৪৫ শতাংশ টিকাই পেয়েছে সাত ধনী দেশের নাগরিকেরা

করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এই টিকার প্রয়োগ শুরুর পর বিশ্বের ১০৭টি দেশে ২০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বার্তা সংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

তবে এই টিকার যে সমহারে বণ্টন হচ্ছে না, তার একটি চিত্র উঠে এসেছে এএফপির পরিসংখ্যানে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই পরিসংখ্যান অনুসারে, এই ২০ কোটি ডোজের ৪৫ শতাংশই পেয়েছেন বিশ্বের ধনী ৭ দেশের জোট জি-৭-এর নাগরিকেরা। যদিও এই দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ।
এই পরিস্থিতিতে টিকার সমবণ্টন নিশ্চিত করতে গতকাল শুক্রবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জি-৭-এর দেশগুলো।

টিকার সমবণ্টন নিশ্চিত করতে সবার আগে এগিয়েছে এসেছে যুক্তরাজ্য। এ জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে একটি খসড়া প্রস্তাব বিতরণ করেছে যুক্তরাজ্য। গরিব দেশগুলোর মধ্যে টিকার ডোজ বিতরণের আহ্বান জানানো হয়েছে এই খসড়া প্রস্তাবের মাধ্যমে।

যুক্তরাজ্য গত বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৪ দেশের কাছে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বন্ধুত্ব, সংহতি, ন্যায্যতা বজায় রাখার জন্য দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে একটি বৈঠকে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ সহিংসতাপ্রবণ বা অস্থিতিশীল এলাকায় বসবাস করেন। এসব এলাকার জনসাধারণের টিকা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

মিয়ানমারে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে আহত তরুণীর মৃত্যু

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলিতে এক নারী নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহের শুরুতে রাজধানীর নেপিদোতে বিক্ষোভের সময় তার মাথায় পুলিশের গুলি লেগেছিল।

হাসপাতালের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।

২০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম মিয়া থট থট খিয়াং। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে– তাজা গুলিতে তিনি আহত হয়েছিলেন।

গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে হটিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড়ে এই প্রথম কোনো মৃত্যুর খবর এসেছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেনাবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে তা সহিংস হয়ে ওঠে। তখন তাজা গুলিতে আহত অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।

শুক্রবার বেলা ১১টায় মিয়া থট থট খিয়াংয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এখন তার মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে পরীক্ষা করে সুরতহাল প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ওই নারীকে নেওয়ার পর থেকেই হাসপাতাল কর্মীদের ওপর ব্যাপক চাপ এসেছে।

ওই চিকিৎসক আরও বলেন, সেনাবাহিনীর চাপের কারণে অনেক চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ও তথ্যমন্ত্রী জ মিন টুন চলতি সপ্তাহে ওই নারীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আহত হওয়ার পর থেকে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠেন শিয়া থট থট খিয়াং। বিক্ষোভকারীদের বড় বড় ব্যানারে তার ছবি দেখা গেছে। তারা ন্যায়বিচার দাবি করেন।

ব্যস্ত রাস্তায় হেফাজত নেতাকে ছুরি মেরে পালাল দুর্বৃত্ত (ভিডিও)

রাজধানীর লালবাগে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জসিম উদ্দিন আহত হয়েছেন। মাওলানা জসিম উদ্দিন রাজধানীর লালবাগের জামিয়া কুরাআনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার সিনিয়ার মুহাদ্দিস। 

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রিকশাযোগে মাদ্রাসা থেকে বাসায় যাওয়ার পথে এক দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলের পাশের একটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চলন্ত রিকশার পেছন থেকে একজন মাওলানা জসিম উদ্দিনকে পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হেফাজত নেতারা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত হেফাজত নেতার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আবাসিক সার্জন ডাঃ মো. আলাউদ্দিন।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান হেফাজত নেতারা।

ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণে মিয়ানমারের বর্তমান শাসক ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শিগগিরই নতুন নির্বাচনের আয়োজন করে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ মানুষ যখন ক্রমেই কঠোর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে, তখনই এমন ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সরাসরি ভাষণ দেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। এদিন গত বছরের নভেম্বরের অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন তিনি।

ভাষণে মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘আগের সময়ের চেয়ে এবারের সামরিক সরকার একেবারেই আলাদা। পূর্বের সামরিক শাসনের তুলনায় এই সামরিক সরকার ‘সত্য ও শৃঙ্খলাবদ্ধ গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করবে।’

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। সামরিক বাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ রাজনীতিক নেতাদের আটক করেছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে বিক্ষোভ দানা বাধে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেশটির সেনাবাহিনী ফেসবুক ও টুইটারের পর ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটির মানুষ সেনাশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসেন।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে সোমবার ১০ হাজারের বেশি মানুষ জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বের করেন। গণআন্দোলনের তৃতীয় দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জটিলের দিকে মোড় নিচ্ছে।

সু চি’র মুক্তি এবং সামরিক সরকার ক্ষমতা না ছাড়লে সামনে বড় ধরনের কর্মসূচির দিকে যাচ্ছে মিয়ানমারের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে সামরিক সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি এলো।

সু চির মুক্তি চায় জাতিসংঘ

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে আটক দেশটির স্টেট কাউন্সিলর এবং পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতা অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি)। খবর রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা পরিষদ এ আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মিয়ানমারের জরুরি অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে, চীনের আপত্তির মুখে ওই সেনা অভ্যুত্থানের ব্যাপারে নিন্দা জানাতে পারেনি সংগঠনটি।

পাশাপাশি, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সর্বসম্মত এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলো সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সহিংসতা পরিহার, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

তাছাড়া, মিয়ানমারের জনগণের স্বার্থে তাদের ইচ্ছানুযায়ী আলোচনায় বসা এবং সম্প্রীতির পথে হাঁটার তাগিদ দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

এ ব্যাপারে চীনের জাতিসংঘ মিশনের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে যে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে তা সব পক্ষই মেনে চলবে এবং ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে বেইজিং আশা করে।

এর আগে, সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচনের ফল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতার দখল নেয়। সে সময় ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষনেতা সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন এমপিকেও আটক করে সেনাবাহিনী।

ইতোমধ্যেই, সু চির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছে মিয়ানমার পুলিশ। অভিযোগ তদন্তের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে রিমান্ডে রাখা হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বুধবারই মিয়ানমারের অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, মিয়ানমারের ওপর পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করে এই অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ে মূল ভূমিকা পালনকারী দেশগুলোকে সক্রিয় করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে জাতিসংঘ।

মুম্বাই হামলার ১২ বছর পরও পাকিস্তানের ধরাছোঁয়ার বাহিরে ১৯ জঙ্গি

মুম্বাইয়ে হওয়া জঙ্গি হামলার ১২ বছর পরও ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছে এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লস্কর-ই-তৈয়বরে (এলইটি) ১৯ জঙ্গি। পাকিস্তানে বসবাস করা এবং হামলার পর পাকিস্তানে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া এই জঙ্গিদের দাগী আসামি বা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে ঘোষণা করলেও দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করতে খুব একটা তৎপর নয়। উল্টো আটক জঙ্গিদের বিভিন্ন মেয়াদে ‘লঘু’ শাস্তি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের এই ‘হাস্যকর’ সাজা দেয়ার মূল কারণ জঙ্গি অর্থায়নে সম্পৃক্তদের খুঁজে বের করার কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)। সম্প্রতি সংস্থাটি পাকিস্তানের উপর ‘গ্রে’ টাইপের অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বলবত থাকবে। জঙ্গি অর্থায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কারণে এই অবরোধ আরোপ করা হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই শাস্তির পরিমাণ যেন আরো না বাড়ে সে কারণে ১৯ জঙ্গিকে দাগি আসামি হিসেবে ঘোষণা ও আটক জঙ্গিদের শাস্তির কার্যক্রম শুরু করেছে পাকিস্তান।

অবশ্য পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, ১২০০ জনের বেশি জঙ্গির তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের আটকের জন্য চেষ্টা করা চলছে। এই এফআইএ ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর থেকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো তারা ১৯ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে খুঁজে পায়নি।

পাকিস্তানের করাচী থেকে সমুদ্র পথে নৌকা নিয়ে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় মুম্বাইয়ে। আমেরিকা, কানাডা, জর্ডান, মালয়েশিয়া, মরিশাস ও ইসরাইলের নাগরিকদের হত্যা করা হয় সেই সন্ত্রাসী হামলায়। জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বের সেই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নারীসহ ১৬৬ জন। বিকলাঙ্গ হয়েছেন ৪৬ নারী ও ১৩ শিশুসহ ১৭৯ জন। মোট আহত হন ৩০০ জনেরও বেশি। এই হামলায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় মারা যায় ৯ জঙ্গি। হামলার স্থান থেকে আটক হওয়া আরেক জঙ্গি আজমল কাসাবকে পরবর্তীতে ভারতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তা কার্যকরও করা হয়।

কিন্তু বিগত ১২ বছরে পাকিস্তান তার দেশে আটক জঙ্গিদেরও শাস্তি দিতে পারেনি। সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিরা এখনো পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে জামিন আবেদন করেনি। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের এফএটিএফ ক্লিয়ারেন্স পাবার অপেক্ষায় আছে। এরপরই তারা জামিন আবেদন করে সুপ্রিমকোর্ট থেকে মুক্তি পাবে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ইরানের চিঠি

ইসরাইলের অপরাধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রেসিডেন্ট রুহানি তার বার্তায় বলেন, সাত দশকেরও বেশি ষময় ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার শত্রু ইসরাইল।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করা, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা, গাজা উপত্যকার ওপর করোনা পরিস্থিতির কঠিন দিনগুলোতে অবরোধ আরোপ করে রাখা, এবং গাজাবাসীর কাছে ন্যুনতম চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিতে বাধা দেওয়া- মানবতাবিরোধী অপরাধ ছাড়া আর কিছু নয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট তার বার্তায় বলেন, এসব ঘটনা শুধু ইসরাইল-ফিলিস্তিন পরিস্থিতিকেই শোচনীয় করছে না সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কিছু স্থায়ী সদস্য দেশের পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে ইসরাইলের ধৃষ্টতা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি তেহরানে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে হত্যা করা হয়।এই ঘটনায় ইসরাইলকে দায়ী করছে ইরান। তবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছে ইসরাইল।

গিলগিটের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ

গিলগিটের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্য তিলক দেবাশীর। গত ৩০ নভেম্বর ভারতের সংবাদ মাধ্যম “দ্যা ট্রিবিউন”-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি)-র বিধানসভায় ১৫ ই নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল এই অঞ্চল এবং পাকিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য সুদূরপ্রসারী ফলাফল বয়ে আনতে পারে। তবে কারচুপির অভিযোগে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পিপিপি এবং পিএমএল-এন।

বিলাওয়াল ভুট্টো অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে সপ্তাহখানেক আগে গিলগিটে পৌঁছে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রচারণাটি অন্যদের থেকে কিছুটা ভিন্ন রকমের ছিল, যা অন্যান্য প্রার্থীদের অনুকরণীয় ছিল।তার এই ভিন্ন মাত্রার প্রচারণার জন্য ভবিষ্যত রাজনৈতিক জীবনে তার ভাল স্থানে দাঁড়ানো উচিত।

ইমরান খানের জনপ্রিয়তার অভাবের কারণে গিলগিট-বালতিস্তানে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। মরিয়ম নওয়াজ বিলাওয়ালকে অনুসরণ করেছিলেন যার মধ্যে ছিল গিলগিট-বালতিস্তানের বেশ কয়েকটি সমাবেশ ও প্রচারণার জন্য সেখানে তার সাত দিনের অবস্থান।

তার বক্তৃতায় তিনি ইমরান খান এবং তাঁর ‘নির্বাচিত ও প্রত্যাক্ষিত’ সরকারকে নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

১লা নভেম্বর গিলগিটে এক সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছিলেন ইমরান খান। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন যে গিলগিট-বালতিস্তানকে ‘অস্থায়ী’ প্রাদেশিক মর্যাদা দেওয়া হবে,এটি ছিল তার জয়ের জন্য এক প্রকার চালাকি এবং মিথ্যা আশ্বাস।

তবে, পিটিআইয়ের প্রচারণা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল কাশ্মীর বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুরের অশ্লীল ও যৌনতাবাদী মন্তব্যের মাধ্যমে। তিনি একটি সমাবেশে মরিয়মকে উল্লেখ করে বলেন যে, মরিয়ম কে সুন্দর দেখানোর কারণ তিনি লক্ষ লক্ষ করদাতার অর্থ তার ফেস সার্জারিতে ব্যয় করেছেন এবং জনগণের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন। অনুরূপ ভাবে তিনি ব্যঙ্গাত্মক করে বিলওয়াল ভুট্টোকে ‘মানুষ হওয়ার’ জন্য অনুরোধ করেন।

এদিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন)এর ১০ জন নেতাকে পিছিয়ে ফেলে তাদের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই,(পিটিআই) একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, ২৪ জনের মধ্যে নয়টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তারা।

স্বতন্ত্ররা ছয়টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) তিনটি আসন, পিএমএল-এন এবং অন্যান্যরা একটি করে আসন জিতেছে। পরে পিটিআই এর এক বিজয়ী প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। পাঁচজন স্বতন্ত্র দলে যোগদানের পর পিটিআই সরকার গঠন করবে। তবে, পিটিআই নিজে থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি যা থেকে প্রমাণ হয় যে গিলগিট-বালতিস্তানে ইমরান খান অখ্যাত। আসলে, পিএমএল-এন টার্নকোটের অনুপস্থিতিতে পিটিআই তৃতীয় অবস্থানে চলে আসতে পারত।

কারচুপির অভিযোগের গিলগিট-বালতিস্তান নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছিল। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন নেটওয়ার্ক (এফএফএন) এর তথ্যমতে ভোটকেন্দ্র গড়ে গড়ে তিনটি অবৈধতা বা অনিয়মের কথা জানানো হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, অনিয়মের মধ্যে রয়েছে ভোটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ভোটারদের পক্ষ থেকে অন্যদের দ্বারা ব্যালট লাগানো এবং নিবন্ধিত ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা প্রদান।

পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন এবং গিলগিট সাংবাদিক ইউনিয়ন নিশ্চিত করেছে এমন অনেকগুলি অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত এবং জাল ব্যালট পেপার দেয়া হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি ভোটার কেন্দ্রে মহিলাদের ভোটদান থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে ভোট পর্যবেক্ষকদের গণনা শুরুর আগেই ভোটকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।

পিপিপি এবং পিএমএল-এন উভয়ই এ ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল, এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে বিলাওয়ালের একটি নতুন স্লোগান গিলগিট-বালতিস্তানে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তা হচ্ছে, ‘ভোট দা ডাকা নামঞ্জুর’। মরিয়ম এক টুইট বার্তায় বলেন যে,পিটিআই’র পূর্ণ রাষ্ট্র ক্ষমতা, সরকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারী কলা কুশলীদের মাধ্যমে কারচুপি করেও সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি যা তাদের জন্য ‘লজ্জাজনক পরাজয়’।

নির্বাচনী জালিয়াতির কারণে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে একের পর এক প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিশেষত গিলগিট ও চিলাসে সুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইতে বাধ্য করেছে।

গিলগিট-বালতিস্তানে এবং তথাকথিত আজাদ জম্মু কাশ্মীর নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হ’ল সাধারণ ভাবে ইসলামাবাদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই এই অঞলে জয় পায়। আগের দুটি নির্বাচনে, ২০০৯ সালে পিপিপি এবং ২০১৫ সালে পিএমএল-এন তাদের কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তারা জয়ী হয়েছিল।

পিটিআই এবং বিরোধী জোট পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন (পিডিএম) এর মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পটভূমির বিরুদ্ধে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিকে পিটিআই দাবি করেছে যে জরিপের ফলাফল বিরোধীদল গুলোর মানসিকতা ভেঙে দিয়েছে; পিপিপি এবং পিএমএল-এন এ ফলাফল কারচুপির ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছে।

এদিকে সেনাবাহিনী এটি নিশ্চিত করেছে যে পিটিআই সরকার গঠনের জন্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে দীর্ঘমেয়াদে রাখার জন্য জন্য কৌশলগতভাবে পিডিএমকে গোলাবারুদ সরবারহ করেছিল।

চীনে বিদেশীদের ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ নিষিদ্ধ’ করার জন্য নতুন বিধিনিষেধ

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং উপাসকদের বিরুদ্ধে আগামীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খসড়া বিধিমালাতে ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ’-এর বিস্তার রোধে বিদেশি উপাসকদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন বিধিনিষেধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।

শি’র অধীনে ধর্মীয় অনুশীলন নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ পদক্ষেপ হলো, নতুন নিয়মগুলি বর্তমানে জনসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত আছে তবে তাদের বর্তমান নিয়ম গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

চীন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাস্তিক রাষ্ট্র, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্ম সর্বদা তাদের অবস্থান দখল করে থাকে। কমিউনিস্ট সরকার পাঁচটি সরকারী বিশ্বাসের অনুমোদন দেয় এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই ধর্মগুলি হলো চাইনিজ বৌদ্ধধর্ম, তাওবাদ, ইসলাম, ক্যাথলিক ধর্ম, প্রোটেস্ট্যান্টিজম। এই গোষ্ঠীগুলির ধর্ম পালনে বাইরেও তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ গুলিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।এছাড়াও সরকারীভাবে স্বীকৃত নয় এমন অনেক বিশ্বাস যেমন মরমোনবাদ, ইহুদী ধর্ম, কোয়েকারস-চীনে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। যা বিদেশীদের ক্ষেত্রে সাধারণত আরও বেশি স্বাধীনতা রয়েছে। বিদেশী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির প্রতি সংবেদনশীলতা এখনও প্রবল রয়েছে চীনে।

২০১৮ সালে চীন একটি গোপনীয় এবং ব্যাপক বিতর্কিত চুক্তি করেছিল, যা এই অক্টোবরে আরও দু’বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল, তবে আরও স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা স্থগিত বলে মনে হয়। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি বইতে পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো উইগার্সকে ‘নির্যাতিত মানুষ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, উইঘুরদের সম্পর্কে পোপ ফ্রান্সিস যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। “চীনে ৫৬ টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী রয়েছে এবং উইঘুর জাতিগোষ্ঠী চীনা জাতির বৃহত্তর পরিবারের সমান সদস্য।

এ বিষয়ে ঝাও আরও বলেন, চীন সরকার সর্বদা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সাথে সমান আচরণ করেছে এবং তাদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। এই খসড়ার অন্যান্য অংশগুলি ইসলামী গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে বলে মনে হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জিনজিয়াং এবং চীন জুড়েই তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে, সাম্প্রতিক আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী ২৩ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে চীনে।

চীনের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম বিশেষজ্ঞ রিয়ান থুম বলেছেন, বিধিনিষেধগুলি ‘বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং উপাসকদের ভীতির কারণ হতে পারে। যা বর্তমান সময়ের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, ‘চীনের ধর্মীয় স্বাধীনতা’ কথাটি বারবার ব্যবহার করে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, যা ‘বিদেশী’ প্রভাবের ধর্মগুলিকে শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী আকাঙ্ক্ষাকে ইঙ্গিত করে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের প্রায় তিনটি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

চায়না রিসার্চর আকাদ বলেন, দিন দিন চীনে ওহাবী আদর্শের জনপ্রিয়তা এবং সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, যা গত দশক বা তারও বেশি সময় ধরে আপাতদৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিনজিয়াংয়ের বাইরে সরকার তার বৃহত্তম মুসলিম গোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হুই সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনাভাষী মুসলমানদের উপর চাপ পড়েছে।

থুম বলেন, কিছু খ্রিস্টান মিশনারিরা চীনে অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী বিদেশী ধর্মীয় অনুশীলনে আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে আরও কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনা হতে পারে।

নতুন প্রস্তাবটিতে সুনির্দিষ্ট শাস্তি তালিকাভুক্ত না করা হলেও, একটি পরামর্শ রয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তারা কঠোর হতে পারে ও ‘পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি আইন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বিধি আহ্বান করার কথাও বলা হয়েছে।

গোপন নথি ফাঁস, করোনা নিয়ে ভয়ানক মিথ্যাচার চীনের

করোনা নিয়ে চীনের মুখোশ খুলে দিয়েছে গোপন নথি।সম্প্রতি, চীনের করোনা মহামারি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন। সেখানে স্থানীয়ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি করা হযেছে যে, প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণের কথা গোপন রেখেছিল হুবেই প্রশাসন।

হুবেই প্রভিন্সিয়াল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের এক কর্মীর কাছ থেকে ১১৭ পৃষ্ঠার একটি গোপন নথি সংগ্রহ করেছে সিএনএন। জানা গেছে, অন্তত ছ’জন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ওই নথিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে অক্টোবর ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত খবর চেপে গিয়েছে চীন সরকার।

নথিতে বলা হয়, স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত হুবেইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯১৮। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর অর্ধেক দেখানো হয়েছিল। ফলে, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

এখনো অনেকেই মনে করেন উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকের দাবি, উহানের একটি সামুদ্রিক মাছের ও মাংসের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।