বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠনের দাবি

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠনের দাবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পেছনে যারা জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচনে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি’ আয়োজিত ‘জাতির পিতার হত্যার বিচার : জাতির প্রত্যাশা এবং রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ দাবি জানান বক্তারা।

ভার্চুয়াল এ আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সভাপতি ড. সাইদুর রহমান খান।

আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মাস্টার মাইন্ডদের চিহ্নিত করতে হবে। পনের অগাস্টের চক্রান্ত তো একদিনে হয়নি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। মাস্টার মাইন্ড হিসেবে শাহ মোয়াজ্জেম, ওবায়দুর রহমানসহ আরও নাম আসবে… জাতির অধিকার আছে তাদের ব্যাপারে জানার। হাই পাওয়ারের একটা জাতীয় কমিশন গঠন করে শ্বেতপত্রও প্রকাশ করতে হবে।’

আবদুল মতিন খসরুর বক্তব্যে সায় দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এখানে একটা দাবি উঠেছে কমিশনের। আমি অনেক জায়গায় বলেছি, উচ্চ পর্যায়ের এবং জাতীয় পর্যায়ের অত্যন্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দিয়ে একটা কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। আমরা যদি আজকে তাদের চিহ্নিত করতে না পারি, আমরা যদি তাদের মুখোশ উন্মোচিত করে দিতে না পারি এবং তাদের বংশধরদের চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে আমাদের এখনকার নতুন প্রজন্ম এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আবারও হুমকির সম্মুখীন হবে। হুমকির মধ্যে রেখে যাওয়া আমাদের জন্য দায়িত্বশীল কাজ হবে না। সে কারণে আমাদের কমিশন করা প্রয়োজন।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কমিশন কী করবে, তা নিয়ে আমি আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। একটা রূপরেখা তৈরি করা… তাহলে ভবিষ্যতে যখন হবে তখন কাজটা অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে খুব যে অনেক লোক ছিল তা নয়, গুটিকয়েক লোক করেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া উচিত।’

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন সেদিনের ব্লু প্রিন্টের খলনায়ক।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট এর পর জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি ছিল আমাদের সবার। এরপর আমরা ৬১টি স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে এই হত্যা মামলার বিচার কার্য শুরু করেছিলাম।’

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও সমকাল, বিজয় টিভি, সময় টিভি, বিডি নিউজ২৪, বাংলা নিউজ২৪, বার্তা২৪, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সারাবাংলা, ভোরের কাগজ, জাগো নিউজ২৪, বাংলাদেশ জার্নাল, ঢাকাটাইমস ও অপরাজেয় বাংলার ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *