গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ নূর হোসেনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। এই সরকারের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে গুম খুন, লুটপাট, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু, ধর্ষণ এবং গুণ্ডাতন্ত্রের দাপটে মানুষের জীবনে আজ নাভিস্বাস উঠেছে। এই ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন এখন বাংলাদেশের জনগণের ন্যূনতম দাবি।’ তিনি বলেন, জনগণ নূর হোসেনের চেতনায় উদ্দিপ্ত হয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে এই সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘গলায় গামছা দিয়ে’ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। শহীদ নূর হোসেন দিবসে ‘ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাসরকারের পতনের আন্দোলনে’ জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘নূর হোসেনের আত্মত্যাগের পথ ধরে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হলেও সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং জনগণের ওপর চেপে বসেছে রাজনৈতিক নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্র। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালের রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে জনগণের সম্মতি ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের জনগণের জান-জবান-জমি-জঙ্গল সবকিছু আজ হুমকির মুখে পড়েছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল ও কেন্দ্রীয় নেতা জুলহাসনাইন বাবু। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা তাসলিমা আখতার, বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।