বাংলাদেশের বর্তমান আন্তবর্তীকালীন সরকারের নানাবিধ কর্মকান্ডের সমালোচনা করে দৈনিক নবযুগ পত্রিকার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখার জের ধরে নড়াইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার কাদের শেখ নামের এক ব্যাক্তি এই মামলা দায়ের করা হয় নড়াইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হেলাল উদ্দিনের আদালতে। এই মামলায় হৃদয় কৃষ্ণযাদব, বীপেন রাজবংশী, এম ডি কামরুল হাসান, মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, আবীর মাহমুদ সহ মোট আসামী করা হয়েছে ২১ জনকে। মামলার নাম্বার এম পি ৮/২৫
৫-ই অগাস্টে বাংলাদেশের রাজনীতি পট পরিবর্তন ও ততকালীন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতনের পর দেশে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাঁধা থাকবেনা বলে অনুমান করা হলেও এই ধরনের মামলা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন দেশের অনেক প্রথিতযশা মানবাধিকার কর্মীরা। অথচ নড়াইলের মামলার নথি পর্যবেক্ষন করে দেয়া যায় যে, এখানে প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের গঠিনমূলক সমালোচনার পরেও বিভিন্ন লেখক-কলামিস্টরা মামলার শিকার হয়েছেন।
এই বিষয়ে আমাদের আদালত প্রতিনিধি বাদী কাদের শেখের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আমরা দেশে নতুন সময় পেয়েছি। এই সময়ে ইউনুস সরকারের সমালোচনা করলে দেশের উন্নতি বাঁধাগ্রস্থ হবে বিধায় আমি এই মামলা করেছি। আর তাছাড়া যারা এসব লেখালেখি করছেন তারা পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। এদেরকে বাংলাদেশের আইনের মাধ্যমে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মামলায় আসামী কোনো বাদীর সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা জনাব মাফুজ আলমের সাথে কথা বলতে গেলে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন যে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আমাদের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বার্তা অনলাইনে লিখে আমাদের কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে কেন সমালোচনা হবে? আমরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি/ ফলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, এই নিয়ে এত কথা বলবার কি আছে?’
মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, এসবই অশনি সংকেত। অথচ আমরা দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা চেয়েছি কিন্তু তা হয়ত আর পেলাম না। আমি বেশী কথা বলতে গেলে হয়ত আমাকেই জেলে ঢুকিয়ে দেবে এখন।