ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারনে গোপালগঞ্জে আদালতে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের

পলিটিকাল হেড, স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নানাবিধ কর্মকান্ডের সমালোচনা করে ‘এথিস্ট নোট ওয়েবসাইটে’ প্রকাশিত লেখার জের ধরে গোপালগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার কাদের শেখ নামের এক ব্যাক্তি এই মামলা দায়ের করা হয় নড়াইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হেলাল উদ্দিনের আদালতে। এই মামলায় হৃদয় কৃষ্ণযাদব, বীপেন রাজবংশী, আব্দুল ওয়াহিদ কিরন, এম ডি কামরুল হাসান, মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, আবীর মাহমুদসহ ৩৫ ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়। মামলার নাম্বার এম পি ৯৮/২৫

৫-ই অগাস্টে বাংলাদেশের রাজনীতি পট পরিবর্তন ও ততকালীন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতনের পর দেশে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাঁধা থাকবেনা বলে অনুমান করা হলেও এই ধরনের মামলা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন দেশের অনেক প্রথিতযশা মানবাধিকার কর্মীরা। অথচ নড়াইলের মামলার নথি পর্যবেক্ষন করে দেয়া যায় যে, এখানে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের গঠিনমূলক সমালোচনার পরেও বিভিন্ন লেখক-কলামিস্টরা মামলার শিকার হয়েছেন।

এই বিষয়ে আমাদের আদালত প্রতিনিধি বাদী বায়েজীদ শেখের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আমরা দেশে নতুন সময় পেয়েছি। এই সময়ে ইউনুস সরকারের সমালোচনা করলে দেশের উন্নতি বাঁধাগ্রস্থ হবে বিধায় আমি এই মামলা করেছি। আর তাছাড়া যারা এসব লেখালেখি করছেন তারা পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এরা শুধু মানহানিই নয়, নগ্ন ভাবে ধর্মের অবমাননাও করেছে। তারা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দল জামাত ই ইসলামীকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করে ধর্ম অবমাননা করেছে। এদেরকে বাংলাদেশের আইনের মাধ্যমে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মামলায় আসামী কোনো বাদীর সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলমের সাথে কথা বলতে গেলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন যে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আমাদের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বার্তা অনলাইনে লিখে আমাদের কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে কেন সমালোচনা হবে? আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি/ ফলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, এই নিয়ে এত কথা বলবার কি আছে?’

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, এসবই অশনি সংকেত। অথচ আমরা দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা চেয়েছি কিন্তু তা হয়ত আর পেলাম না। আমি বেশী কথা বলতে গেলে হয়ত আমাকেই জেলে ঢুকিয়ে দেবে এখন।

ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারনে নড়াইল আদালতে মামলা দায়ের

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তবর্তীকালীন সরকারের নানাবিধ কর্মকান্ডের সমালোচনা করে দৈনিক নবযুগ পত্রিকার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখার জের ধরে নড়াইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার কাদের শেখ নামের এক ব্যাক্তি এই মামলা দায়ের করা হয় নড়াইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হেলাল উদ্দিনের আদালতে। এই মামলায় হৃদয় কৃষ্ণযাদব, বীপেন রাজবংশী, এম ডি কামরুল হাসান, মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, আবীর মাহমুদ সহ মোট আসামী করা হয়েছে ২১ জনকে। মামলার নাম্বার এম পি ৮/২৫

৫-ই অগাস্টে বাংলাদেশের রাজনীতি পট পরিবর্তন ও ততকালীন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতনের পর দেশে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাঁধা থাকবেনা বলে অনুমান করা হলেও এই ধরনের মামলা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন দেশের অনেক প্রথিতযশা মানবাধিকার কর্মীরা। অথচ নড়াইলের মামলার নথি পর্যবেক্ষন করে দেয়া যায় যে, এখানে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের গঠিনমূলক সমালোচনার পরেও বিভিন্ন লেখক-কলামিস্টরা মামলার শিকার হয়েছেন।

এই বিষয়ে আমাদের আদালত প্রতিনিধি বাদী কাদের শেখের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আমরা দেশে নতুন সময় পেয়েছি। এই সময়ে ইউনুস সরকারের সমালোচনা করলে দেশের উন্নতি বাঁধাগ্রস্থ হবে বিধায় আমি এই মামলা করেছি। আর তাছাড়া যারা এসব লেখালেখি করছেন তারা পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এদেরকে বাংলাদেশের আইনের মাধ্যমে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মামলায় আসামী কোনো বাদীর সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা জনাব মাফুজ আলমের সাথে কথা বলতে গেলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন যে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আমাদের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বার্তা অনলাইনে লিখে আমাদের কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে কেন সমালোচনা হবে? আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি/ ফলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, এই নিয়ে এত কথা বলবার কি আছে?’

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, এসবই অশনি সংকেত। অথচ আমরা দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা চেয়েছি কিন্তু তা হয়ত আর পেলাম না। আমি বেশী কথা বলতে গেলে হয়ত আমাকেই জেলে ঢুকিয়ে দেবে এখন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। একইসঙ্গে আইনটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয়, বরং সাইবার অপরাধ দমনের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৩ মে) দুপুরে রাজধারীর ধানমন্ডি মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) হলরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজিত হয়।

মঙ্গলবার (২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় সম্পাদক পরিষদের দাবির প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না। এখন এই আইনে কেউ অভিযোগ করলেই মামলা নেওয়া হয় না। এটি প্রথমে পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের নির্ধারিত সেলে পাঠানো হয়। সেখানে বিষয়টি যুক্তিযুক্ত মনে হলে পরে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় বা আদালতে পাঠানো হয়। মামলা হতে পারে এমন কিছু প্রতিষ্ঠিত না হলে গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ভবিষ্যতে প্রণয়ন করা প্রত্যেক আইনে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার ঘাটতি রয়েছে। যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাইবার অপরাধ দমনে আইন রয়েছে। বাংলদেশেও এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয় তখন গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এখন আইনটির অপব্যবহার কমেছে। এটিকে আরও পরিশুদ্ধ করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি, যাতে আইনটির সমস্যাগুলো সমাধান করে সকলের গ্রহণযোগ্য একটা আইন করা যায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য নয় দাবি করে আনিসুল হক বলেন, এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী কখনো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করবেন না, তিনিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান। এখন ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্বাধীনতা না থাকলে এগুলো নিয়ে আলোচনায় যেতাম না। আইন হচ্ছে ডাটা প্রোটেক্ট করার জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়। মুক্তগণমাধ্যম নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময় মতামত নেওয়া হয়নি, সম্পাদক পরিষদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, আইনটি যখন করা হয় তখন তারা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আসে। যে পর্যায়ে আলোচনা করতে আসে তখন আইনটি সংসদে চলে যায়। কিন্তু স্ট্যান্ডিং কমিটিতে তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছেন, তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সবাই আইনটির ব্যপারে ঐক্যমত ছিলেন। তাদের মতামত অনুযায়ী ২১ ধারায় শাস্তি কমানোর বিষয়টি গ্রহণ করা হয়, জামিনযোগ্য এবং অজামিনযোগ্যের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্টের বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে যাব। প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট নিয়েও আলোচনা হবে। আমরা সবসময় আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখতে চাই, আলোচনা না করে কিছু হবে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের চেষ্টা করা হবে। এ আইনে কারো অভিযোগ পর্যবেক্ষণের জন্য যে সেল করা হয়েছে সেটি আইসিটি মন্ত্রণালয় বা আইন মন্ত্রণালয়ে পাবেন না, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাবেন।

স্বাধীন সাংবাদিকতা করার অধিকার সবার আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সত্য তুলে ধরার দায়িত্ব আপনাদের। প্রত্যেকটা জিনিসেরই দুইটা দিক থাকে, আপনারা দুটোই তুলে ধরবেন যাতে জনগণ বুঝে নিতে পারে।

মুক্তগণমাধ্যমের সূচকে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের নিচে অবস্থান করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে নীর্ণায়কে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের নিচে থাকে, আমার বিষয়ে সেই নির্ণায়কের বিষয়েই সকলের প্রশ্ন থাকা উচিৎ।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন বাংলাদেশের রেসিডেন্ট কোঅর্ডিনেটর জিউন লিউইস, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইন চার্জ সুজান ভিজ।

নবযুগ ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মামলা

দৈনিক নবযুগ নামের একটি পত্রিকার নিজস্ব ম্যাগাজিনের কিছু লেখাকে কেন্দ্র করে গতকাল ২৩শে মার্চ নড়াইল আদালতে একটি মানহানির মামলা করা হয়। এ নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবি মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকেই বলছেন এটি কত প্রকাশের স্বাধীনতাতে অব্যাহত হামলার আরেকটি প্রতিরূপ। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার সূত্রে যানা যায় যে,‘নবযুগ’ নামক এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত কিছু লেখাকে কেন্দ্র করে -গতকাল ২৩ শে মার্চ বায়েজিদ শেখ নামক এক ছাত্রলীগ নেতাট বাদী হয়ে এই ম্যাগাজিনটির বিরূদ্ধে পেনাল কোডের ৪৯৯ ) ৫০০ ধারার অধীনে নড়াইল জেলা কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর ৫৪/২০২৩। আদালত অনুসন্ধানে আমাদের প্রতিনিধিরা জানতে পারেন এই ম্যাগাজিনের বিরূদ্ধে সরকার ও প্রশাসন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ এসেছে। আরও জানা যায় যে, এই মামলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তভার নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আমাদের নিজস্ব রিপোর্টার নবযুগ ম্যাগাজিনের সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন ‘‘এটা খুবই দুঃখজনক, আমরা একটি গণতান্ত্রিক বিশ্বে বসবাস করেও মানের ভাব প্রকাশ করতে পারছি না। এই মামলাকে আমরা একপ্রকারের হয়রানী বলেই ধরে নেব।”

মামলার বাদীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে এমন কুলাঙ্গারদের ঠাই নাই। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে কেউ পাড় পাবে না। এই ধরণের কটূক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এবং যদি আইন-প্রশাসন এর দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরাই নিজস্বভাবে এর বিহিত করবো”। “নিজস্বভাবে বিহিত” বলতে কী বোজাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

বাদি জনাব বায়েজীদ নবযুগ ম্যাগাজিনের সম্পাদক এম ডি রাসেল মিয়া ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেককে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন জনাব বিপ্লব পাল, সামিউজ্জামান সিদ্দিকী, এম ডি কামরুল হাসান, এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ, জনি চন্দ্র সাহা, এম ডি আশরাফ হোসাইন, এম ডি ওবায়দুর রহমান খান, আসাদ উজ্জামান খান, রেদোয়ানুর রহমান, এম ডি নিজাম উদ্দিন দোদুন,  আল আমিন, নুরুল হুদা প্রমুখ। আদালত এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের উপর দিয়েছেন এবং আগামী ২৫ শে এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবার নির্দেশ দিয়েছেন।

পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা জনাব জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় এবং তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই তদন্তের অধীনে আছে এবং পিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। অতিশীঘ্রই তদন্ত শেষ করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে”