কম লোকই জানতে চায় আমি কেমন আছি, বললেন মেগান

কম লোকই জানতে চায় আমি কেমন আছি, বললেন মেগান

গণমাধ্যমের কড়া নজরদারি মধ্যে নতুন মা হওয়াটা কতটা সংগ্রামের ছিল সাম্প্রতিক এক ডকুমেন্টরীতে তা স্বীকার করেন ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল ।

শুক্রবার ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিতে সেই ডকুমেন্টরির অংশবিশেষ প্রচার করা হয়। ‘হ্যারি এন্ড মেগান : অ্যান আফ্রিকান জার্নি’ শীর্ষক ডকুমেন্টরীটি যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হবে ২০ অক্টোবর।

জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেসের সাক্ষাৎকার নেন রিপোর্টার টম বার্ডি। ডকুমেন্টরিতে মেগান জানান, বিয়ের পর কিংবা মা হওয়ার খবরের মধ্যেও তার জীবন নিয়ে গণমাধ্যমের আগ্রহের কমতি ছিল না।

ডকুমেন্টরিতে মেগান হ্যারির স্ত্রী, নতুন মা এবং ডাচেস হিসেবে তার জীবন কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সেসব কথা জানিয়েছেন। প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে ডেটিং শুরুর পর থেকেই গণমাধ্যম কিভাবে তাদের জীবন ঘিরে রেখেছে সে গুলোও তিনি জানান।

আবেগময় সেই ডকুমেন্টরিতে নিজের মা হওয়ার সময়ের কথা উল্লেখ করে মেগান বলেন, ‘গর্ভাবস্থায় যেকোনো নারীই নাজুক অবস্থায় থাকেন। ওই সময়টা তার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জেরও’।

মেগান বলেন, ‘ সন্তান জন্ম নেওয়ার পর চ্যালেঞ্জে আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে একজন নারীর জন্য এটা বিশাল কিছু্।’

মেগান ওই ডকুমেন্টরিতে ব্রার্ডিকে ধন্যবাদ জানান সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাওয়ার জন্য।

মেগান বলেন ‘ বেশিরভাগ মানুষই জানতে চায় না আমি ঠি আছি কি-না।’

মা হওয়ার সময়টাতে মেগানকে অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, এমন কথা বলা যাবে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে এক শব্দে তিনি হ্যাঁ বলেন।

মেগানের আবেগঘন সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ প্রকাশের পর ‘উই লাভ ইউ মেগান’ হ্যাশট্যাগে কয়েক হাজার অনুসারী ৩৮ বছর বয়সী এ মাকে সমর্থন ও সমবেদনা জানান।

মেগানের বাবার কাছে পাঠানো ব্যক্তিগত চিঠির সম্পাদিত সংস্করণ প্রকাশের জন্য কিছুদিন আগে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান ব্রিটিশ এক সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

প্রিন্স হ্যারি অনলাইনে এক বিবৃতিতে বলেন , ‘ এটা দুঃখজনক যে , আমার স্ত্রী ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর শিকারে পরিণত হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ এসব গণমাধ্যম কোনও ধরনের পরিণতির কথা চিন্তা না করে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়।’ তিনি জানান, মেগানের গর্ভাবস্থা এবং তাদের সন্তান জন্মানোর পরও গণমাধ্যমগুলো এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ে করেন মেগান। এ বছরের মে মাসে এ দম্পতির প্রথম সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সূত্র : সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *