাটা শুনেই আসলে মনে হয় এদের বিবেচনাবোধের অবস্থা ভয়াবহ।
বেগম খালেদা জিয়া আর শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য কী যারা জানতে চান, তাঁদেরকে বলবো শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাবলির দিকে একটু খেয়াল করতে।
২০০২ সালে ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়াররুল্লাহ চৌধুরী, যিনি ১৯৭১ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক সরকারের দালালি করছিল কিংবা চুপচাপ সময় কাটিয়ে দিচ্ছিল ক্যাম্পাসে তখন অস্ত্র নিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার কোন নির্দেশ না দিলেও শুধু ভিসি হিসেবে শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢোকার অনুমতি দেয়ার অপরাধে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ার ৫ দিনের মাথায় বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বেগম জিয়া যেহেতু একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাই তিনি যখনই দেখেছেন কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তখনই সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে দেখেন। এই হাসিনা বুয়েটের ভিসির পক্ষে ২০১২ সালে সাফাই গেয়েছে, যে ছাত্রলীগের নেতাদের বিনা পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিত। এমনকি তখন বুয়েটের ছাত্রীদের ব্যাপারে প্রচন্ড মিসোজিনিস্ট বক্তব্যও দিয়েছিল হাসিনা। হাসিনার বদৌলতে বুয়েটের সেই ভিসিকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়নি।
হাসিনার আশীর্বাদে শাহজালালে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করার নির্দেশ দেয়া ভিসি এখনো ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। এদিকে হাসিনা কী করেছে দেখেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলনের পক্ষে যে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সমর্থন দিচ্ছিল, তাদেরকে পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে বাসা থেকে।
এই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য। ভালো করে বুঝে নিয়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *