লেখকঃ সামিউজ্জামান সিদ্দিকী
অনেকে বলে সে হাসিনার প্রেমিক কিংবা রেহানার প্রেমিক।কালো রঙের গাড়ি সামনে-পেছনে অস্ত্রধারী লোক। গাড়িতে অস্ত্রসহ বাডি গার্ড কালো পোশাক পরা। গাড়িতে বসে আছে সাদা পোশাক পরা এক লোক। যার মুখ ভর্তী সাদা দাড়ি। অনেকে মজা করে তাকে ডাকে দরবেশ। আবার অনেকে বলে ডাকাত। কিন্তু তার হালচাল আর ভাব দেখে আমার মনে হয় তিনি একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। সিনেমায় যেমন সন্ত্রাসীদের দেখতে হয়, তিনিও দেখতে ঠিক এমনই। শুধু দেখতেই না, তার জীবনে সন্ত্রাসে ভরপুর। লুট করেছে বাংলাদেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা।
এই সালমান এফ রহমান এমন একজন মানুষ যে কিনা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়েই সরকারের উচ্চ পদে অবস্থান করছেন। তিনি এমন একজন মানুষ যে কিনা দুর্নীতি ও অপরাধের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হস্তগত করে এবং শেয়ারবাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা মেরে বাংলাদেশে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তিনি। গড়ে তুলেছেন একটি মিডিয়া হাউজ।।বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১০ বছরে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই সালমান এফ রহমান। আর এই সব অপকর্মে তাকে সহায়তা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা। কারন তার অর্থের বড় ভাগিদার তিনি। শেখ রেহানার মাধ্যমে বিদেশে এসব টাকা পাচার করে গড়ে তুলেছেন বড় সম্রাজ্য।
একটু খোজ নিলেই দেখা যাবে, সালমান এফ রহমান ও শেখ রেহানা এক হয়ে দেশের শেয়ার বাজার, ব্যাংকখাতে দূর্নীতি করছে। একজন দেশের প্রধানমন্ত্রীর বোন আর একজন উপদেষ্ট। আর এ করনেই কোন কিছু বলার সাহস নেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।
১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মূল হোতা হিসেবেই সবার কাছে পরিচিতি পান সালমান এফ রহমান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ বেক্সিমকোর মালিক হলেও ব্যবসা বাণিজ্য নয়, বরং সরকারি ও ব্যাংকের অর্থ লোপাটের মাধ্যমেই বিলিয়নিয়ার হয়েছেন সালমান। বিগত নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী হলফনামায় নিজের কোনো বাড়ি, গাড়ি, আসবাব বা ঋণ না থাকার তথ্য দেন তিনি। অথচ গবেষণা সংস্থা হুরুন গ্লোবালের ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ দুই হাজার ধনী ব্যক্তির মধ্যে তার অবস্থান ১৬৮৫তম এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীও তিনি। কেবল দুই দফায় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি থেকেই অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে চলমান ব্যাংক খাতের লুটপাটেও তিনি জড়িত বলে মনে করা হয়। এক অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমানকে ইঙ্গিত করে শেয়ারবাজারের অপরাধ তদন্তকারী দলের প্রধান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, তিনি ব্যাংকের সম্রাট। এই সম্রাটকে ধরতে পারলে সবকিছু ঠিক হবে। শেয়ারবাজার তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম সবার ওপরে রেখেছিলাম। তিনি সব জায়গায় লুট করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে আগে থাকা সব মামলা এই সরকারের আমলে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
দেশের অনেক ক্ষমতাসীল ব্যাক্তিরা সালমান এফ রহমানের অগচরে বলেন, তিনি টাকা দিয়ে দেশের অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী পুষেন। যা প্রধানমন্ত্রী সয়ং জানেন। তাছাড়া নির্বাচনে একটি বড় অংকের টাকা তিনি দলকে দেয় যে কারনে তার এই পদ ও পজিশন। তাই তার এই দূর্নীতির কথা সবাই জানলেও চুপ থাকে। কারন তার বিরুদ্ধে এর আগে যদ্ওি কেউ কথা বলেছে, তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। কিংবা প্রকাশ্রে দু:খ প্রকাশ করতে হয়েছে।