মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক উত্তেজনার ইতিহাস এবং শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রীর ভুমিকা

লেখক: মশিউল হোসেন খান

মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক উত্তেজনার ইতিহাস এবং শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রীর ভুমিকা-

বাংলাদেশ মিয়ানমার প্রথম উত্তেজনার শুরু হয় ১৯৭৮ সালে যখন মায়ানমার সেনাবাহিনীর আরাকানে অপারেশন ড্রাগন চালু করে এতে প্রায় ৫ লাখের বেশী রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। তখন রাষ্ট্রীয় প্রধান ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমান তখন মিয়ানমারের সেই সময়ের প্রেসিডেন্টকে বললেন সকল রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে কিন্তু তিনি বললেন এরা কেউ মিয়ানমারের নাগরিক না। শহীদ জিয়া তখন মায়ানমারের সরকারকে বললেন ঠিক আছে তাহলে আমার দেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে তাদের দেশেই ফেরত দেওয়া হবে।
তারা নিজের জায়গা নিজেরাই পারলে উদ্ধার করবে! ফলে দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশই সীমান্তে সেনা সমাবেশ করে। অবশেষে মিয়ানমার ব্রিটিশ দূতাবাসের সাহায্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয় যে সেনা সরিয়ে নিলে তারা চুক্তি করতে প্রস্তুত। ফলে একই বছর মানে ১৯৭৮ সালে ব্রিটিশ, আমেরিকান দূতাবাসের উদ্যোগে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট চুক্তি করে সেখানে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে ফেরত নেয়।

এরপর আবার উত্তেজনা শুরু হয় ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা নিয়ে সমস্যার কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী টেকনাফ বিডিআর ক্যাম্পে হামলা করলে ১ বিডিআর সদস্য নিহত হয়, সাথে সাথে বিডিআরের পাল্টা হামলায় ১২ জন মিয়ানমারের সেনা নিহত হয়, তখন মায়ানমার সেনাবাহিনী লাশ রেখেই পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার পরে নড়ে চড়ে বসে সমগ্র দেশ, সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মায়ানমারকে চরম হুমকি দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তে ৮২ হাজার সেনা সমাবেশ ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেন! যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন দেশের সীমান্তে এত বেশী সংখ্যায় সেনা মোতায়েনের ঘটনা।
পাল্টা হিসাবে মিয়ানমার প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করে। কিন্তু উক্ত সময়ে মিয়ানমারের কাচিনদের সাথে ভয়ানক যুদ্ধ বেধে যায় সেনাবাহিনী। ফলে প্রচন্ড চাপে পরে মিয়ানমার তারা দূত মারফত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সরাতে অনুরোধ করে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের কথায় কোন পাত্তাই দেয়নি।

একদিকে নিজ দেশে কাচিনদের ভয়ানকভাবে হামলা অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সেনা না সরাতে পারা উভয় সংকটে পরে মিয়ানমার। শেষে চীন সফরে যান মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিনি চীনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন যে বাংলাদেশ যেন তাদের বিশাল বাহিনী ও ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়। না হলে মিয়ানমার সেনা সরালে বাংলাদেশ আরাকান দখল করে নিতে পারে বলে তার আশংকা। শেষে চীনের কয়েকবার অনুরোধের পর প্রায় ৯৩ দিন পরে বাংলাদেশ মিলে সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।

এভাবেই প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে এবং দক্ষতার সাথে সেই সময়কার রাষ্ট্রপ্রধানরা তা মোকাবেলা করেছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে মিয়ানমারের উগ্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে, যার জন্য বর্তমান সরকারের নেই কোন কার্যকর উদ্যােগ।
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, নতজানু সরকার ব্যাবস্থায় সীমান্তে বিজিবি আজ নিরুপায়।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ব্যর্থ সরকার, যার জন্য কয়েকদিন পর পর বাংলাদেশ – মায়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হামলা করে, হত্যা করছে।

বাংলাদেশ মিয়ানমার প্রথম উত্তেজনার শুরু হয় ১৯৭৮ সালে যখন মায়ানমার সেনাবাহিনীর আরাকানে অপারেশন ড্রাগন চালু করে এতে প্রায় ৫ লাখের বেশী রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। তখন রাষ্ট্রীয় প্রধান ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
জিয়াউর রহমান তখন মিয়ানমারের সেই সময়ের প্রেসিডেন্টকে বললেন সকল রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে কিন্তু তিনি বললেন এরা কেউ মিয়ানমারের নাগরিক না। শহীদ জিয়া তখন মায়ানমারের সরকারকে বললেন ঠিক আছে তাহলে আমার দেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে তাদের দেশেই ফেরত দেওয়া হবে।
তারা নিজের জায়গা নিজেরাই পারলে উদ্ধার করবে! ফলে দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশই সীমান্তে সেনা সমাবেশ করে। অবশেষে মিয়ানমার ব্রিটিশ দূতাবাসের সাহায্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয় যে সেনা সরিয়ে নিলে তারা চুক্তি করতে প্রস্তুত। ফলে একই বছর মানে ১৯৭৮ সালে ব্রিটিশ, আমেরিকান দূতাবাসের উদ্যোগে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট চুক্তি করে সেখানে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে ফেরত নেয়।

এরপর আবার উত্তেজনা শুরু হয় ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা নিয়ে সমস্যার কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী টেকনাফ বিডিআর ক্যাম্পে হামলা করলে ১ বিডিআর সদস্য নিহত হয়, সাথে সাথে বিডিআরের পাল্টা হামলায় ১২ জন মিয়ানমারের সেনা নিহত হয়, তখন মায়ানমার সেনাবাহিনী লাশ রেখেই পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার পরে নড়ে চড়ে বসে সমগ্র দেশ, সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মায়ানমারকে চরম হুমকি দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তে ৮২ হাজার সেনা সমাবেশ ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেন! যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন দেশের সীমান্তে এত বেশী সংখ্যায় সেনা মোতায়েনের ঘটনা।
পাল্টা হিসাবে মিয়ানমার প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করে। কিন্তু উক্ত সময়ে মিয়ানমারের কাচিনদের সাথে ভয়ানক যুদ্ধ বেধে যায় সেনাবাহিনী। ফলে প্রচন্ড চাপে পরে মিয়ানমার তারা দূত মারফত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সরাতে অনুরোধ করে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের কথায় কোন পাত্তাই দেয়নি।

একদিকে নিজ দেশে কাচিনদের ভয়ানকভাবে হামলা অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সেনা না সরাতে পারা উভয় সংকটে পরে মিয়ানমার। শেষে চীন সফরে যান মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিনি চীনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন যে বাংলাদেশ যেন তাদের বিশাল বাহিনী ও ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেয়। না হলে মিয়ানমার সেনা সরালে বাংলাদেশ আরাকান দখল করে নিতে পারে বলে তার আশংকা। শেষে চীনের কয়েকবার অনুরোধের পর প্রায় ৯৩ দিন পরে বাংলাদেশ মিলে সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।

এভাবেই প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে এবং দক্ষতার সাথে সেই সময়কার রাষ্ট্রপ্রধানরা তা মোকাবেলা করেছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে মিয়ানমারের উগ্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে, যার জন্য বর্তমান সরকারের নেই কোন কার্যকর উদ্যােগ।
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, নতজানু সরকার ব্যাবস্থায় সীমান্তে বিজিবি আজ নিরুপায়।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ব্যর্থ সরকার, যার জন্য কয়েকদিন পর পর বাংলাদেশ – মায়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হামলা করে, হত্যা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *